Friday, 30 June 2017

পাগলা মনটারে তুই বাঁধ

সুস্বাগতম সুপ্রভাত কল্যান হোক সবার।

পাগলা মনটারে তুই বাঁধ

শ্যামল সোম

মেঘলা দিনে, রইলি পড়ে,
ঘরের কোনে একলাই ,
এখন  তুই কাঁদ।
বিছিয়ে আছে বিশ্বজোড়া
মরণ জালের  মায়ার ফাঁদ।
কেঁদে কেঁদে নয়ন জলে,
চরণ তাঁর  ধুইয়ে দে-রে,
ছেড়ে কামিনী কাঞ্চন, 
স্মরণ নে রে প্রভুর চরণ।
মনের যত বাসনা ছিল ও -
যে কেবল মায়ার রঙিন রঙ
সঙ্গী  হীন ফানুসের মতন
আসমানে উড়ল হবে?
তোকে যখন যেতেই হবে।
তোর দিন ফুরলো, ও মন,
এবার সাঙ্গ হলো এ ভুবন
জীবনের তোর সকল খেলা।
বৃথা কাজেই সময় গেলো,
ঐ অলসতায়, শুয়ে,বসে
আজীবন কাটলো সারাবেলা।
এখন এই যাওয়ার বেলায়,
করিস কেন ছল, ছল করে তুই একে
একে মনের মানুষ খুজতে গেলি, 
শহর গ্রামে হেথায় হোথায়,
ঘুরে ঘুরে একা একা ফিরলি কত,
বিদেশী মুসাফিরের মত।
প্রভুর কৃপায় পেলি মন্ত্র,
সেই সে বানী, তাও খোয়ালি,
এখন জ্বলে পুড়ে পোড়া গাছের শরীরে,
সকল পাতাই গেছে ঝরে।
ফুল ফোঁটে না, পোড়া গাছের ডালে
দোল খায় না পাখী,
ঐ যে বহিছে নদী, সেই নদীর
তীরেই শ্মশান, জ্বলছে চিতা।
উড়ছে ছাই, ডাকছে নদী,
তুই নদীর ডাকে, শক্ত করে মনকে
বেঁধে, ঐ নদীর জলে ডুবে
চলরে ভেসে নদীকে ভালোবাসে।
পাগলা তোর ঐ লালায়িত লালসা,
কামনায় ভোগের ভাবনায়,
দে দে ওরে আগুন জ্বেলে দে।

অপরিচিতা আজ তুমি

অপরিচিতা আজ তুমি

শ্যামল সোম

কালের বহমান  স্রোতে অতলে
দূরে কীর্তন খোলার নদীর জলে,
আজও চুয়াত্তর বছরের বৃদ্ধের
হৃদয়ের আকাশ তুমিই ধ্রুব তারা।
প্রথম প্রেম তোমার সলজ্জ চোখে
চোখ পড়তেই ভূমিকম্প স্পন্দন
আলোড়িত পরস্পরের দুজনার
মন, গোধূলির রঙের আকাশে নীচে,
তারপর ভালোবাসায় ভেসে যাওয়া।
আজ ঢাকায় চোখ হঠাৎই গ্রন্থ মেলায়
সিল্কের  আসমানী শাড়ি লাল ব্লাউজ
পরনে মাথায় লালগোলাপ ফুলের মুকুট
অপরূপ সাজে জয়া যুবকের বাহু লগ্না।
বন্ধুদের সাথে বাংলা একাডেমীর পথে
যেতে যেতে অচমকা তোমাকে এতদিন
পরে দেখে বিমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
তুমি না দেখার ভানে এক পলকে দেখে
হাসতে হাসতে চলে গেলে দৃষ্টির বাহিরে।

Tuesday, 27 June 2017

পাগলা মনটারে তুই বাঁধ


পাগলা মনটারে তুই বাঁধ

শ্যামল সোম

মেঘলা দিনে, রইলি পড়ে,
ঘরের কোনে একলাই পড়ে, এখন  তুই কাঁদ।
বিছিয়ে আছে বিশ্ব জোড়া জালের  মায়ার ফাঁদ।
কেঁদে কেঁদে নয়ন জলে, চরণ তাঁর  ধুইয়ে দে-রে,
ছেড়ে কামিনী কাঞ্চন,  স্মরণ নে রে প্রভুর চরণ।
মনের যত বাসনা ছিল ও -যে কেবল মায়ার রঙিন
সঙ্গিন ফানুসের মত আসমানে উড়লি হবে?
যখন যেতেই হবে।
তোর দিন ফুরলো, ও মন, এবার সাঙ্গ হলো তোর সকল খেলা
বৃথা কাজে সময় গেলো, ঐ অলসতায়, শুয়ে,বসে কাটলো বেলা।
এখন এই যাওয়ার বেলায়, করিস কেন ছল, ছল করে তুই একে
একে মনের মানুষ খুজতে গেলে,  শহর গ্রামে হেথায় হোথায়,
ঘুরে ঘুরে একা একা ফিরলি কত, বিদেশী মুসাফিরের মত।
প্রভুর কৃপায় পেলি মন্ত্র, সেই সে বানী, তাও খোয়ালি, এখন,
জ্বলে পুড়ে পোড়া গাছের শরীরে, সকল পাতাই গেছে ঝরে।
ফুল ফোঁটে না, পোড়া গাছের ডালে দোল খায় না পাখী,
ঐ যে বহিছে নদী, সেই নদীর তীরেই শ্মশান, জ্বলছে চিতা।
উড়ছে ছাই, ডাকছে নদী, তুই নদীর ডাকে, শক্ত করে মনকে
বেঁধে, ঐ নদীর জলে ডুবে চলরে ভেসে নদীকে ভালোবাসে।
পাগলা তোর ঐ লালায়িত লালসা, ভোগের ভাবনায়, দে দে
ওরে আগুন জ্বেলে দে।

