ভালোবাসার দিবসে তুমি
বাঁশিওয়ালা
পাগলি তোমাকেই ভালোবেসে,
নির্বাসনে নির্জন দারচিনি দ্বীপে
নূতন সূর্যোদ্বয়ের প্রতি ভোরে
রাঙা আলোয় খুঁজে মন ফেরে
ফেরারী মন স্বপ্নে সারাক্ষণ।
আজ ভালোবাসার দিবসে
বারবার একই ঐ মুখ ভাসে
নির্বাসিত বৃদ্ধের মনের মুকুরে।
তুমি অকারণ রাগে ফেরালে,
সে ধাক্কায় কুয়াকাটার অতলে।
প্রেমের প্রত্যাখানে কেন কেন
বারবার পিছু ফিরে চায় মন ?
পাগলি ফিরে আয়, পাগলি তুই
এলো যে, তোকে দেখেই ফিরবো
যাওয়ার অন্তিম ক্ষণ অনন্ত যাত্রায়।
কাল রাতের বেলায়
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা
কাল রাতের বেলায় গান
এলো মোর প্রাণে হঠাৎই
সুন্দরী মেঘ যুবতী রূপ মায়ায়
আমার চোখ ধাঁধিয়ে বললো
এই বুড়ো দিনে দিনে অনেকতো
হলো ঝুলি ভর্তি এত সব স্বপ্ন প্রেম
বিনিদ্র রাতের ফসল বস্তাপচা
হাজার হাজার জঘন্য লেখা।
এত তাচ্ছিল্য, অভিমান ক্ষোভ
কাব্যের ছেঁড়া পাণ্ডুলিপি যত
সব আবর্জনা ফেলার নাম নেই
জটাই পাখি আঁকড়ে ধরে সেই
পঞ্চাশ বছর আগের পোকায় কাটা
লেখা এ যেন অমাবস্যা চাঁদের
কলংক এসব পড়বে কে সবাই কবি
ঝপাঝপ করে লিখছে সবই
দুমদাম পোষ্ট করছে নেট এ
বিকাশ করতে হয় না, হযাঁরে হাবা
মত তাকিয়ে কেন কিরে বোবা
সুন্দরী মেয়ে দেখলেই চোখের
পলক পরে না, বলিহারি তিন কাল
গিয়ে এখন এক কালে ঠেকলো
এখন প্রেমের বাসনা গেলো না।
চল চল আমার সঙ্গে মেঘের ঘেয়া
বেয়ে তোকে নিয়ে পালাবো, না না
না পালাবার চেষ্টা করলেই খোঁড়া হবি,
বুড়ো জানিস তো খোঁড়া ঘোড়া রেসের
মাঠে আর কখন দৌড়তে পারে না।ক
তুই হতভাগ্য মন দিয়ে লেখা পড়া সময়
থাকতে করলি না, ঐ চাকরী ফাঁকি দিয়ে
চলছিল, লেজার ফাইল শতশত ফাইলে
হিজিবিজি তোর লেখার কাব্য পড়ে কতজন
অনুপ্রাণিত হয়ে নয়ন ভাসায় আমার মত।
আজ পয়লা ফাল্গুনে
বাঁশিওয়ালা
হাঁগো নীলাঞ্জনা আজ খুব
খুব মনে পড়ছে গো তোমায়
এই বসন্তে অভিসারে এসো
হৃদয়ে গহীনে আমার, জানি
স্বামীর ঘরে ঘেরা টোপে গৃহিণী,
নীলাঞ্জনা ফেরা কোন দিন ফেরা
হবেনা তোমার।
তবুও তোমার বন্ধ দ্বারে প্রতীক্ষায়
তারা ভরা বিনিদ্র রাতে একাকিত্বে
আলোকিত এ অপূরব জ্যোৎস্নায়
কত যুগ যুগ অপেক্ষার প্রহর
বিষন্নতায় নিমগ্ন আত্মহনন নয়
গোনা যায়, নীলাঞ্জনা এতই নিষ্ঠুর।
সেদিন আপন মনে বাজিয়ে বাঁশি
পথে পথে একা একাই ফিরছিলাম
ফিরছি, হঠাৎই গোধূলির আলোয়,
" ওগো ও বাঁশিওয়ালা,
ও বাঁশিওয়ালা " ডাক শুনেই
পিছন ফিরেই তাকিয়েই দেখি তুমি
জানালায় তোমার মুখ অশ্রু সজল
চোখে চোখ পড়তেই হৃদয়ে ভূমিকম্প
প্রেমের স্পন্দনে আলোড়িত দুজনার মন।
কেন কাঁদে মন আত্মকথন
শ্যামল সোম
আজ হারিয়ে গিয়েছিলাম কোলকাতার বই মেলার ভীড়ে
আমার আদরের ছোট মা রেশমী ঠিক খুঁজে পেলো,
আশ্চর্য ব্যাপার কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার কৃপা
আশীর্বাদ প্রাপ্ত ছোট মা, নাতি আর এই জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ।
আমার দু নয়ন ভেসে যায় ছোট মায়ের ভালোবাসায়--
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি কল্যাণ করুন ছোট মায়ের।
হাঁ গো ছোটমা জানো কোলকাতার বই মেলার ঐতিহ্য
আলাদা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে
বাউল গান, রক মিউজিক, পুরোনো দিনের গান,
আধুনিক গান, কবিতা পাঠ, আড্ডা চলছে, লটারি
স্পেনের বিখ্যাত সাহিত্যিক বক্তৃতা দিলেন,
আনন্দ বাজার পত্রিকা
অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অতীতের কর্ণধার "অশোক সরকারের
স্মরণে অভিভাষণ অত্যন্ত সময় উপযোগী অসাধারণ ভাষণ।
এ ছাড়া কুইজ কমপিটিশন আনন্দের সরোতে ভাসছে সবাই
হৈ হুল্লোড়, আমি বৃদ্ধ বৃক্ষের মতন একাকীত্বে, আপন মুদ্রাদোষ
একা একা দাঁড়িয়ে দেখছি আর ভাবছি চলে যেতে
হবে মৃত্যুর ডাক এলে, এই CITY OF JOY KOLKATA
ছেড়ে দীর্ঘশ্বাস অব্যক্ত বেদনা বেদানার্ত হৃদয়ের নীরবে
অশ্রু বর্ষন, কষ্ট হচ্ছে খুব শীঘ্রই কি চলে যেতে হবে ?
No comments:
Post a Comment