Wednesday, 31 January 2018

ভালোবাসার বাংলাদেশে

ভালোবাসে বাংলাদেশে

শ্যামল  সোম

ভালো মানুষের  খোঁজে
আসি বারে বারে
এই বাংলায়  বাংলাদেশে,
ফিরে চলে যেতে হয়,
কাঁটাতারের বেড়ারওপারে,
কেন এত বেদনা  অবাধ্য সময়ে।
কেন ফিরে ফিরে  আসা,  ভেসে
ভেসে  গঙ্গা থেকে  রূপবতী  পদ্মায়।
ভালো মানুষের  খোঁজে
কখন পাবনায় দিলু,
ঢাকায় ইতি, শায়লা,
কুষ্ঠিয়ায় মা ফারহানা,
শাহাজাদ পুরে জননী
হালিমার স্নেহ ছায়া,
মুসাফির  মতো কখন
রংপুরে নাবিলা কাছে
সিলেটে  জননী সুফিয়ার
আদর যত্নে অতিষ্ঠ,
বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায়
কন্যাহীন পিতা আমার হৃদয়ে।
ঢাকায় বদরুল ভাই  আপন ভাইয়ের
চেয়ে কাছে এক ভালো মানুষের কাছে
আসা, ঠিক  এ ভাবে ভালোবাসার
অমোক টানে সালেক ভাইয়ের কাছে
থেকে অযাচিত দান গ্রহন অনীহায়
প্রেমের  ধমকে চোখে জল টল টল করে।
অতিথি  দেব ভব, ভারতে শুনেছি সকর্ণে
প্যাকটিকাল বেদান্ত পূঁথীগত বিদ্যা নয়।
দৈনন্দিন  ব্যবহারিক জীবনে  প্রতিফলন
অতিথি রূপে পঞ্চাশ বছর  আসা যাওয়ায়
হাজার মা, জননী বোনেদের  এবং
ভাইয়েদের নিমন্ত্রণে দু চার আত্মার
কাছাকাছি থেকে অভিজ্ঞতা হৃদয়ের
স্থায়ী বাস করছেন দিলদার বিনদাস
ভালো সত মানুষের  এক এক জন
প্রতিক, প্রেমের কাব্যের প্রতিপ্রতিক এঁরৃ
মনজুর মুরসেদ ভাই, অখন ভাই
অকৃত্রিম ভালবাসা এ ঋণ রয়ে যায়।
প্রাক্তন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার
তাঁর  নাসির সাহেব সংস্কৃতভাষা
শিখে সনাতনে ধর্ম তত্ত্ব অনুসন্ধানে
দেশ বিদেশের  অনুষ্ঠানে বক্তব্য
পেশ করে আনন্দে সদা হাস্য মুখ। 
ঐ মীরপুরে শিলুর কন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ
ছন্দের আনন্দে অপেক্ষায়  থাকে মন,
কখন তাঁর বাহাত্তর বছরের খোকা ফিরবে,
গোবিন্দ গঞ্জে শান্তা ও ডলির
স্নেহের পরশ,স্বপনে আপ্লুত হয়ে আছি।

ভালোবাসার বাংলাদেশে

ভালোবাসে বাংলাদেশে

শ্যামল  সোম

ভালো মানুষের  খোঁজে
আসি বারে বারে
এই বাংলায়  বাংলাদেশে,
ফিরে চলে যেতে হয়,
কাঁটাতারের বেড়ারওপারে,
কেন এত বেদনা  অবাধ্য সময়ে।
কেন ফিরে ফিরে  আসা,  ভেসে
ভেসে  গঙ্গা থেকে  রূপবতী  পদ্মায়।
ভালো মানুষের  খোঁজে
কখন পাবনায় দিলু,
ঢাকায় ইতি, শায়লা,
কুষ্ঠিয়ায় মা ফারহানা,
শাহাজাদ পুরে জননী
হালিমার স্নেহ ছায়া,
মুসাফির  মতো কখন
রংপুরে নাবিলা কাছে
সিলেটে  জননী সুফিয়ার
আদর যত্নে অতিষ্ঠ,
বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায়
কন্যাহীন পিতা আমার হৃদয়ে।
ঢাকায় বদরুল ভাই  আপন ভাইয়ের
চেয়ে কাছে এক ভালো মানুষের কাছে
আসা, ঠিক  এ ভাবে ভালোবাসার
অমোক টানে সালেক ভাইয়ের কাছে
থেকে অযাচিত দান গ্রহন অনীহায়
প্রেমের  ধমকে চোখে জল টল টল করে।
অতিথি  দেব ভব, ভারতে শুনেছি সকর্ণে
প্যাকটিকাল বেদান্ত পূঁথীগত বিদ্যা নয়।
দৈনন্দিন  ব্যবহারিক জীবনে  প্রতিফলন
অতিথি রূপে পঞ্চাশ বছর  আসা যাওয়ায়
হাজার মা, জননী বোনেদের  এবং
ভাইয়েদের নিমন্ত্রণে দু চার আত্মার
কাছাকাছি থেকে অভিজ্ঞতা হৃদয়ের
স্থায়ী বাস করছেন দিলদার বিনদাস
ভালো সত মানুষের  এক এক জন
প্রতিক, প্রেমের কাব্যের প্রতিপ্রতিক এঁরৃ
মনজুর মুরসেদ ভাই, অখন ভাই
অকৃত্রিম ভালবাসা এ ঋণ রয়ে যায়।
প্রাক্তন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার
তাঁর  নাসির সাহেব সংস্কৃতভাষা
শিখে সনাতনে ধর্ম তত্ত্ব অনুসন্ধানে
দেশ বিদেশের  অনুষ্ঠানে বক্তব্য
পেশ করে আনন্দে সদা হাস্য মুখ। 
ঐ মীরপুরে শিলুর কন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ
ছন্দের আনন্দে অপেক্ষায়  থাকে মন,
কখন তাঁর বাহাত্তর বছরের খোকা ফিরবে,
গোবিন্দ গঞ্জে শান্তা ও ডলির
স্নেহের পরশ,স্বপনে আপ্লুত হয়ে আছি।