আমার ছেঁড়া ডাইরির পাতায় তুমি

আমার ছেঁড়া ডাইরির পাতায় তুমি

                                                     আমার ভীষণ পছন্দের প্রিয় ভালো মানুষ ও এক কবির শৈল্পিক
                                                      নান্দনিক কাব্যে মুগ্ধ হয়ে এই লেখা তাঁকেই উৎসর্গিত  করলাম, তিনি আমাকে                                  

                                                        অনুপ্রাণিত করেন কৃতজ্ঞ রইলাম তাঁর কাছেই।

শ্যামল সোম

উর্মি  তুমিই আমার প্রথম প্রেম
সেই উনিশো ষাট সালে কক্সবাজারে
নির্জন  সৈকতে গোধূলির রঙের ঐ
আকাশের নীচে একলা বসে রয়েছো
আনমনে দৃষ্টি ঐ তোমার দূর  থেকে ছুটে
আসা প্রবল ঢেউয়ের দিকে অপলক।
সমুদ্রের ঢেউ প্রচন্ড মাঝেই স্নান করে
ফিরে আসছি  হঠাৎই  পরস্পরের
দিকে ক্ষেপনাস্ত্রে ঐ চোখের মায়াময়
দৃষ্টি, সলজ্জ চোখে চোখ পড়তেই গ্রীক
শিল্পীর মাইকেল এঞ্জেলো ভেনাস তুমি।
আজও  যখন আমার ছেঁড়া ঐ ডাইরির
পাতায় তুমি, ছানি পড়া চোখে ঝাপসা  হয়ে
আসছে অক্ষর গুলো  ঠিক পড়া যায় না
পঞ্চাশ বছরের আগে আমার প্রেমের উর্মি
সমুদ্রের ঢেউ আজও আমার বুকের উপর
কবিতার ছন্দে শব্দ গুলো সজোরে   আছড়ে পড়ে।

Monday, 26 June 2017

বাঁশিওয়ালা রুমকি আনোয়ার

সুলতানা নাজনিন

বাঁশিওয়ালা

রুমকি আনোয়ার

কে তুমি বাঁশিওয়ালা ?
এ কেমন সুর তুমি তুলো
নির্ঘুম রাতের নষ্ট প্রহর গুলো
কি অবলীলায় ছিনিয়ে নাও তুমি ,
আমি বার বার ডাকি , বার বার ডাকি
তোমার কর্ণ কুহরে আমার বার্তা বুঝি পৌছায় না ।
তোমার মরণবানে শরবিদ্ধ পাখি
কেবল ডানা ঝাপটে যাই
আমি বার বার মরি ,বার বার মরি
কি নির্লিপ্ত উদাসীন তুমি ।
শোন না বাশিওয়ালা শোন
আমি সীতা নই দ্রৌপদী
না না অপাপবিদ্ধ বালিকা
বাড়িয়ে দিয়েছি হাত একবার ছুঁয়ে দেখ শুধু একবার ।
এতই ই অহঙ্কার তোমার সর্বাঙ্গে বিষ ঢেলে শিবের নাচন দেখাও তুমি ।
বাঁশিওয়ালা , বাঁশিওয়ালা
জলের বুকে ঘোলাটে ছবি তোমার
ঢেউ এসে মুহূর্তে ছিনিয়ে নেয় ,
আমি কেঁদে উঠি ,কেঁদে উঠি বার বার ।
এসো না কোন এক রোদেলা দুপুরে কিংবা
হিম ধরা কুয়াশায় মেতে উঠি একান্ত সংগোপনে ।
বাঁশিওয়ালা ,
আমার বসন্ত বেলায় হৃদ আঙ্গিনায়
একবার কি তোমার পদছাপ পড়বে না
ও তোমার আরাধ্য আমার মৃত্যু বুঝি ।
বেশ সঁপে দিলাম নিজেকে সাপের ছোবলে
হিমশীতল দেহ সাদা কাফনে ঝরানো
তুমি সুর তুলো বাঁশিওয়ালা ,
দেখবে ডান হাতের তর্জনীটি ঠিক ই সাড়া দিবে ।
মৃত্যুও রেহাই দিবে না আমাকে
তোমার চরণে আমি শতাব্দীর পদধূলি হয়ে রইবো ।

