বর্ষার অরণ্যে আমি ডাক পিয়ন ( আমার প্রিয় কবি শক্তি চ্যাটার্জি স্মরণে চয়নিকা অর্ঘ্য )
শ্যামল সোম
পঞ্চাশ বছরের আগে কবির সাথে যৌবনে
অরণ্য প্রেমিক কবির সাথে সাথে শ্রাবণে
ঘণ্টা বরষণে বিহারের নেতার হাট, চাইবাসা,
ডালটান গঞ্জ, বেলার অরণ্যে ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছন্দে,
ঝিরঝিরে বৃষ্টি স্নাত হয়ে মনের নন্দনে আনন্দে।
কখন বন বীথিকায় শাল পিয়াল সুন্দরী শিমূল,
মহুয়া কুড়িয়ে এনে নেশায়া মাতাল হয়ে অমূল্য
কবির কন্ঠে শুনেছিলাম রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীত
" কাল রাতের বেলায় গান এলো মোর প্রাণ "
" সে কি এলো " " আজি ঝরের রাতে তোমার
অভিসার পরাণ সখা বন্ধু হে আমার " গুন গুন
আমিও গেয়েছিলাম, " শাওনরাতে যদি ---"!
অরণ্য মনময় কখন ভয়ঙ্কর আশ্চর্য সে লাবণ্য
কবির কাছে শেখা অরণ্যেকে ভালোবেসে ধন্য।
অদ্ভুত ভালবাসায় ভরে গিয়েছিল প্রাণ বন্য মন
সে স্মৃতি রোমন্থনে আজও উতলে উঠে বৃদ্ধের
অফুরন্ত উচ্ছাসে উল্লাসে মেতে উঠেছিলাম ফেলে
যৌবনে সুনদর বনে কখন পশ্চিম বঙ্গে কখন বা
বাংলাদেশের সুন্দর বনে অবাধে বন্য প্রাণী ও
জীবজন্তু অনাবিল আনন্দে সীমান্ত পার হয়ে যায়।
শঙ্খ চিলের মতন মন উড়ে যায় নীল আকাশের
ভেসে ভেসে সিলেট থেকে দূরান্তে শ্রীমঙল হয়ে
রাজকান্দি অরণ্যে ঘণ জঙ্গলে হামহাম ঝর্না !
ঝরে পড়ছে শব্দ শুনতে পাই অন্তরে অন্তরে এ
স্মৃতি হৃদয়ে গহীন অরণ্যে সবুজের সে সমাহারে;
বিদায়ের বেলায় বারেবারে মনে হয় কেন যাবো
তবে একান্তই যদি যেতে হয় আগামী প্রজন্ম সেই সে
শিশুটির মুখে চুমু খেয়ে যাবো হেমন্তর অরণ্যে ছুঁয়ে।
No comments:
Post a Comment