আমার প্রথিত প্রেম বাংলাদেশে

আমার প্রথিত প্রেম বাংলাদেশে

শ্যামল সোম  বাঁশিওয়ালা

আমার বনানী তুমি আছো কেমন ?
সৌন্দর্যে তোমার সান্নিধ্যে আত্মিক
গানে গানে আনন্দে কটা দিন সার্বিক,
আমার বনানী ভালোবাসার মানুষকেই
ভালোবেসেই কতশত গান শোনাই এই
রবীন্দ্রনাথের গান, " কাঁদালে
আমারে ভালোবাসারই  ঘায়ে।"
বন্য প্রেম বনানী তোমার আগ্রাসী চুম্বনে,
শারিরীক ও মানসিক আকর্ষনে জীবন্ত ;
প্রেম তোমার আলিঙ্গনে শঙ্খিনী যে
ভাবে জড়িয়ে লতা মতন আমার সকল
সত্বা চৈতন্য লোভ  আমাকেও স্বপ্নে,
বিভোর মোহাচ্ছন্ন বিমোহিত মন প্রথম
প্রেম আস্বাদনে নিজেকে হারিয়ে যাওয়ার-
ভয়ে, বনানী তোমাকে না বলে হঠাৎই
উল্কা বেগে পালিয়ে এলাম বিমানে ওঠার
আগেও অবাধ্য মন ছুটে যেতে চাই ছিল।
তোমার কাছে, চুয়াত্তর বছরের বৃদ্ধের
জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ অসুস্থ তবু ধুলোর
পড়েও বনানী তোমাকেই খোঁজে কেন মন।
পালালাম তোমার ব্যাসার্ধে নাগালে বাহিরে
তোমার রূপ লাবণ্য মসৃণ ত্বক কাজল
কালো চোখের তারাতে  জ্বলে স্ফুলিঙ্গ দৃষ্টি,
সম্মুখে থরথর করে কাঁপি ঝাপসা হয়ে আসে
ছানি পরা আমার দুচোখে ভালোবাসা আকুল
বন্যা  আসে বনানী তোমাদের ভালোবাসায়।
আমি ভালোবেসে তোমার কন্ঠে  গান শুনে,
মুগ্ধ, ধন্য প্রেমে ধন্য ধন্য ধন্য ধন্য  এ বৃদ্ধ।
মনে রবে, মৃত্যুর পূর্ণিমায় তোমার কল্যান হোক।

উপড়ে ফেলেছি কাঁটাতারের বেড়া

উপড়ে ফেলেছি কাঁটাতারের বেড়া

শ্যামল সোম    ( উৎসর্গীত আমার ভীষণ প্রিয় বন্ধু বোন শেফালী হোসেন বিখ্যাত স্নামধন্যা কবি )

সূর্যোদ্বোয়ের উজ্বল আলোয় আলোয়
উদ্ভাসিত আমার তোমার প্রিয় মায়ায়
ভরা ধন ধান্য পুষ্পে ভরা বর্ষায় বরষণে
দিঘি ও ডাহরে পুকুরের পানিতে ভাসমান
রক্তিম লালিমায় লালা গোলাপি শালুক।
যেন সবুজ পদ্ম পাতায় ভালবাসায় ফোঁটা
লাল শালুক ফুল বাংলাদেশের এই পতাকা।
বোন আমার ভুবন জয়ের সামর্থ কাব্য লেখা
শেফালী বোন তোমার আমার ভাইবোনের--
সম্পর্ক মেহেরবানের মঙলময় প্রভুর আশীর্বাদে,
বাংলাদেশের যত ভাই বোন জননী বোন নাতনি
এঁনারা এক এক জন পরম সুহৃদ পাশে পাই, জানি
তোমরা সবাই  রতন গো পরম আত্মা আত্মীয় স্বজন
এ সম্যক ধারণা নেই অনেকের কাছেই এ অনুরোরন ।
মমনে চিন্তনে ভালবাসায় ছোঁয়ায় কাব্যে মধুর মিলন
আমাদের বাংলা ভাষার কাব্য অগ্রগামী স্রোতে ভেঙে
গেল প্রাচীর পারস্পরিক সম্মান প্রাপ্য শ্রদ্ধা প্রয়োগ
উপড়ে  ফেলেছি কাঁটাতারের বেড়া মনে মনে গুঞ্জনে
ভাই বোনের ভালবাসায় প্রদীপ জ্বলে থাকুক অনুক্ষণে।