Saturday, 24 June 2017

সাপ সোহাগিনী

সাপ সোহাগিনী

শ্যামল সোম

আগেও কি দেখেছি কখন একে
পথে ঘাটে, এ মেলা ও মেলায়।
সাঁকো বেয়ে চাঁদপুরে লঞ্চে উঠতেই,
বাইদানির  কাজল আঁকা কালো
উজ্জ্বল জোড়া চোখে চোখ পড়তেই
চমকে উঠি আমি বিরল কটাক্ষে।
দেখি লাস্যময়ীর সাথে বৃদ্ধের হাতে
সাপুড়ে বাঁশি, মস্ত এক ঝোলা মাথায়,
ঝোলার ভেতরেই সাজানো ঘরসংসার।
সাপিনীর চোখে বিষ মাদকতা, আহ্বান
আমি জনমজুর সাম পেটানো চেহারা
কে কার সুতীব্র আকর্ষনে শিহরিত ?
নারীর পরনে নীল শাড়ি, লাল জামা
গলায় পাথর পুঁথির মালা, কাচের চুরি।
কানে দুলছে দুল, বুকের কাছে বাচ্চা
সাপের ঝাঁপি মাথাতে সাপের ঝাঁকা।
সাপের খেলা দেখায় সর্পিল কৌশলে
নৃত্যরতা শঙ্খিনীকে কাল কেউটের
ছোবল না চুম্বন, বাঁশিতে সুর নাগিনী
নেচে চলে, স্মৃতি ঘেয়া বেয়ে এ বন্দর 
শহর মন ভাসমান গাজীপুরের পুঁই গ্রামে,
ঐ তো রুমেলা, শৈশবের খেলার সাথী
কবে কখন হারিয়ে গেল কার সঙ্গে ঐ
বুড়ো বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরের টানে ?
কে জানে ?

Friday, 23 June 2017

এই বয়সে প্রেম ফিরে আসে ও আমার আদরের খুকু

এই বয়সে প্রেম ফিরে আসে

শ্যামল  সোম

কাল মাঝরাতে ভেঙে গেল ঘুম
সারাপাড়া নিস্তব্ধ  একেবারে নিঝুম,
ঝিরঝির ঝরছে অনাবিল লাবণ্য
বৃষ্টির শব্দে ফিরে যাই সমৃদ্ধ স্মৃতিতে।
বাহিরে খোলা জানালা দিয়ে দেখি
জ্যোৎস্নায় বৃষ্টিস্নাত শুভ্র যূঁই ফুল
টবের উঠল ফুটে প্রেমের ফুল যূঁই
ফুল ফুটতে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
যূঁইফুলের ঘ্রাণে ভেসে আসে প্রেম,
আশ্চর্য স্রষ্টার প্রেড়িত ঐশ্বরিক এই
শাশ্বত সত্য সুন্দর শ্বেত শুভ্র প্রেমের
আখর লেখা রয়েছে গহীন অরণ্যে
মনের মমনে, আত্মস্থ আত্মমগ্ন মন,
কেন ফিরে ফিরে মন পিছু ফিরে চায়,
ফুটে থাকা আমার প্রিয় ফুল যূঁইয়ের
পাণে, মনের বাসনা মৃত  আমার গলায়
যূঁইয়ের মালা দিও গো প্রিয় পড়িয়ে, ঐ
শব বাহকেরা চলেছে শ্রাবণে শ্মশাণ এ।

আমার আদরের খুকু

শ্যামল  সোম

আমার সাধের গায়ের বাড়ী
নেই কেউ কি জানেন ভাই
বাড়িটা কোথায় হারিয়ে যায়।
কীর্তন খোলা নদীর ধারেই
ছিল আমার পৈত্রিক বাড়ী
ভিতর পানে পুকুর পুকুরের
জলে হাঁস,লাল শালুক ফুলের
পদ্ম পাতায় শিশির ঝরে বিনিদ্র
রাতে টুপটাপ বাড়ীর সনে বাগান।
নারকেল গাছের ঘেরা ফুলের
পরে প্রজাপতি সব রঙ বেরঙের
রাঙা গোলাপ ফুলে ভ্রমরের
চুম্বনে মধুপান মৌমাছির গুঞ্জন।
ময়না দোয়েল পাখীর সে গান
টিয়া, শত চড়ুই পাখীর  কলতান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিফলনে
বহুযুগ পরেও আলোড়িত আমার
এই  হৃদয়ে আনন্দে অশ্রু ঝরে।
হঠাৎই সত্তর বছর আগে এক
দামকা ঝরে এলো মেলো হারিয়ে
গিয়েছিল আমার খুকু- --
আজও আমার হৃৎপিণ্ড সম কন্যা
আমার নয়নের মনি, সে ঘরে ফিরলো না।

