Saturday, 20 January 2018

অনন্ত কাল প্রতীক্ষায় আমি পরতীকঞসায়

21---1--18

অনন্ত কাল প্রতীক্ষায় আমি

শ্যামল সোম

উনিশশো বাহাত্তর সালে ঐ ভুবন ডাঙা মাঠ পাশে
যেতে নদী বহে যেতো বহমান করো স্রোতে আসে
পাশে ঘণ গাছে গাছে ভরা ছিলো ভুবন ডাঙার মাঠ
সপ্তাহের শনিবারে মাঠে আনা বস্তু নিয়ে গ্রাম্য হাট।
কোন শনিবারে ভুবন ডাঙার হাটে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস
হাস্য মুখে প্রচ্ছন্ সুখের আভাস আনন্দে বাজে বাঁশি।
আমার বাঁশির সাহানা রাগের সুরে নেচে উঠুলো জমা
তরুন তরুনি পরস্পরের কোমর জড়িয়ে মাদল ধামসা
বাজনের তালে তালে পা পেলে পেলে সাঁওতালি গানে
গলা মিলিয়ে গাইতে গাইতে তোমাদের যৌবনের প্রাণে
পলাশ ফুলের রাঙা হয়ে উঠছে শরীর তোমাদের নৃত্য
তালে দুলছে শরীর ছন্দে ছন্দে হাস্য মুখ দেখে এ চিত্ত
আমার চঞ্চল বাঁশিসুরে তালে ভুল হলেই ঐ সে ভ্রুকুটি 
মৃদু হাসি মুখে ও ডাগর চোখের কটাক্ষে কত খুনসুটি।
পরস্পরের দিকে মাঝে মধ্যে অপলক চোখে মুগ্ধ দৃষ্টি
ছিল না পরিচয় গোপন গাছে ফাঁকে চারুলতা তুমি বৃষ্টি
হয়ে ঝরে আমার হৃদয়ে গহীন অরণ্যে বহমান খুশি নদী
কত শত কথা আমার বাঁশির সুরে তোমার সর্প নৃত্য যদি
কেড়ে নেয় প্রাণ হারিয়ে যাওয়া পরস্পর পরস্পরের কাছে
এসে আনন্দে অনুভবে ঘ্রাণের মদকতায় মদমত্ত যৌবনে
হাত ধরে উষ্ণ সে হাতে ছোঁয়ায় ভেসে গেল আমার হৃদয়
হঠাৎই পলাশ বিছানো পথে হাত ধরে চলতে চলতে সহসা
কৃষ্ণচূড়া গাছে নীচে দাঁড় করিয়ে ঐ যে " আসছি আমি "
বলে গেলে চলে সে আবার কার সাথে তা কেই বা জানে
দিনের পর দিন মাস বছরের পরে বছর এলো গেলো মনে
পলাশ রাঙা মন ছুঁয়ে যায় প্রতি বছর লালে লাল রক্তিম প্রতীক্ষায়।

No comments:

Post a Comment