আমার আদরের খুকু

আমার আদরের খুকু

শ্যামল  সোম

আমার সাধের বাড়ী নাই
কীর্তন খোলা নদীর ধারে
ছিল আমার পৈত্রিক বাড়ীর
ভিতর পানে পুকুর পুকুরের
জলে হাঁস,লাল শালুক ফুলের
পদ্ম পাতায় শিশির বিনিদ্র রাতে
টুপটাপবাড়ীর সামনে বাগান
নারকেল গাছের ঘেরা ফুলের
পরে প্রজাপতি সব রঙ বেরঙের
রাঙা গোলাপ ফুলে ভ্রমরের
চুম্বনে মধুপান মৌমাছির গুঞ্জন।
ময়না দোয়েল পাখীর সে গান
টিয়া, শত চড়ুই পাখীর ঐ কলতান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিফলনে
বহুযুগ পরেওশআলোড়িত আমার
এই  হৃদয়ে আনন্দে অশ্রু ঝরে।
হঠাৎই সত্তর বছর আগে এক
দামকা ঝরে এলো মেলো প্রাণ
যম দূত কালো মেঘের হানাদার
লন্ড ভন্ড, লুঠ হয়ে গেল কন্যা,
ভগ্নী জননী ভয়াবহ  আর্তনাদ।
কীর্তন খোলা নদীর বন্যায় গেল
ধ্বসে সাজানো সংসার ছারখার
নদীর আগ্রাসন সর্বস্ব লুঠ পাঠ
নদীর  ভাঙনের সে কলঙ্কিত
ইতিহাসের সাক্ষী ঐ বটবৃক্ষের
নীচে স্থান পাই যদি মরনের সাথেই
বসবাসের বাসনা ও মেয়ে তুই বল না
বৃষ্টিস্নাত গোধূলির রঙে রাঙানো ঐ
আকাশের তলায় কি আমার ঠাঁই হবে
না ? মরণের আগে শরণার্থী শিবিরের
পরবাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ বাসনা নেই
আমার বাড়ী নেই বাংলাদেশ ঠাঁই পাই কৈ?

তৃষ্ণার্ত প্রেমিক

তৃষ্ণার্ত প্রেমিক

শ্যামল  সোম

লাবণ্যময়ী তোমার কথাই
ভাবি, বেঠিক মূল্যায়ন প্রেম।
চোখে তোমার সলজ্জ দৃষ্টি।
দৃষ্টির সুতীব্র আকর্ষনে এই
আবর্তনে দুটি নীল নক্ষত্রের
যুগ যুগ আমরা ঘূর্ণায়মান বিশ্ব
ব্রক্ষ্মান্ড পরিক্রমণ করছি গো,
আমরা পরস্পরের কাছাকাছি
হতে না, কখনই পানি না, না।
আমার মুগ্ধ বাউল মন তোমার
চীর তারুণ্য মন শুভ্র  মুক্তর মতন।
তোমার অনাবিল  লাবণ্য সুধা
পান করার প্রতীক্ষিত  প্রেমিক
তোমার, ভয়ার্ত  আমরা দুটি
নক্ষত্র কখন যদি কোন অসতর্ক
ক্ষণিক মুহূর্তের ভুলে মোহাবিষ্ট হয়ে
পরস্পরে পরস্পরের ধর্ম উপেক্ষা
করে ছুঁয়েছি, তৎক্ষণাৎ ঘটে যাবে
মহাপ্রলয় উল্কা বেগে ছুটে আসবে
দৈত্যেরা বিস্ফোরণে ধ্বংস হবে কি সভ্যতা?