Tuesday, 20 June 2017

সুখের স্বপ্নের সংসার 2

কোর্টে শেষ পাঠ বিচারকের রায়ে শুনি বিহ্বল নন্দিনী একবার তাকায় আশীষের দিকে ক্লান্ত
বিধস্ত মাথা নীচু করে সুব্রত, অশোক বন্ধুদের সাথে দ্রুত বেরিয়ে যায়।
আশ্চর্য মানুষের মন সেদিন ম্যারেজ রেজিস্টারের অফিসে কত আত্মীয়স্বজন, বন্ধু  বান্ধবীদের ভীড়
মনীষার হাতে বিশাল যূঁই ফুলের মালা, সুব্রতর হাতে গোলাপ ফুলের স্তবক, বাপি মা কাছে গয়নার বাক্স।
সবাই কিছু না কিছু উপহার দেয়ার জন্য  উদগ্রীব, হাসি ঠাট্টা, ছবি উঠছে, রেজিস্টার মহিলা শুভ কামনা জানালেন, বিবাহের শপথ গ্রহণ, মালা বদল পরস্পরের চোখে স্বপ্নের  আকাশে ভেসে যাওয়া।
কুলু  মানালি প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে মধু চন্দ্রিমা রোটান পাসে রবফ।

আজ সেই বরফের শীতল, যদিও এখন ফাল্গুন।
গাড়িতে যেতে গাড়ির জানলা দিয়ে দেখছে লালে লাল পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম, শুধুই বিবর্ণ ধূসর বিষন্ন মনে
ক্ষোভে অস্থির বারে বোতল থেকে জল পান তবু এত তৃষ্ণার্ত কেন নন্দিনী?
নিষ্ফল প্রয়াস ছিল এতদিনের ভালোবাসা, হাহাকার নন্দিনী বাপির পাশে জানালার ধারে বসে অন্যমনস্ক হয়ে
দেখছে কোলকাতার কোলাহল মুখরিত কোনোকিছু  থেমে নেই, চলমান পথচারী গাড়ি বাস বাইক।

সুখের স্বপ্নের সংসার

সুখের স্বপ্নের সংসার

শ্যামল  সোম

মাত্র এক ঘন্টায় সওয়াল
জবাবে এত সময়ে কোর্টে
কলমের একটি সাক্ষরে
শেষ হয়ে গেল সম্পর্ক।
আশীষ ও নন্দিনী মনে
যে প্রচন্ড  ঝড় বহিছিলো,
হঠাৎই আলোড়ণ থেমে এল।
থম থম মুহূর্ত কান্না গিলতে
না পেরে নন্দিনীর দুচোখ জল
টলটল, আশীষ রুমালে ঘনঘন
মুছছে রক্ত বর্ণ চোখে জ্বালা।
ওদের যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল
গত পাঁচ বছরের তিল তিল
পলে পলে ভালোলাগা থেকে
পরস্পরের উপর নির্ভরশীল
সমস্যা সমাধানে সাহায্য করা।
পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস বন্ধুত্ব
সহমর্মিতা সহানুভূতি কেউ একজন
অসুস্থ হলে বিশেষত নন্দিনী অস্থির
অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বিয়ের অনেক
আগে থেকেই আশীষের ভালোমন্দ
সজাগ দৃষ্টি, মাতৃহারা আশীষ জ্বরে
মা মা ডাকত বেহুঁশ হয়ে নন্দিনী ঠিক
জননীর মতন সেবা শুশ্রূষা ঔষধ
খাওয়ানো বুকে করে, " শীষ তুই খেতে নে"।
পর্দার আড়াল থেকেই একনজর দেখে
অসীমবাবু আশীষ এর বিপত্নীক পিতা
অশ্রু সজল মুখ ভেসে উঠল কি আজ
আশীষ ও নন্দিনী মনের মসৃণ  আয়নায়।  ( চলবে )

