সুস্বাগতম সুপ্রভাত কল্যান হোক সবার।
পাগলা মনটারে তুই বাঁধ
শ্যামল সোম
মেঘলা দিনে, রইলি পড়ে,
ঘরের কোনে একলাই ,
এখন তুই কাঁদ।
বিছিয়ে আছে বিশ্বজোড়া
মরণ জালের মায়ার ফাঁদ।
কেঁদে কেঁদে নয়ন জলে,
চরণ তাঁর ধুইয়ে দে-রে,
ছেড়ে কামিনী কাঞ্চন,
স্মরণ নে রে প্রভুর চরণ।
মনের যত বাসনা ছিল ও -
যে কেবল মায়ার রঙিন রঙ
সঙ্গী হীন ফানুসের মতন
আসমানে উড়ল হবে?
তোকে যখন যেতেই হবে।
তোর দিন ফুরলো, ও মন,
এবার সাঙ্গ হলো এ ভুবন
জীবনের তোর সকল খেলা।
বৃথা কাজেই সময় গেলো,
ঐ অলসতায়, শুয়ে,বসে
আজীবন কাটলো সারাবেলা।
এখন এই যাওয়ার বেলায়,
করিস কেন ছল, ছল করে তুই একে
একে মনের মানুষ খুজতে গেলি,
শহর গ্রামে হেথায় হোথায়,
ঘুরে ঘুরে একা একা ফিরলি কত,
বিদেশী মুসাফিরের মত।
প্রভুর কৃপায় পেলি মন্ত্র,
সেই সে বানী, তাও খোয়ালি,
এখন জ্বলে পুড়ে পোড়া গাছের শরীরে,
সকল পাতাই গেছে ঝরে।
ফুল ফোঁটে না, পোড়া গাছের ডালে
দোল খায় না পাখী,
ঐ যে বহিছে নদী, সেই নদীর
তীরেই শ্মশান, জ্বলছে চিতা।
উড়ছে ছাই, ডাকছে নদী,
তুই নদীর ডাকে, শক্ত করে মনকে
বেঁধে, ঐ নদীর জলে ডুবে
চলরে ভেসে নদীকে ভালোবাসে।
পাগলা তোর ঐ লালায়িত লালসা,
কামনায় ভোগের ভাবনায়,
দে দে ওরে আগুন জ্বেলে দে।