পুনশ্চঃ- --:  তোমার জন্য তাৎক্ষণিক লেখা।

শ্যামল সোম

শুভেচ্ছা বার্তা

শুভেচ্ছা বার্তা

শ্যামল সোম

ফাল্গুন কৃষ্ণচূড়া
লালে লাল রক্তিম
অভিন্দন শুভেচ্ছা,
অফুরন্ত উচ্ছাসে
এ বৃদ্ধের হৃদয়ে
অনুরোরন ধ্বনিত।
স্পন্দন এখনো
হৃদয়ে গুঞ্জন হয়,
সাহিত্য রসিক ও
আমার আত্মার
আত্মীয় ভালবাসার
মানুষদের জন্য
শীতের সকালে
কুয়াশার আড়ালে
গ্রামে পথ  শৈত্য
প্রবাহের রসের
কারবারি সে
চলেছে খেজুর
গাছের রসের
হাঁড়ি নিয়ে বাঁকে
কাঁধে তোমাদের
খাওয়াতে যাচ্ছে
কাছে এ খেজুর
গাছের রস খেয়ে
লিখবে সবাই
কাব্য রসে ভরা
যে যার প্রথম
প্রেমিক প্রেমিকা
ভালবাসায় ভরে
আমার প্রথমপ্রেম
অনবদ্য কবিতা।

ভালোবাসার বাংলাদেশে

ভালোবাসে বাংলাদেশে

শ্যামল  সোম

ভালো মানুষের  খোঁজে
আসি বারে বারে
এই বাংলায়  বাংলাদেশে,
ফিরে চলে যেতে হয়,
কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে,
কেন এত বেদনা  অবাধ্য সময়ে।
কেন ফিরে ফিরে  আসা,  ভেসে
ভেসে  গঙ্গা থেকে  রূপবতী  পদ্মায়।
ভালো মানুষের  খোঁজে
কখন পাবনায় দিলু,
ঢাকায় ইতি, শায়লা,
কুষ্ঠিয়ায় মা ফারহানা,
শাহাজাদ পুরে জননী
হালিমার স্নেহ ছায়া,
মুসাফির  মতো কখন
রংপুরে নাবিলা কাছে
সিলেটে  জননী সুফিয়ার
আদর যত্নে অতিষ্ঠ,
বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায়
কন্যাহীন পিতা আমার হৃদয়ে।
ঢাকায় বদরুল ভাই  আপন ভাইয়ের
চেয়ে কাছে এক ভালো মানুষের কাছে
আসা, ঠিক  এ ভাবে ভালোবাসার
অমোক টানে সালেক ভাইয়ের কাছে
থেকে অযাচিত দান গ্রহন অনীহায়
প্রেমের  ধমকে চোখে জল টল টল করে।
অতিথি  দেব ভব, ভারতে শুনেছি সকর্ণে
প্যাকটিকাল বেদান্ত পূঁথীগত বিদ্যা নয়।
দৈনন্দিন  ব্যবহারিক জীবনে  প্রতিফলন
অতিথি রূপে পঞ্চাশ বছর  আসা যাওয়ায়
হাজার মা, জননী বোনেদের  এবং
ভাইয়েদের নিমন্ত্রণে দু চার আত্মার
কাছাকাছি থেকে অভিজ্ঞতা হৃদয়ের
স্থায়ী বাস করছেন দিলদার বিনদাস
ভালো সত মানুষের  এক এক জন
প্রতিক, প্রেমের কাব্যের প্রতিপ্রতিক এঁরৃ
মনজুর মুরসেদ ভাই, অখন ভাই
অকৃত্রিম ভালবাসা এ ঋণ রয়ে যায়।
প্রাক্তন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার
তাঁর  নাসির সাহেব সংস্কৃতভাষা
শিখে সনাতনে ধর্ম তত্ত্ব অনুসন্ধানে
দেশ বিদেশের  অনুষ্ঠানে বক্তব্য
পেশ করে আনন্দে সদা হাস্য মুখ। 
ঐ মীরপুরে শিলুর কন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ
ছন্দের আনন্দে অপেক্ষায়  থাকে মন,
কখন তাঁর বাহাত্তর বছরের খোকা ফিরবে,
গোবিন্দ গঞ্জে শান্তা ও ডলির স্নেহের পরশ,
আপ্লুত হয়ে আছি কবিতার সাথে।

অকাঙখিত রাত

অকাঙ্খিত রাত

শ্যামল সোম

অদ্ভুত আঁধার এ এক রাত
ঘণ ঘোর কুয়াশায় আচ্ছন্
স্বপ্না চাপা কান্না শোকাচ্ছন্
চাঁদ মেঘের আড়ালে ডাকে।
নিশি আত্মগত দারুণ শোকে
শোকার্ত হৃদয়ে মৃত্যু পদধ্বনি
স্মৃতি জড়িত প্রেমের কলতান
নিশুতি এ গভীর রাতে চলে
এ মৃত্যুর পথে পদযাত্রায় হাতে
সে নিয়ে একগাদা গরুর বাঁধা
মজবুত এতটাই কি যে শক্ত,
ঝুলে থাকা যাবে ঐ বাঁশবনে
পুকুর পারে বড় অশ্বত্থ গাছের
মগডালে, ভাবতে ভাবতে নত
মুখে চলে প্রতারিতা অনভ্যস্ত
ভারি শরীরে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে
মেয়ে পায়ে পায়ে এসে দাঁড়ায় ।
পাথর বাঁধা দড়ি ছুঁড়ে ঝুলিয়ে
ডালে সে দড়ি, শেষ বারের মত
চারিদিক সে দেখে মুগ্ধ নয়নে
জোনাকি জ্বলে ঝিকমিক, ঐ
পুকুরের জলে চিকমিক করে
মেঘের আড়াল থেকে চাঁদ উঁকি
ঝুঁকি চায় বুঝি ইশারায় ডাকে?