Monday, 19 June 2017

এই অন্যায় জানি


বোন তোমার জন্য আমার এ উপহার

এ অন্যায় জানি

শ্যামল সোম

তবু ধুলোয় লুণ্ঠিত মন
কেন, চলে যাওয়ার এই
শেষ বিদায়ের গোধূলির
অন্তিম রাঙা লগ্নে কেন?
খুব জানতে ইচ্ছে হয়,
যদিও জানি অহেতু
কৌতুহল ভালো নয়।
দৈনন্দিন জীবনের
পদ্মপাতায় শিশিরের
মত সুখ টলটল করে,
শুষ্ক দূষন বাতাবরণে
উদ্বিগ্ন সন্ত্রস্ত নিশ্চুপ,
মলিন হেসে, আছি
ঐ একরকম,ভালো
চলে যাচ্ছে, আলো
আলোকিত হল না
মুখ, ছায়ায় অশনি
সংকেত, যুদ্ধ চলছে?
বেঁচে থাকাটা যেন এক
যুদ্ধের রক্তাক্ত রণাঙ্গন।
হঠাৎই খবর পেলাম সে
নেই আততায়ীর আঘাতে
নিহত, ও পরে কার লাশ
ছিন্ন কামিজ গলায় ফাঁস।
খবরের কাগজ টিভি না
দেখিনা আপন মনেই ভাবি
তোমাদের কথা কত সুখ
দুখের কথোপকথন তোর
সাথে আলাপচারিতা ভালো
লাগা থেকে কখন যে
গড়ে উঠল হিম পড়া প্রেম।
ভীষণ জানতে ইচ্ছে হয়
তুমি বা তুই আছিস কেমন?
জানে ইচ্ছে হয় কাঁটাতারের
এপারের  সে ওপারের তুমি
তাঁরা, আছে কেমন, যেমন
থাকেন আর সবাই ঠিক তেমন।

কোন একদিন হয়তো

কোন একদিন হয়তো

শ্যামল সোম 

হঠাৎই কোন একদিন দেখা হয়ে যাবে

গোধূলির রঙে রাঙানো আকাশের তলে,

আসন্ন শীতকালীন শীতার্ত শীতল সন্ধ্যায়।

ঢাকার কোন এক রাজপথে বা ধানমন্ডির 

লেকের ধারে নিরবিচ্ছিন্ন নিরালায় নগ্ন 

দুপুরে, আচমকাই পরস্পরের দিকে মগ্ন 

নিষ্পলক দৃষ্টি, মুগ্ধ চোখে তোমাকে দেখে

মুখে মৃদু হাসি নিয়ে তাকিয়ে থাকবো আমি।

বিব্রত বোধে নামিয়ে নিয়েছো কৃষ্ণা ও নয়ন

অপ্রস্তুত অবাঞ্ছিত সেই মূহুর্ত দুজনার মনে

অশান্ত সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রচন্ড  আর্তনাদ !

অন্তরীক্ষে শব্দহীন সে ক্রন্দন শুনেও শুনতে

চায় না তোমার মন, প্রতীক্ষিত প্রেমিক আমি

অপেক্ষায় অনন্তকাল হয়তো বা  আগামী জন্মে 

নিশ্চিত কি পাবো কিংবা যদি আমাদের মিলন

নাইবা হলো কোনদিন কি বা এসে যায় ঝুলন?

নতমুখে আপন পথে ফিরে ফিরে যেতে যেতে

বারে বারে তোমার পিছু ফিরে চাওয়া দুচোখে 

বন্যা কি থমকে রয়েছে মুচড়ে  উঠল হৃদয়ের 

তন্ত্রীতে বেজে উঠল ব্যথিত প্রাণিতপ্রাণের প্রেম।

Sunday, 18 June 2017

জীবনের স্মৃতিকথা

আজ এই পারিবারিক, সামাজিক, সামগ্রিক স্বদেশের পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে, অসহ্য হিংস্রতা,
পরস্পরের উপর বল প্রয়োগ, নারীদের সে শিশু কিশোরী যুবতী, মানসিক ভারসাম্য হীনা, বৃদ্ধা ও ধর্ষণের পর
হত্যা করা হয়, যারা বেঁচে থাকে  তাদের প্রতি  হুংকার সতর্কতার জারী হয়, পুলিশের কোর্টে গেলেও আবার তুলে এনে ধন্যবাদ ধর্ষনের শিকার হন।
নিত্য নতুন বধু নির্যাতন, পণের জন্য মারধর টাকা আদায় না হলেই গলা ফাঁস দাও ঝুলিয়ে  পুলিশ এলে বুক
ফুলিয়ে  থানা হাজতে কোর্টে টাকার জোরে বেকসুর খালাস নিতো জামিনে পেয়ে আবার বিবাহে বাসর ঘরে।

ফেরার এসেছে সময়, জন্ম আমার  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন পরাধীন অখন্ড ভারতবর্ষে,  যুদ্ধে পরোক্ষ ভাবে উনিশো তেতাল্লিশ সালে দুর্ভিক্ষ কত লক্ষ  অনাহারে মৃত্যু, মৃত্যুর মিছিল চলেছে স্বাধীনতা আন্দোলন দেশভাগের, পরে শরণার্থীদের সাথে আত্মবিলাপ হাহাকার ক্রন্দন শৈশবেই  আমার আলোড়িত আহত মন। দারিদ্র্যতার সাথে কঠিন সংগ্রাম, যৌবনে প্রারম্ভিক বৈপ্লবিক ভাবাবেগে পাগলের প্রলাপ বহু কাঙ্খিত জীবনের পদ্মপাতায় জল প্রবাহিত হল এই সকল কাব্য  গ্রন্থে,  স্বপ্ন নিহত, লাশ ভেসে যাই তৃষ্ণার জলে, লাঞ্ছিত স্বদেশ, স্বদেশে নির্বাসন।

