মায়ার বন্ধন
শ্যামল সোম
ফিরে যাওয়ার সময়ে কেন বিমুগ্ধ
নয়নে বিমোহিত মন মুগ্ধ হয় কেন মগ্ন?
আকাশে গোধূলির রঙে রাঙা লগ্নে।
কেন এখন বহমান নদীর ভাঙনের শব্দ
শুনি হৃদয়ের গহীন অরণ্যে পিঁউ কাঁহা --
পাখী ডাকে, কেন অসহায় ভেজা চোখে
বারবার পিছু ফিরে চাই জরাগ্রস্ত বাদ্ধকে?
মৃত্যু অবধারিত জেনেও কেন ভয়ার্ত থাকি ?
মৃত্যুর শীতল স্পর্শে হিম হয়ে আসে শরীর
বিপন্নতা বিষন্নতা হতাশা গ্রাস করে নিয়ত।
মায়াচ্ছন্ন দুচোখ খোঁজে প্রিয় সন্তানের মুখ
আত্মীয় স্বজন ফিরিয়েছেন বহুদিন আগে,
তবু কেন ফিরে আসে ফেলে আসা শৈশব।
কৈশোর উত্তাল আন্দোলনের ঢেউ যৌবনে
প্রারম্ভিক সর্বহারা মানুষের শৃঙ্খল উন্মোচনে
ঝাঁপিয়ে পড়া শেষ বিদায় নিয়ে প্রেমিকার কাছ
থেকে গ্রামে ফিরে যাওয়া বিপ্লবের স্বপ্ন নিহত ?
জরা বাদ্ধকে শেষে ধর্মে মতিগতি কেন ফিরলো?
পরকালের চিন্তায় ঈশ্বরের কাছে ফেরা মৃত্যুর পর
ঈশ্বরের বাগানে ফুল ফোটানোর অভিপ্রায় এ মায়ায়।
চোখের ভাষায় ভালোবাসা
শ্যামল সোম
এ আমার শাশ্বত এ প্রেমের অহংকার
সেদিন দুচোখে আমার ছিল নিষ্পলক
দৃষ্টি, তোমার চোখে রেখে চোখ ক্ষণিক
মুগ্ধতা, তাকিয়ে পরস্পরের ঐ দৃষ্টিপাত।
সেই মূহুর্তে, ফিরে গেছি, একবার পিছু না
ফিরে না তাকিয়ে, আমার দৃষ্টির সুতীব্র
আকর্ষনে, আমাকে না দেখে আজও--
খুঁজছো তুমি আনমনে অবসরে বিষন্ন,
নির্জন বর্ষায় ক্লান্ত দুপুরে, বিনিদ্র রাতে,
আমার চোখে দেখেছিলে অমলিন প্রেম।
নিজ নিজ ধর্মের ধ্বজা উঁচু করো
( এই লেখাটি উৎসর্গ করলাম যার লেখা পড়ে
অনুপ্রাণিত হই তিনি এক কলম যোদ্ধা সাথী আকতার মহাশয়া)
এসো এসো সনাতনী হিন্দু বৈষ্ণব, শিখ
পারসী মুসলিম খৃষ্টান বৌদ্ধ জৈন লক্ষ
লক্ষ ধর্মের অনুগামী এসো পরস্পরের
হাতে রেখে হাত ধরেই শান্তি মিছিলে চল
পৃথিবীতে শান্তি সৌভ্রাতৃত্ব সৌহার্দ্য সৌজন্য
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রিত গড়ে তুলতে হবে
আমাদের আগামী প্রজন্মের কল্যাণ মঙলে
যুদ্ধ নয় যুদ্ধ নয় শান্তির বাতাবরণ গড়তে চাই।
No comments:
Post a Comment