না বলা কথা মনে রয়ে যায়

না বলা কথা মনে রয়ে যায়

শ্যামল সোম

মনের অতলে কত শত কথা
এ শহরের ফুটপাতে বা হেথা
হোথা ফ্লাই ওভারের নিচে পাতা
চট পলিথিন প্লাস্টিকে গড়া ঘরে।
থরে থরে কত সংসারে উন্মুক্ত
এ দারিদ্র নিত্য অভাবে স্বভাব
নষ্ট কি হয়, অনন্ত ক্ষুধার জ্বালায় ?
কি ভাবে অবিশ্রাম কঠোর পরিশ্রমে
দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যহ সংগ্রামে
শুধুমাত্র দুমুঠো দুবেলা অভুক্ত পেটে
নানান কাজে প্রতিদিন গ্রাসাচ্ছাদন,
কখন বিনিদ্র রাতে অনৈতিক যুক্ত
কেউ কেউ ঝোলা হাতে মা ছেলে
ভোর রাতে ছেঁড়া কাগজ ঠোঙা শত
শতসহস্র জিনিষ কুড়িয়ে বাড়িয়ে
এ হেন জীবনে নিত্য অভাবের সাথে
লড়ে যাওয়া নাম কি অভিশপ্ত জীবন?
এক সাথে থাকা বিবাহ প্রেম ভালোবাসা
কি থাকে ওদের মনের অতলে না
অতশত বোঝে না জৈবিক তাড়নায়
সহবাসের আনন্দে ভরে থাকে উষ্ণ
দুটি শরীর, আত্মবিশ্বাস অধ্যাবসায় কি
সন্তান লালন পালনে পরিশ্রুত নয়, ছেড়ে
চলে যায় মা কি কখন বাপ যে বাপ মাতাল
হয়ে ফিরে কখন কি আদর চুমু খেয়ে ছিল
আপন সন্তানের টলটলে বা বিশীর্ণ গালে ?
কে বলতে পারে কত শত ছেলে মেয়ে একা
বেড়ে যায় কলমি লতার মত অবহেলায়
অনাদরে স্নেহ, মমতা,কল্যাণ, মঙলময়
করুননায় করুনাময়ী তুমি কি দেখো না এদের?

Thursday, 25 January 2018

আমার জীবন বোধ

তারিখ 24 -- 1--- 18

আমার জীবন বোধ  ( কাব্য প্রবন্ধ উপস্থাপন নতুনত্ব এর প্রয়াস)

শ্যামল সোম

কখন বিনিদ্র কত রাত জেগে তারাদের
সাথে কথা বলি একাকীত্ব মাঝে খুঁজি
বন্ধু তোমাকেই পাশে চাই এটুকু পুঁজি।
বন্ধুত্ব নির্ভর আন্তরিকতার উপর সমতা
মানসিক চিন্তন মমনে সহমর্মিতা নির্ভরতা
নির্ভেজাল ভালবাসা নির্ভর করে দৃঢ় প্রত্যয়
আত্মবিশ্বাসের উপর পারস্পরিক বিশ্বাস ও
আত্মবিশ্বাস সহানুভূতি ও পরস্পরের প্রতি
অনুভবে হৃদয়ে গহীন অন্তরে অনুরোরনে
প্রেম ভালোবাসা দামাল ঝরের মতন নয়
মৃদু মন্দ ফাগুন আগুনে উষ্ণ বাতাসের বহে
ভালোবাসার অঙ্কুরিত এ কাব্য আলিঙ্গনে
ভালোবাসার প্রতিফলন এ দাম্পত্য জীবনে।
যৌথ মেকি সুখী জীবনে নিত্য কলোহ এখানে
সামাজিক এই অবক্ষয়ের সঙ্কট সঙ্কুল পথে
চলেছি, জীবনের যাত্রা পথে এক এক সময়ে
বিপর্যয় সম্মুখীন হতে হয় তখন মনে ভয়ঙ্কর
ভূমিকম্প অনুভূত হয়, বিশেষত নারীদের এই
যাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রতারিতা অসহ্য 
নির্যাতিত ধর্ষিত অত্যাচারিত হতে হয় তখন ক্রন্দন।
শুনে কখন মনে,ভূমিকম্প, বা প্রারম্ভিক ব্যাপক বন্যা
কবলিত সন্ত্রস্ত জীবন,এ বোধ অনুভব হৃদয়ে করাতে
পারে ক'জন সত্যিকারের সে ভালবাসার মানুষ?

