পারাপার
চরিত্রের মেক আপ Requisitions shots division এক সঙ্গে সব।
ধন ধান্য পুস্পে ভরা আমাদেরই এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে সে এক সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি ।
পরিচয় লিপি ধারা বিবরণী
এর মাঝে ভারতবর্ষের গভীর রাতে 15 th, August 1947
mid night speches of Pandit Jaharlal Nahuru
শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ পরক্ষণেই শরণার্থীদের পদ যাত্রা।
সিলুটে নদীর ধার ধরে দল সার বেঁধে সূর্য ওঠার আগে পেছনে নদী
কুল কুল করে বহে যাচ্ছে, শিবনাথ লাঠিতে ভর দিয়ে নাতী অমল কে
নিয়ে বসীর আহমেদ কাঁধে হাত রেখে হেঁটে চলছেন।
শরণার্থী হয়ে ওঠে ওপারে, ভারতে পশ্চিমবঙ্গ এ।
গ্রামের বাসিন্দা ওরা, শিবনাথ এর জিনিষ পত্র নিয়ে লোক জন,
অমলের হাতে খাঁচা পাখি সমেত হাঁটছে।
মিছিল করে আসছে।
গাছের তলায় বসে আছে শিবনাথ, অমল নাতী, পুত্র বঁধু জয়া
জয়া হেলান দিয়ে বিধস্তা ধর্ষিতা চোখ মুখ আতংকিতা।
Flash back
শিবনাথ স্ত্রী মারা গেছে দাঙ্গার একমাত্র পুত্র সোমনাথ খুন ও
বাপের বাড়িতে আসা লক্ষী কে পাঁজা কোলা করে তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
উমা ধর্ষিতা হচ্ছে বা হয়েছে।
পানা পুকুরে বা নদীর জলে বা জঙ্গলে
সারা দিন ছেলে অমল কে নিয়ে জয়া দৌড়ে যাচ্ছে চোখে মুখে
উৎকণ্ঠা, জয়া আতংকিতা
পুত্র বঁধু জয়া অমল কে নিয়ে লুকিয়ে আছে জঙ্গলে ।
আতংকিত শিবনাথের পরিবার জঙ্গলে পরস্পর পরস্পরকে
জড়িয়ে ধরে ভয়ার্ত বিস্মিত চোখে তাকিয়ে আছে নেপথ্যে
শোনা যাচ্ছে স্লোগান ---" নাড়িয়ে তকদির আল্লাহ হো আকবর --" ।
দাউ দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনে বাড়ি ধানের গোলা,
শোকাচ্ছন্ন পরিবার একসাথে বিষন্নতা বিষাদে পাষান মূর্তি ।
শিবনাথ বিধস্ত, কিং কতব্য বিমূঢ়, চোখের কোনে কালি,
শোকে মন্দির ও রাধা গোবিন্দ ভাঙ্গার শোকে নদীর ধারে
মুখ ঘষছে হুহু করে কাঁদছে।
খালি গায়ে ধুতি পড়ে নাতী, ছোট ইজের পরে, শিবনাথের
পুত্র সোমনাথ এর চিতায় শিবনাথ বসীর এক সঙ্গে
আমলের হাতে আগুন নিয়ে দিনের বেলা চিতায় আগুন দিতে যাচ্ছে।
অমলের কাঁচা গলায় চাবি দিতে বাঁধা নদীর ধারে, শিবনাথ
পুত্রের অস্তি নদী জলে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে
back ground
গীতা থেকে পাঠ যে বলা হচ্ছে আত্মার বিনাশ নেই পুরাতন
পোষাক ছেড়ে ---"
অমল কাঁচা গলায় পাখী সমেত খাঁচা নিয়ে পাখীর বারবার দেখা
পাখী কে খাওয়া নো। বারে বারে আসবে। নেপথ্যে শোনা যাবে
লালনের গান --" খাঁচার ভিতর অচিন পাখী কেমনে আসে যায়। "
Present
শিবনাথ ভিজে ধুতি পরা অবস্থা নদী থেকে
উঠে এসে গামছা দিয়ে মাথা মুছে
বাল্যবন্ধু বসীর আহমেদ সামনে দাঁড়িয়ে আছে
বসীর লুঙ্গি ফতুয়া ও টপিক এগিয়ে দেন
শিবনাথ পৈতা ও তুলসী মালা খুলে বা ছিড়ে গলায়
ঝোলানো থলি তে রেখে দেন। লুঙ্গি নেন,
