স্মৃতি সতত সুখের
শ্যামল সোম
আমার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতৃদুগ্ধ পান
আমার মাতৃ স্নেহে দৈনন্দিন প্রতিপালন
আমি পরম মমতায় আবদারের আহ্লাদে
ভীষণরকম আদরের যত্নে শৈশব থেকে
কৈশোরে, মায়ের কাছে বসে পড়াশোনা।
কৈশোরে বোনের সাথে খুনসুটি করা দিন
দিন কখন চকলেট লজেন্স ভাগাভাগি ঐ
আদরের বোনকে ভালোবেসে,কখন রেগে
ঝগড়া করে আবার হাত ধরে ছুটে যাওয়া
সমুদ্র সৈকতে, দুজনে ঢেউয়ে মাঝে হুটোপুটি।
যৌবনের প্রারম্ভে প্রিয়াকে ভালোলাগা, কাছে
এসে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকতে শেখা
প্রেম পার্কে কখন নদী ধারে লুকিয়ে দেখা করা,
বকুল গাছের তলায় পাশাপাশি বসে পরস্পরের
আঙুল আঙুল জড়িয়ে ধরে থাকা, অদ্ভুত স্পর্শে
হৃদয়ের উষ্ণতায় ভরিয়ে দেয় এ এক অনুরোরন
শিহরণ শিহড়িত দুটি হৃদয়ের ঘণ শ্বাস আলিঙ্গন।
প্রথম প্রেমিক প্রেমিকা কবিতায় ভেসে ভালোবেসে
শরীর শরীরের ঘ্রাণে অক্টোপাশের মতন জড়িয়ে
সেই প্রথম চুম্বনে চুম্বনে রক্তিম হয় দুটি জোড়া ঠোঁট।
পরে প্রেমের সৌধ গঠন সুখী দাম্পত্য জীবনের সুখী
প্রাণ, কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ আহ্লাদিত আমরা দুজনের,
মন শিশু কন্যাকে বুকে জড়িয়ে এক স্বর্গীয় অনুভূতি
কন্যার হাত ধরে চলো যাই হাঁটি পায়ে পায়ে হেঁটে বাসে
কখন চিড়িয়াখানায় কখন সার্কাস নিকো পার্ক যাওয়া
গরমের ছুটির মরসুমে কুলু মানালি সিমলায় বা কখন
পাহাড়ে দার্জিলিং এ কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন স্ত্রী কন্যার সাথে।
No comments:
Post a Comment