মনের টানে ভালবাসার ঘ্রাণ

মনের টানে ভালবাসার ঘ্রাণ 

শ্যামল সোম

তোমার সাথে জন্মান্তরে বন্ধন
সমুদ্রের সাথে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
যুগ যুগান্তর ধরে চলে আসছে
আবহমান কালে এ সম্পর্ক,
স্বপ্ন দেখি দুজনে দু প্রান্তে দুর্দান্ত
দুজনে  অনুভবে উষ্ণ হৃদয়ে।
আমরা শরীরের ঘ্রাণ পাই
অন্তরে অন্তরে ভিতরে তাই
আমরা পরস্পরের থেকেও
অনেক যোজন দূরে দূরে আর
দূরে কোথায় দূরে দূরে বাজে
বাতাসে ভেসে আসে সুরে সুরে।
একই নদী এ গঙ্গা নদী মাঝে
কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে
স্রোতস্বিনী অনন্ত চিরযৌবনা
সুন্দরী পদ্মা হয়ে বহে যায়।
সাগর প্রেমিককের অমোক
টানে পড়ন্ত বেলায় লগ্নে এ
গোধূলি লগ্নে আকাশে
রঙের আবরণে আবৃত তুমি।
আমার হৃদয়ের আকাশে
আঁকা তুমিই মউ রঙধনু।
কোন দিন আর যাওয়া
হলো না সে সমুদ্র মোহনায়।
আমাদের কাছাকাছি
হবে না আসা, তবু এ আশায়
স্বপ্ন দেখি দুজনে মিলে একসাথে
হাতে হাত ধরে হেঁটে গেছি
একই সমুদ্রের বঙ্গোপসাগরে
যুগলে একসাথে সমুদ্র স্নান।
ভালোবাসার অঙ্কুরিত মনের
টান অনন্ত এ ভালবাসায়
বিষাদে আচ্ছন্ন বিষন্ন মন
কাঁদে সারাক্ষণ খুঁজি তোমায়।

তোমাকেই চাই

তোমাকেই চাই

শ্যামল সোম

তোমাকে চাই একান্তে
জোছনা রাতে আলোয়
তুমি রূপের জ্বেলে আলো
ভালোবেসে একাকি এলে,
প্রেম অভিসারের পূর্ণিমায়।
উষ্ণতায় ভরিয়ে দিতে উষ্ণ
আলিঙ্গনে, কাব্যে শব্দের
বহমান নদীর তটে জলে
জলময় জযোৎসনায় চিক
চিক চিক করে ঐ আলোয়।
অক্ষরে অক্ষরে চুম্বনে মধু
চুম্বনে রক্তাক্ত হৃদয়ে চাই।
তুমিই আমার স্বপ্নের কবি
শব্দ চয়নে বাক্য বিন্যাসে,
শতরূপে যত্নে আঁকি  ছবি।
তোমাকে চাই দগ্ধ দুপুরেই
গরমে ঘামঝরা পদ্ম বনে
মমনে চিন্তন অনুভবে মনের
অলিন্দে, হেমন্তর ঘনঅরণ্যে
ফাল্গুনে কৃষ্ণচূড়া গাছে গাছে
প্রেমের রক্তিম শিমূল পলাশে।
তোমাকে চাই ফালগুনে রঙে
নানা রঙে রঙে রাঙা আকাশে,
রঙধনু রঙে রঙে চাই তোমাকে।
জন্ম জন্ম জন্ম তোমাকে চাই
এ শরীরের রক্তের শিরায় ধারায়,
আমার শেষ চাওয়া তোমাকে চাই।

নারী একমাত্র তোমার জন্য

নারী একমাত্র তোমার জন্য

শ্যামল সোম

নারী মাত্রই নীল সমুদ্রের
প্রচন্ড ঢেউয়ের তুমুল যুদ্ধ
নারী আজীবন সংগ্রামে,
এ আলোড়ন কাব্যের সহবাস
পূর্ণ  সুন্দর কাব্যিক বিন্যাস।
নারীর মাত্রই নানা নামে ফুল,
যূঁই বেল ফুল শোভা খোঁপায়,
তোমার কালো কুন্তল শোভায়
কত ঢঙে বাহারী কবরী সজ্জায়।
নারী তোমার জন্য মেঘ মেঘের
মেঘে ঘর্ষনে বজ্র গর্জন নিনাদ।
বিদূৎ চমক নারী তুমি আমার
কৈশোরে কিশোরী প্রেমিকা,
নূপুরের ছন্দে গুঞ্জনে ভেসে
হঠাৎই ঝমঝম ঝাঁপিয়ে এসে
ঝরে ঝরে পড়ল সে তন্বী বৃষ্টি।
নারী তুমিই আমার সন্ধ্যাদীপের
অগ্নিশিখা নির্জন বনজ্যোৎস্না।
জোর করে নারীর শরীরে দখলে
পেয়েছো কি হে পুরুষ ভালবাসা ?
ঘৃণা জঘন্য অপরাধের শাস্তি নরকে
দোজখে আগুন, তোমার অপেক্ষায়।
জীবনে নারী মাত্রই শক্তি, মহামায়া,
নারী মাত্রই যেন নদী, নারী মাত্রই
মা জননী, নারী মাত্রই সে কবিতা।
নারী মানে দেবী তোমার মত সুন্দর
অন্তর্লীন এ প্রচ্ছন্ন মনের পছন্দ
সুনীল আকাশ লীনা কবি তুমি।
কবিতা আমার প্রথম সে তুমিই
কাব্য প্রেম ও প্রেমের কবিতা তুমি
নারী সেও আমার জননী, ভগ্নী,
ওগো নাতনি তুমিই আমার শৈশবে
যৌবনে, বৃদ্ধের কাব্যে অনুপ্রেরণা ।