ধুতি খুলে লুঙ্গি পরে নেন।
ফতুয়া ও মাথা টপিক বসীর পড়িয়ে দেন।
নাপিতের হাত ছোট আয়না শিবনাথের গাল ভর্তি
দাড়ি গোঁফ কেটে মুসলিম মতো দাড়ি করে দেয়।
Flash Back
নদীর পারে দাঁড়িয়ে গ্রামের বাসিন্দা মহিলারা উলু ধ্বনি
শঙ্খ বাজিয়ে হাসাহাসি করছেন।
পেছনে জোড়ে সোমনাথ বরের বেশে মাথায় টোপর,
গাঁট ছড়া বাঁধা অবস্থা দুজনে নৌকোর ছই থেকটট
জয়া বিয়ের কনের সাজে নৌকো থেকে হাসি হাসি
আনন্দে উদ্ভাসিত মুখে সাজ সজ্জিতা পায়ে হালকা
পরে যাতে ধুয়ে ফেলা যাবে --
Flash back
পারে দাঁড়িয়ে মহিলা, বরণ ডালা সাজিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
নেপথ্যে সানাই সুর ভেসে আসছে।
পুরুষদের মধ্যে
বসীর ও শিবনাথ পরস্পরকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে
খুশির আনন্দে বা আর কিছু দৃশ্য আনন্দের স্মৃতি ।
শিবনাথ রাধা গোবিন্দ মন্দিরে আরতি করছেন।
Back ground শোনা যাচ্ছে -- গুরু ব্রক্ষ্ম গুরু বিষ্ণু --
ওঁ নমো ব্রাহ্মণ্য এ দেবায় গো ব্রাহ্মণেএ হিতায়চ --"
দিনের বেলা শিবনাথের দাওয়ার পরে উমার সাথে সবাই গাইছে
" ধন ধান্য পুস্পে ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা তাহার মাঝে
আছে সে এক সকল দেশের সেরা --"
দিনের বেলা উঠোনে সোমনাথ আড়াই পেঁচা জবাই করা
পাঁঠা মতো ছট ফট করছে ।রক্তাক্ত দেহ গলা।
দিনের বেলা নদীর ধারে শিবনাথ মাটি মুখ ঘষছে হুহু
কাঁদছে, সবাই চেষ্টা করছে শিবনাথ কে শান্ত করার।
জয়া শোকে পাতার মূর্তি অমুকের জড়িয়ে ধরে বসে
আকুল নয়নে কাঁদছে, দু চোখে জল সব সময়ই টলটল করবে ।
Flash back
দিনের বেলা জয়া সিঁথির সিঁদুর ধেবড়ে গেছে আবছা লাল রঙ
মুখে গালে জয়া রঙিন ভেজা শাড়ি পরনে নদীর জল
থেকে উঠে এসে কোমরে বাঁধা
গামছা খুলে চুল মুছে একটা হাতে বাড়িয়ে হাতে ধরা থান
কাপড় না নেয়।
চোখে জল নীরবে ঝরছে মাঝে মাঝে
শরীর কেঁপে উঠছে হু হু বেদনায় কষ্ট হচ্ছে জয়ার।
Present time নদীর ধারে
জয়া ক্রোধে ফেটে পড়ছে, দাঁতে দাঁত চেপে চোয়াল শক্ত
থানার কাপড় পরে গলায় তুলসী মালা তাবিজ মাদুলি ছিড়ে
ফেলে দেয়, আয়েশা বিবি বসীর এর স্ত্রী হাত থেকে
রঙিন শাড়ি নেয়।
উমা বিধস্তা ধর্ষিতা চোখ মুখ বসে গেছে থেকে
থেকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে, মুসলিম বান্ধবীরা
ব্যস্ত হয়ে পানী বদনা থেকে চোখে মুখে ছিটিয়ে দিচ্ছে
পানী খাওয়ায়, বান্ধবীরা উমা বুকে জড়িয়ে কাঁদছে।
Flash back
দিনের বেলা
উমা ও বান্ধবীরা ভীষণ খুশিতে নদীর
জলে স্নান করতে পরস্পরের গায়ে জল ছেটানো ।
Flash back
আসন্ন সন্ধ্যা বেলা
তুলসী মঞ্চে সামনে জয়া প্রদীপ জ্বেলে,
আরতি করে মাথায় ঘোমটা টেনে আর
গলায় আঁচল টেনে জড়িয়ে হেঁট হয়ে বসে
প্রণাম করে। শঙ্খ বাজায় জয়া।
দূরে উমা গাছ তলায় বা দাওয়ার পরে বসে খুঁটিতে হলাম দিয়ে
গাইছে, "" আমার দূখের প্রদীপ জ্বেলে করবো নিবেদন
আমার ব্যাথার পুজো হয়নি সমাপন। "