চুয়াত্তর বছরেও আমি

চুয়াত্তর বছরেও আমি

শ্যামল সোম

গোপনে ভালোবাসি তোমাকে, না
না, ভালোবাসতে হবে না আমাকে।
ভালোবেসে কাছে শুধু আসা নয়
দূর থেকে ভালবেসে পূর্ণ এ হৃদয়।
কেন আমি তোমাকে ভালোবাসি
তুমি  সৌন্দর্যের নক্ষত্র  অরুন্ধতী
কাব্য লিখনে স্বাতী নক্ষত্র পারদর্শী।
তুমিই কি সমুদ্রের সেই প্রচন্ড ঢেউ,
কক্সবাজার থেকে ছুটে এসে কেউ
এ ভাবে আছড়ে পড়ে বুকের পড়?
জীবনের শেষ গোধূলির লগ্নে এলে
হে প্রেম তোমাকে কি দিয়ে বরণ করি?
সম্বল মাত্র এক  ঐ ভালোবাসার কড়ি।
ভব সাগর পার করে দিও ধরে এ হাত,
দোহাই তোমার ছেড়ে যেও না কখন হঠাৎ,
যদি কখন চলে যেতে হয় ক্ষমা কর আমাকে।

Friday, 16 June 2017

হে আমার স্বদেশ


হে আমার স্বদেশ

শ্যামল সোম 

অখন্ড ভারতবর্ষ
খন্ড খন্ড খন্ড খন্ড
ছিলো কি ?
তিন খন্ডে ভাগ
স্বাধীনতা পাক
বিদেশী দেশী
প্রভুর বিধান
না মানলে গর্দান।
হঠাৎই সত্তর
বছরের বৃদ্ধ বৃক্ষ
প্রেমিক ফের কাঁদে।
পণের বলি বোন
মনের চিতায়
জ্বলছে আগুন
নীল  আকাশে
উড়ছে ধোঁয়া
বিস্ফোরণে
ভয়ঙ্কর আতংকে
কাটছে দিন
মরছে মানুষ
মানুষের পাপে
দেবতার অভিশাপে
বেহুঁশ মানুষ মানুষের
স্বধর্ম পালন আমরা
করছি কৈ ?

Thursday, 15 June 2017

মনের চিতায় জ্বলছে আগুন নীল আকাশে উড়ছে ধোঁয়া বিস্ফোরণে ভয়ঙ্কর আতংকে কাটছে দিন মরছে মানুষ মানুষের পাপে দেবতার অভিশাপে বেহুঁশ মানুষ মানুষের স্বধর্ম পালন আমরা করছি কৈ ?

https://m.facebook.com/home.php?s=100017699954733&sstr=117194855547179&stype=s&postid=117194855547179&gfid=AQBmSZMhur_hZlnA&ref=bookmarks&_rdr

মায়ার বন্ধন, চোখের ভাষা, নিজ নিজ ধর্মের ধ্বজা

মায়ার বন্ধন

শ্যামল সোম

ফিরে যাওয়ার সময়ে কেন বিমুগ্ধ
নয়নে বিমোহিত মন মুগ্ধ হয় কেন মগ্ন?
আকাশে গোধূলির রঙে রাঙা লগ্নে।
কেন এখন বহমান নদীর ভাঙনের শব্দ
শুনি হৃদয়ের গহীন অরণ্যে পিঁউ কাঁহা --
পাখী  ডাকে, কেন অসহায় ভেজা চোখে
বারবার পিছু ফিরে চাই জরাগ্রস্ত বাদ্ধকে?
মৃত্যু অবধারিত জেনেও কেন ভয়ার্ত থাকি ?
মৃত্যুর শীতল স্পর্শে হিম হয়ে আসে শরীর
বিপন্নতা বিষন্নতা হতাশা গ্রাস করে নিয়ত।
মায়াচ্ছন্ন দুচোখ খোঁজে প্রিয় সন্তানের মুখ
আত্মীয় স্বজন ফিরিয়েছেন বহুদিন  আগে,
তবু কেন ফিরে আসে ফেলে আসা শৈশব।
কৈশোর উত্তাল  আন্দোলনের ঢেউ যৌবনে
প্রারম্ভিক সর্বহারা  মানুষের শৃঙ্খল উন্মোচনে
ঝাঁপিয়ে পড়া শেষ বিদায় নিয়ে প্রেমিকার কাছ
থেকে গ্রামে ফিরে যাওয়া বিপ্লবের স্বপ্ন নিহত ?
জরা বাদ্ধকে শেষে ধর্মে মতিগতি কেন ফিরলো?
পরকালের চিন্তায়  ঈশ্বরের কাছে ফেরা মৃত্যুর পর
ঈশ্বরের বাগানে ফুল ফোটানোর অভিপ্রায়  এ মায়ায়।