এই বোধ রক্তের গভীরে

এই বোধ রক্তের গভীরে

শ্যামল সোম

এ আমার একান্ত  আত্মিক চিন্তন
মমনে গাঁথা হয়ে যায় বন্ধুত্ব গড়ে
পারস্পরিক সহমর্মিতা নির্ভরতায়,
পরস্পরের পরিপূরক কথপোকথনে
সুখ দুঃখের অনুভবে অনুভূত হওয়ার
সত্য প্রকাশ করা মনের ক্লান্তি দূর হয়।
স্বপ্ন সত্য হয়, আত্মবিশ্বাস অধ্যাবসায়
কঠিন পরিশ্রম দৃঢ় সংকল্প ভালোবাসার
মানুষের সহমর্মিতা নির্ভরতা ভালবাসায়
ও কোন প্রকৃত বন্ধুর সহযোগিতায় হাত
বাড়িয়ে দেয় সত্যিকারের প্রকৃত অর্থে
প্রাণের মায়ায় জড়িয়ে আছে সেই বন্ধু
বন্ধুত্বের বন্ধন ভরপুর উষ্ণতায় হাত ধরে
এগিয়ে গিয়ে স্বপ্ন সফল হবেই একদিন,
আমার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্বাস অনির্বাণ শিখা
দ্বীপ জ্বলে অনুক্ষণ বিমুগ্ধ ধ্যান মূর্ত
ধারণা দিয়ে অলংকৃত হোক চির সত্য ।

মৃত্যু পদযাত্রা বৃদ্ধের আশ

মৃত্যু পদযাত্রী বৃদ্ধের আশ

শ্যামল সোম

বৃদ্ধের শুষ্ক হৃদয়ে
জরাজীর্ণ ভগ্নদেহে
দগ্ধ হৃদয়ে ভালো
বাস কি ফেরে ফের?
যৌবন যে পলায়ন
কেন প্রেম বহমান,
অনৈতিক অযুক্তিকর
আপত্তি, কটূক্তি করে
বহুজন, রুদ্ধ এ কন্ঠ
চিরস্তব্ধ করতে বন্ধ
করে দেয় সব লিখন।
নেই কোন অধিকার
প্রেমের কবিতা লেখার,
শাসানি গুপ্ত হত্যার
নয়তো কখন ঠিক যেন
ঐ বঁধূ নির্যাতন অসহ্য
আত্মহত্যা প্ররোচনা।
কাব্য লিখনে স্বপনে,
ত্রাহি ত্রাহি অবস্থায়
অন্যায় জেনেও কেন
প্রাণ ভরে যায় প্রেম
প্রেমিকাদের ছোঁয়ায়
আশায় আশায় আছি
হৃদয়ে স্পন্দন নিয়ে,
বসে আছি পথ চেয়ে
ফাগুনের গান গেয়ে, 
যত ভাবি ভুলে যাব,
মন মন মানে না নাগো।