Present time নদীর ধারে
আগুন জ্বেলে আয়েশা বিবি বসীরের স্ত্রী হাড়িতে ভাত রান্না করছে।
জয়া কে রঙিন শাড়ি মুসলিম রমনী মতো মাথা ঢেকে
কপালে ও কানের পাশ দিয়ে পড়িয়ে দেন আয়েশা বিবি।
আয়েশা বিবি জয়া কে বুকে জড়িয়ে কত না বলা কথা
চোখের ভাষায় বলে যায়।
হাতে লাটির নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটি গাছের আড়ালে বসীর ও
গফুর এর সাথে।
বসীর টাকার থলি এগিয়ে দেন দুজনে দিকে তাকিয়ে আছেন।
পরস্পরের দিকে চার জোড়া চোখে জল টল টল করছে।
হঠাৎই প্রচন্ড আবেগে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে।
নদীর ধারে দিনের বেলা
জয়া অমলের কাঁচা খুলে তুলসী মালা ছিঁড়ে
মাদুলি সুতো দাঁত দিয়ে কেটে
দূরে রেগে ছুড়ে ফেলে দেয়, রাগে দুঃখে ক্ষোভে,
হঠাৎই অমলের অন্যমনস্ক, চলে যেতে চেষ্টা করলে
ঠাস করে একটা চড় মারে, অমল কেঁদে ওঠে।
আয়েশা দ্রুত, অমলের কান্না ভোলাতে চেষ্টা করছে।
কষ্টের বেদনা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে।
আয়েশা সাহায্য এ উমা ছেলেকে ছোট লুঙ্গি
বা রঙিন কাপড় পরিয়ে দেয়।
জয়া অসহ্য ভাবে ক্রোধে ফেটে পড়ে জয়া দুঃখ শোকে
যন্ত্রনা অসহ্য বেদনা রূপ ঐ ক্রোধ হিংস্র চোখ জয়া উমাকে জোর
করে মাটি থেকে টেনে তুলে
উমার গলা থেকে ঐ তুলসী মালা মাদুলি দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়ে।
উমার পরনের রঙিন শাড়ি বসীর স্ত্রী আয়েশা ঐ মুসলিম
রমনী মতো মাথা ঢেকে কপালে ও কানের পাশ দিয়ে পড়িয়ে দেন।
আয়েশা বিবি অমল কে কোলে বসিয়ে কলা পাতা থেকে খাইয়ে দিচ্ছে
শিবনাথ বসীর পাশাপাশি বসে খাচ্ছে
আয়েশা বিবি পরিবেশন করছে, জোর করছে,
শিবনাথ মাথা নেড়ে বারণ করছেন।
উমা কে জড়িয়ে বান্ধবীরা কাঁদছে। পাষাণ মূর্তি উমা বিষাদে
দু চোখে জল।
অমল খাঁচা দরজা খুলে দেয়, পাখি উড়ে যাচ্ছে, উড়ে যাওয়া দূরে দিগন্তে
শিবনাথ হাঁটু গেড়ে বসে জমিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলেন বসীর
শিবনাথ কে টেনে তোলেন।
সবাই মিলে পরস্পরের কাছে বিদায় নিয়ে জড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে থাকে।
একে একে গ্রামের বাসিন্দা বসীর ওঠে আয়েশা বিবির সাহায্য নিয়ে
হাত ধরে যত্ন করে
সবাই ধরাধরি করে নৌকা তে তুলে দেন।
কিছু জিনিস পত্র তুলে দেন।
শূণ্যে খাঁচা পড়ে থাকে।
মাঝি লগি ঠেলে নৌকো ভাসাতে বৈঠা ঠেলছে।
অমলের কাছে বসে বা দাঁড়িয়ে শিবনাথ হাত যোড়হাতে করে
দেশমাতৃকা উদ্দেশ্য এ প্রণাম করলেন, পৈতা - নারায়ণ শিলা,
ঝুলি থেকে বের নদীর জলে ছুড়ে ফেলে দেন।
অমল অবাক হয়ে চিৎকার করে ওঠে ( যেন বলতে চায় এ কি করলেন )
এপারে দাঁড়িয়ে গ্রামের বাসিন্দা বসীর সবাই বিদায়ী হাত নাড়িয়ে
শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।
ভুপেন হাজারিকা গান --: বিস্তীর্ণ দু ধারে অসংখ্য মানুষের হাহাকার শুনে
ও গঙ্গা তুমি ও পদ্মা তুমি বলছো কেন ?