চোখের ভাষায় ভালোবাসা

শ্যামল  সোম

এ আমার শাশ্বত এ প্রেমের অহংকার
সেদিন দুচোখে আমার ছিল নিষ্পলক
দৃষ্টি, তোমার চোখে রেখে চোখ ক্ষণিক
মুগ্ধতা, তাকিয়ে পরস্পরের ঐ দৃষ্টিপাত।
সেই মূহুর্তে, ফিরে গেছি, একবার পিছু না
ফিরে না তাকিয়ে, আমার দৃষ্টির সুতীব্র
আকর্ষনে, আমাকে  না দেখে আজও--
খুঁজছো তুমি আনমনে অবসরে বিষন্ন,
নির্জন বর্ষায় ক্লান্ত দুপুরে, বিনিদ্র রাতে,
আমার চোখে দেখেছিলে অমলিন প্রেম।

নিজ নিজ ধর্মের ধ্বজা  উঁচু করো 
    
( এই লেখাটি উৎসর্গ করলাম যার লেখা পড়ে
অনুপ্রাণিত হই  তিনি এক কলম যোদ্ধা  সাথী  আকতার মহাশয়া)

এসো এসো সনাতনী হিন্দু বৈষ্ণব, শিখ
পারসী মুসলিম খৃষ্টান বৌদ্ধ জৈন লক্ষ
লক্ষ ধর্মের  অনুগামী এসো পরস্পরের
হাতে রেখে হাত ধরেই শান্তি মিছিলে চল
পৃথিবীতে শান্তি সৌভ্রাতৃত্ব সৌহার্দ্য সৌজন্য
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রিত গড়ে তুলতে হবে
আমাদের আগামী প্রজন্মের কল্যাণ মঙলে
যুদ্ধ নয় যুদ্ধ  নয় শান্তির  বাতাবরণ গড়তে চাই।

ভালোবাসার দিবসে, কাল রাতের বেলাইন, কেন কাঁদে মন

ভালোবাসার দিবসে তুমি

বাঁশিওয়ালা

পাগলি তোমাকেই ভালোবেসে,
নির্বাসনে নির্জন দারচিনি দ্বীপে
নূতন সূর্যোদ্বয়ের প্রতি ভোরে
রাঙা আলোয় খুঁজে মন ফেরে
ফেরারী মন স্বপ্নে সারাক্ষণ।
আজ ভালোবাসার দিবসে
বারবার একই ঐ মুখ ভাসে
নির্বাসিত বৃদ্ধের মনের মুকুরে।
তুমি অকারণ রাগে ফেরালে,
সে ধাক্কায় কুয়াকাটার অতলে।
প্রেমের প্রত্যাখানে কেন কেন
বারবার পিছু ফিরে চায় মন ?
পাগলি ফিরে আয়, পাগলি তুই 
এলো যে, তোকে দেখেই  ফিরবো
যাওয়ার অন্তিম ক্ষণ অনন্ত  যাত্রায়।

কাল রাতের বেলায়

শ্যামল সোম  বাঁশিওয়ালা

কাল রাতের বেলায় গান
এলো মোর প্রাণে হঠাৎই
সুন্দরী মেঘ যুবতী রূপ মায়ায়
আমার চোখ ধাঁধিয়ে বললো
এই বুড়ো দিনে দিনে অনেকতো
হলো ঝুলি ভর্তি এত সব স্বপ্ন প্রেম
বিনিদ্র  রাতের ফসল বস্তাপচা
হাজার হাজার জঘন্য লেখা।
এত তাচ্ছিল্য, অভিমান ক্ষোভ
কাব্যের ছেঁড়া পাণ্ডুলিপি যত
সব আবর্জনা ফেলার নাম নেই
জটাই পাখি  আঁকড়ে ধরে সেই
পঞ্চাশ বছর আগের পোকায় কাটা
লেখা এ যেন অমাবস্যা চাঁদের
কলংক এসব পড়বে কে সবাই কবি
ঝপাঝপ করে লিখছে সবই
দুমদাম পোষ্ট করছে নেট এ
বিকাশ করতে হয়  না, হযাঁরে হাবা
মত তাকিয়ে কেন কিরে বোবা
সুন্দরী মেয়ে দেখলেই  চোখের
পলক পরে না, বলিহারি তিন কাল
গিয়ে এখন  এক কালে ঠেকলো
এখন প্রেমের বাসনা গেলো না।
চল চল আমার সঙ্গে মেঘের ঘেয়া
বেয়ে তোকে নিয়ে পালাবো, না না
না পালাবার চেষ্টা করলেই খোঁড়া হবি,
বুড়ো জানিস তো খোঁড়া ঘোড়া রেসের
মাঠে আর কখন  দৌড়তে পারে না।ক
তুই হতভাগ্য মন দিয়ে লেখা পড়া সময়
থাকতে করলি না, ঐ চাকরী ফাঁকি দিয়ে
চলছিল, লেজার  ফাইল শতশত ফাইলে
হিজিবিজি তোর লেখার কাব্য পড়ে কতজন
অনুপ্রাণিত হয়ে  নয়ন ভাসায় আমার মত।

আজ পয়লা ফাল্গুনে

বাঁশিওয়ালা

হাঁগো নীলাঞ্জনা আজ খুব
খুব মনে পড়ছে গো তোমায়
এই বসন্তে অভিসারে এসো
হৃদয়ে গহীনে আমার, জানি
স্বামীর ঘরে ঘেরা টোপে গৃহিণী,
নীলাঞ্জনা ফেরা কোন দিন ফেরা
হবেনা তোমার।
তবুও তোমার বন্ধ  দ্বারে প্রতীক্ষায়
তারা ভরা বিনিদ্র রাতে একাকিত্বে
আলোকিত এ অপূরব জ্যোৎস্নায়
কত যুগ যুগ অপেক্ষার প্রহর
বিষন্নতায় নিমগ্ন আত্মহনন নয়
গোনা যায়, নীলাঞ্জনা এতই নিষ্ঠুর।
সেদিন আপন মনে বাজিয়ে বাঁশি
পথে পথে একা একাই ফিরছিলাম
ফিরছি,  হঠাৎই গোধূলির আলোয়,
" ওগো ও বাঁশিওয়ালা,
ও বাঁশিওয়ালা " ডাক শুনেই
পিছন ফিরেই তাকিয়েই দেখি তুমি
জানালায় তোমার মুখ অশ্রু সজল
চোখে চোখ পড়তেই হৃদয়ে ভূমিকম্প
প্রেমের স্পন্দনে আলোড়িত দুজনার মন।

কেন কাঁদে মন আত্মকথন

শ্যামল সোম

আজ হারিয়ে গিয়েছিলাম কোলকাতার বই মেলার ভীড়ে
আমার আদরের ছোট মা রেশমী ঠিক খুঁজে পেলো,
আশ্চর্য ব্যাপার কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার কৃপা
আশীর্বাদ প্রাপ্ত ছোট মা, নাতি আর এই জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ।
আমার  দু নয়ন ভেসে যায় ছোট মায়ের ভালোবাসায়--
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি কল্যাণ করুন ছোট মায়ের।
হাঁ গো ছোটমা জানো  কোলকাতার বই মেলার ঐতিহ্য
আলাদা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে
বাউল গান, রক  মিউজিক, পুরোনো দিনের গান,
আধুনিক গান, কবিতা পাঠ, আড্ডা চলছে, লটারি
স্পেনের বিখ্যাত সাহিত্যিক  বক্তৃতা দিলেন,
আনন্দ বাজার পত্রিকা
অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অতীতের কর্ণধার "অশোক সরকারের
স্মরণে অভিভাষণ অত্যন্ত সময় উপযোগী অসাধারণ ভাষণ। 
এ ছাড়া কুইজ কমপিটিশন আনন্দের সরোতে ভাসছে সবাই
হৈ হুল্লোড়, আমি বৃদ্ধ বৃক্ষের মতন একাকীত্বে, আপন মুদ্রাদোষ
একা  একা দাঁড়িয়ে দেখছি আর ভাবছি  চলে যেতে
হবে মৃত্যুর ডাক এলে, এই CITY OF JOY KOLKATA
ছেড়ে দীর্ঘশ্বাস অব্যক্ত বেদনা বেদানার্ত হৃদয়ের নীরবে
অশ্রু বর্ষন, কষ্ট হচ্ছে খুব শীঘ্রই কি চলে যেতে হবে ?

বিতর্কিত আমি

বিতর্কিত  আমি    তারিখ- - 15--6--17

শ্যামল সোম

স্বাগতম সুপ্রভাত কল্যান হোক  এই গ্রুপের সবাইর  প্রতি
সন্মান শ্রদ্ধা রেখেই এবং পেয়েও ভালোবাসার কাঙাল আমি,
আমার জীবনের শেষ লগ্নে ক্ষণিকের ভালোবাসা পাথেয় করে
শুধুই তোমাদের ভালোবেসে, ভালোবাসা সাথে নিয়ে চলে যাবো।
বন্ধু অনেক দূরের পথ, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাবে ভক্তেরা

" নরকে পাঠাও দোজখে পাঠাও বেহেস্তে নয় বা স্বর্গে ঠাঁই নেই 
ঐ বৃদ্ধ প্রেমিকের যে মানুষ, আকাশ, নদী সমুদ্রে প্রকৃতিকে ভালোবেসেছে
যে কখনোই ধর্মের আচার, অনুষ্ঠান মানে নাই, মানুষকে ভালোবেসে অপরাধী !"

এই হয় বুড়ো হলে, অবান্তর, আবোলতাবোল বক বক করে, মাফ করবেন
বিনম্র অনুরোধ রইল, আর হাঁ আপনারা সবাই খুব ভাল থাকবেন নিরন্তর।