পোড়ার মুখির পোড়া কপাল

পোড়ার মুখির পোড়া কপাল

শ্যামল সোম

গাঁয়ের মেয়ে বাপ ছুতোর কাজে
অভাব দরিদ্র পরিবারের কাল হল
আলো করা রূপ নিয়ে জন্মানো এ
উপরওয়ালা মর্জি মোতাবেক হয়।
মা আদর কে প্রথম কন্যা সন্তান
নাম রেখেছিল অভাগি ভাল নাম
দিলেন বাবা চন্দ্রা, পূর্ণিমা জোছনা
অভাগি সারা দেহে লাবণ্য অর্পনা ।
দেহের গঠন উদ্ধত যৌবন আগুন
বন্যা রূপে মুগ্ধ তাকিয়ে দেখত না
গোগ্রাসে গিলতো ঠোঁট নিজে জিব
চাটতো, আকারে ইঙ্গিতে কটু দৃষ্টি
অশোভন আচরণে কন্যা বিব্রত হত।
ভীড়ের মধ্যে মেলায় জানোয়ারের
কদর্য বিকৃত মনস্ক পুরুষদের তপ্ত
হাতের মুঠোয় নিষিদ্ধ ছবি স্তন হাত।
গায়ের ওড়ানা টেনে নিয়েছে কেঁড়ে
মেলায় বাপের সামনেই টানাটানি
গোয়ালের গরুর এ যেন ঝনঝনি।
যেই না ফোঁস করে উঠেছে কন্যা
ভোজালির আঘাতে রক্তের বন্যা
লুটিয়ে পড়লেন বাপ, পাঁজাকোলা
করে পাঁচ জনে দাঁড়িয়েছে তুলতে
বাঁশের ঝোপে হাত টানতেই অভাগি
শাড়ির আড়ালে থেকে হাঁসুয়া কোপ
দিতেই মূহুর্তে পুরুষের অপছন্দ এসিডে
ছুঁড়ে ঝলসে দিল মুখ অসহ্য জ্বলনে,
করুন আর্তনাদে শুনে মেলা ছেড়ে সব
লোকে মেয়ে বউ নিয়ে পালাচ্ছে সন্ত্রাস
ভয়ার্ত ভিত, ক্ষুধার্ত নেকড়ের দংশনে,
ক্ষত বিক্ষত হয়ে ধর্ষিতা হতে কে চায় ?।
গণধর্ষণ এখন পৈশাচিক উৎসবে হর্ষ।
এসিডে ঝলসে অভাগি এই কি ভবিতব্য
তিন মাস হাসপাতালে থেকে ফিরে ভাবে
কলেজ দরজা বন্ধ পথ কি আত্মহনন ?
নগ্ন শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে দাউ দাউ
করে পুড়ছে অভাগি মন্দির আর মসজিদ
খোলা বিশাল ভুবনডাঙা মাঠে ধোঁয়া উঠছে
ঐ নীল আকাশে ঘূর্ণী বাতাসে নারীর পোড়া দেহ।

Saturday, 20 January 2018

অনু পৃথিবীর শোনায় নিমগ্ন মন

অনু পৃথিবীর শোভায় নিমগ্ন মন

শ্যামল সোম

আমার ভীষণ প্রিয় এই পৃথিবীতে
শ্বেত কপোত শান্তি বহে আনুক
অনাবিল আনন্দ লাভ করুক
সকলে, এই শান্তি প্রতীক এই
শ্বেত কপোত উড়িয়ে দেওয়ার
মনের মুক্তি পাবে আস্বাদন।
কবির কাব্যময় মমনের এই
গোপন কথা জানে মনোমুগ্ধ।
কবির অনন্য দৃষ্টান্ত মূলক
মমনে মগ্ন আমার অনুপ্রেরণ
কবি আপন মহিমায় নিবেদন,
এ নগণ্য প্রয়াসে তাঁর মূল্যায়ন,
পরম প্রাপ্তি নিশ্চিত আমন্ত্রণ
রইলো আন্তরিক অভিনন্দন ।
বৃদ্ধ বয়সে অনুভূতি গুলো
এখন আছে হৃদয়ে স্পন্দনে
কাব্য ধ্বনিত গুঞ্জন, কৃতজ্ঞতা।

তনিমা নিজের মনের সাথে ছলনা

তনিমা নিজের মনের সাথে ছলনা

শ্যামল সোম

দারুন সুখে থাকার ছলে ছল
তোমার বুকের নদী ছলাৎ ছল,
তোমার হাস্য মুখ দুচোখে জলে
ভগ্ন হৃদয় তোমার ব্যথায় টল মল
টল টল এ স্মৃতিসুধা পাণের আশ
বুকে তুষের আগ চাপা দীর্ঘশ্বাস।
বেরিয়ে এলো তোমার অভিলাষ,
মনের কুঠুরিতে জমা গোপন আশ
তোমার সে প্রথম প্রেমিকের স্পর্শ
দেহে ভরে ঐ এখন পুলকিত এ হর্ষ।
দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার অভিনব
অভিনয়ে ক্লান্ত কর্তব্য পালনে দায়িত্ব
প্রতিশ্রুত অবসন্ন এ দেহ পরিশ্রমে
দিন দিন নিরন্তর তুমি পরিশ্রান্ত।
কেন মনে মনে গোপনে ফেরে কেন
বারে বারে অভিমানে এ অভিশাপ
কেন মনে হয় অভিশপ্ত জীবনে পাপ।
ভালোবেসে আত্মকথন আত্মবিলাপ,
যেন ফেরারী মন দুঃখে থাক আজীবন।
অভিমানী মন অন্তরে অন্তরে মননে মন
ভিতরে বাহিরে হৃদয় জুড়ে থাকে, অনন্ত
আছে সেজন, আজও ভোলনি যাকে।
সেই তো প্রথম প্রেমিক ওগো প্রেমিককে
ভালোবেসে হৃদয় বিষন্ন মন কাঁদে সারাক্ষণ ।