এই দৃশ্য কটা সংযোজন করা হবে।
1) দিনের বেলা
রাধাকান্তের মন্দিরে
বাবা শিবনাথ পরণে ধুতি নামাবলি
হাতে ঘন্টা নেড়ে, পঞ্চ প্রদীপ জ্বালানো
অবস্থাই আরতি করছে।
2) রাতে বেলায় হারিকেন আলো
দাওয়ায় / ঘরে শিবনাথ বাবা পুঁথি
বা চুড়ি সূতা নিয়ে সেলাই করছে।
3) দিনের বেলা
শিবনাথ বাবা ঠাকুরের বাসন মাজছে।
4) দিনের বেলা
শিবনাথ পৈতা খালি গায়ে গাছের পরিচর্যা করছে।
5) দিনের বেলা গাছের তলায় মাদুর
পেতে শিবনাথ ধুতি ফতুয়া পড়ে,
গাঁয়ের লোকের নাড়িয়ে টিপে চোখ টেনে দেখে
হোমিয়প্যাথি বাক্স থেকে ঔষধ দিচ্ছে ।
6)
দিনের বেলা
গাছের তলায় মুসলমান সাজার আগে বা পড়ে
একজন বসীর ও হতে পারে অন্য কেউ হতে পারে
টাকার থলি বা বটুয়া শিবনাথ বাবা কে দিচ্ছে
শিবনাথ ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে।
গলিসারিন চোখে জল আনতে লাগবে।
মেকআপ লোকটি সাথে যেন থাকে।
7)
দিনের বেলা মাটির বাড়িতে দাওয়ার উপরে
প্রিয়ংকা মা শিবনাথ মানে আমাকে
থালা মুসলমান কলাই সানকি
থালাতে ভাত তরকারি খেতে
দিয়েছে, শিবনাথ গলায় পৈতা গালি গা একা
খাচ্ছে গোগ্রাসে গিলছে
উনি তালপাতার হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছেন।
শিবনাথ হঠাৎই খেতে খেতে বিষম খেয়ে কেশে উঠলো
মুসলমান রমনী হাতে জল খেতে থাকে।
8)
খিদে পেলে মরার ভয়ে এই ধর্মের
হিন্দু মুসলিম বিদ্বেষ ঘৃণা
অছূত এর ওপরে আঘাত করতে মুসলমান
জননীর হাতে জল ভাত খেতে আপত্তি নেই।
9)
দিনের বেলা গাছের তলায় মাদুর পেতে
শিবনাথ মানে আমি শুয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি
শৈশব আনন্দ ঘন মূহুর্তে স্মৃতি
যা Animation করা হবে
As Rajat shuvra dreams.
10)
দিনের বেলা
গাছের তলায় বা
নদীর জলের ধারে
বাবা চরিত্রের শিবনাথ ধুতি পৈতা
তুলসী মালা তাবিজ মাদুলি পড়া
সে তার খুন হয়ে যাওয়া ছেলের
সোমনাথের শ্রাদ্ধ এর পারলৌকিক কাজ করছে
বেল গাছের কাঠ এর টুকরো আগুনে জ্বলছে
হোম হচ্ছে যেমন কলা পাতাতে আতপ
চালের পিনডি সাজানো পৈতে ধরে মন্ত্র পাঠ
হঠাৎই
জোয়ারে জল এসে সব ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment