Friday, 31 March 2017

মায়াবতী ও বাঁশিওয়ালা এবং মুক্তি

গদ্য  কবিতা-- দ্বৈত লিখন
তারিখ- -: 31---3---17

আমার প্রেমিকা মায়াবতী

শ্যামল  সোম  বাঁশিওয়ালার

যৌথ লিখন ---: বাঁশিওয়ালা ও মায়াবতী

বাঁশিওয়ালা ---:

জানো, মায়াবতী, ভোরে উঠে দেখি
জানালার বাইরে আলো
আঁধারে, হালকা কুয়াশায়
আর আলোয় আলোক লতা,
মায়াবী চোখে, মুখে মৃদু হাসি
দাঁড়িয়ে আছো তুমি !
পেছনে শীতলক্ষা নদী
কল কল করে বহে যাচ্ছে।
কিন্তু কি করে তা সম্ভব ?
না! আমি স্বপ্ন দেখছিলাম।

মায়াবতী ---:

আমাকে তোমার হাত ছূঁয়ে বলতে
হবে, " দেখতে মিথ্যে ছিল সে স্বপ্ন ?
হাঁ, ভোরের কুয়াশার আড়াল হতে
ধীরে ধীরে নুপুর পড়া পায়ে আলতো
হেঁটে হেঁটে পৌঁছে ছিলাম ঐ খোলা
জানালায় দাঁড়িয়ে দেখেছি তোমাকে,
হাঁ  বাঁশিওয়ালা! সত্যি ছিলাম আমি।

বাঁশিওয়ালা ---:

অবিশ্বাস্য মনে হয় কোন
স্বপ্নের উদ্যানে মায়াবী
ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
সূর্য উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে
শীতলক্ষা নদীর ওপারে।
রাঙা আলো এসে পড়ছে
তোমার স্নিগ্ধ মুখে, ঐ অনন্য
অপলক দৃষ্টির তাকিয়ে আছো,
তির তির করে কাঁপছে চোখের
পাতা, চোখের মণিতে ভাসছে
ও কে ? বিহ্বল বিমোহিত আমি ?

সুমি-:

বাঁশি শুনে আর কাজ নাই,
সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি !

আমি বাঁশিওয়ালা

এ বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরে সুরে
গাঁয়ের শহরের পাড়ার দূরে দূরে
বাংলাদেশের শতসহস্র গোলাপী
হলুদ লাল রঙ বেরঙের প্রজাপতি
উড়ে এসে ভালোবেসে বসে বাঁশি
বিশ্বাস না হলে বাঁশিওয়ালার সুর
কোন একদিন শুনো বেখেয়াল,
সুরে সুর কখন হারিয়ে ফেলবে
নিজেকে," কুল নাই কিনারা নাই
এ আকুল দোরিয়া-- ভাইসা-- যাই গো।


"পদ্য কবিতা
তারিখ --: 31--3--17

বেলা যে পড়ে এলো সই     

( আমার এক মাত্র বিবাহিত স্ত্রী মুক্তি এ লেখা তোমার জন্য, আমার  অসুস্থ  স্ত্রীর জন্য আপনাদের কাছে  প্রার্থনা স্রষ্টার কাছে দোয়া রাইখেন।)

শ্যামল সোম

জীবনের অস্তাচলে
এই যাওয়ার বেলায়
যাই কি করে মায়ায়
ভরা ঐ সজল নয়নে,
এ ভাবে যে তাকিয়েই
চোখে ওচোখ রেখেই
ভালোবাসায় ফাঁসিয়ে
কেঁদে কাঁদিয়ে জড়িয়ে।
প্রেমের ঝাঁক ফোঁক এ,
তুক তাক লাল চন্দনে
যূঁইয়ের মালার বন্ধনে।
গ্রহনে গমনে সুখক্ষণে
হে নারী অপরূপা মনে
এর গুনে, সেবা যতনে,
সস্নেহে ভালোবেসেই
দানা পানি দিয়ে হৃদয়ের
খাঁচাতেই  পুষেছো  সই।
গতই চল্লিশ বছর ধরেই
কাঁকনপরা হাতের বাঁধন
আলগা না করলে ওগো
সংসার ছেড়ে মহাশ্মশাণে
বলো পালাই কেমন করে ?

তোমার প্রেমে বৃক্ষ আমি আজ

বিভাগ  গদ্য কবিতা
তারিখ- -: 31---3---17

তোমার প্রেমে বৃক্ষ আমি আজ।

শ্যামল সোম                        ( এ কবিতাটি আমার প্রিয় কবি মহাশয়া কে উৎসর্গিত এ অর্ঘ্য)

প্রাচীন বৃক্ষের ডালে
বহু দূর হতে উড়ে এলো
দোয়েল, হঠাৎই আগমনে
উদ্বেলিত আপ্লুত
বৃদ্ধ বৃক্ষের ডালে নবিন
সবুজ পাতা পাতায়
আবির্ভূত হলো আমার
হৃদয়ের কবি পঠে আঁকা
ছবি কাব্যর দেবী
অহেতুকী কৃপা প্রেম
ভয়ার্ত, নয়নে নয়ন
বৃক্ষের দেহে কম্পন,
উঠল ঝড় এলো ডাল পালা,
বিপর্যস্ত বৃক্ষের বুকের
কোঠরে দোয়েল জড়ায়ে
সে আছে, বাধা ছাড়ায়ে যেতে
চায় তবু কেন ছন্দে ছন্দে
দোলে দোয়েল গেয়ে গান।
হে কবি তোমার কাব্যের
পুষ্প পুষ্প মুকুলিত উদ্যানে
ফুটে উঠল প্রেমের ফুল সে
সে করে কোন মারাত্মক ভুল?
বৃক্ষের হৃদয় কেন তোমার
আপন হাতের দোলায়
দোলাও দোলাও বৃক্ষের
অশান্ত শোকাচ্ছন্ন মন?
যৌবনে কোন এক জ্যোৎস্না
রাতে দুলেছিনু বনে
এই কি সেই বৃক্ষের ডালে,
বাজ পরা দগ্ধ এ বৃক্ষ।
হারায়ে গিয়েছে সুতীব্র প্রেম
সলজ্জ চোখে চোখ ঘণ ঘণ
শিহরণ বহমান রক্তে আগুন
নিভে গেছে অকাল বর্ষনে।
আজ এ পৃথিবীর গভীরতর
অসুখ অসুস্থ আমার মতন।
এ জরাজীর্ণ বৃক্ষ ডালপালা
মেলে জড়িয়ে ধরতে তোমাকে
চায় আকাশের চাঁদ, বদ্ধ উন্মাদ
উদ্যম হীন জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ বৃক্ষের
ঝুরি নেমে গেছে মাটির গভীরে
কেন যায় আরো গভীরে যায়,
সে কিসের ভগ্ন মায়াবী চোখের
ইশারায়, ফিরিয়ে নিয়েছি মন।
মাটি বুকের ভিতর বন্দি যে জল
মাটি পায়না তাকে, বৃক্ষের প্রেমে
পড়ার ব্যর্থ প্রয়াস।
পরিহাসে আজ হাস্যাস্পদ
সবাইর কাছে বিষন্ন
বৃক্ষ শোনে গান, নিমগ্ন
আত্মহনন পূর্ব মূহুর্তে, শেষে
ছেড়ে দীর্ঘশ্বাস অব্যক্ত উক্তি
" কল্যাণ হোক দোয়েলের "
" পাখী মৃত্যুর পথে পথ যাত্রীকে
যে শুনিয়েছিলে গান," কৃতজ্ঞ আমি।

কবিতার সাথে সহবাস

কবিতার
            সাথে
                    সহবাস

1)
শ্মশানে রয়েছি জলন্ত চিতায়
ওঠার অপেক্ষা এখন কবিতা
গলা জড়িয়ে আমার কাঁদছে।
নূতন গ্রন্থ  প্রকাশের শুভ ক্ষণে
আমি নেই তবুও  কবিতার প্রেমে
কাব্যের ড্রোনের বিস্ফোরণে
প্রচন্ড আলোড়ণে চূর্ণ বিচূর্ণ
নব্য সভ্যতার ভয়াবহ ইতিকথা
তিরস্কার, ধিক্কার প্রাণনাশের
আশঙ্কিত মনে স্ফূর্তি আনতে
গাহিছেন,  " আমি সকল নিয়ে বসে
সর্বনাশের  আশা,
আমি তার পথ চেয়ে আছি
যে জন আমায় ভাসায় !
নারী কবিতা নদী ফুল
এরই নাম  ব্যাকুলত জীবন
দুকুল ভাসিয়ে হে নারী তুমিই
আমার কীর্তন খোলা নদী
তোমার অপরূপ সৌন্দর্যে
মুগ্ধ হয়ে অপলক দৃষ্টি মেলে
অনন্তকাল চেয়ে থাকা সত্ত্বেও
কেন এই জরাজীর্ণ দেহে জল
স্পর্শে শিহরণ বহমান তোমার 
উজান স্রোতে অবগাহনে উষ্ণ
মিলনের কাব্যের নির্যাস শুভ্র
গোলাপের গন্ধে, দেহের ঘ্রাণে
কবিতা তোমার  সাথেই সহবাসে
একাকীত্ব মাঝেই বিনিদ্র নির্জন
তারা ভরা রাতে আজও প্রতীক্ষিত
প্রেমিক তোমার বাঁশিওয়ালার সুর
ভেসে আসে ভালোবাসায় স্নাত হই।

তুমি কথা রাখো নি

স্বপ্নের  বাঁশিওয়ালা

বৈশালীর স্বপ্না তুমিও কথা রাখোনি
শ্রাবণের ভরা জ্যোৎস্নায় আলোকিত
বিপাশা বিয়াস নদীর ধারে কাছে
বহুদূরে হিমালয়ের শৃঙ্গে স্বর্ণ মুকুট।
" আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে
বনে, মাতাল সমীরণে! " সামনে
কাঠের আগুন পুড়ছে মন প
বসে সারারাত শোনাবে গান,
সেই না শোনার গান এখন বাজে।
আমার মরার আগে এই শেষ
মুহূর্তে একটি কবিতা শোনাতে
পারো ? আমার নন্দিনী রক্ত করবী
গুচ্ছ  হতে একটি ফুল দিও এ বিশু পাগলকে !

সে রাতের প্রেমিকা শ্রুতি নাটক

সে রাতে  প্রেমিকা ♡♡♡  শ্রুতি নাটক ♡♡♡

শ্যামল সোম স্বপ্নের বাঁশিওয়ালা

পার্ক স্ট্রিটে আলোয় আলোকিত  উজ্জ্বল
কোলকাতা বর্ষ বরণের উৎসবের রাত,
বন্ধুদের সাথে ব্লুরুম পাণশালা এক  এক
পেয়ালায় উল্লাস ধ্বনিত কোলাহলে ক্লান্ত।

সদর স্ট্রিটের আধো অন্ধকারে ট্যাক্সির খোঁজে
এদিক ওদিক দৌড়ে যাই হঠাৎই কানে আসে, মায়াবী কন্ঠ- -!

আসুন  আমার কাছে সাথে গাড়ি আছে,
উত্তাল কোলকাতা থেকে চলুন ভেসে যাই নিরুদ্দেশে।

চোখে চোখ পড়তেই মজল মন অসাধারণ রূপবতী
কটাক্ষে কামার্ত দৃষ্টি আকর্ষণ করার মোহিনী শক্তি

এই মুহূর্তটাই  চির সত্য সময় বহমান স্রোতে ডুব না দিয়ে
পাঁচবছর আমার নদীর পারে দাঁড়িয়েছিলে সোম
কত খুঁজেছিলাম তোমাকে আমার যা কিছু  আছে দেবো বলে,
কোথায় পালিয়েছিলে গো?

করবী তুমি  এখানে এত রাতে?

পুরুষের কি আজো একমাত্র  অধিকার একা
একা শয্যা সঙ্গিনী শঙ্খিনী খোঁজার?

না- না -ঠিক- তা -নয়--

এসো ধর হাত উন্মূখ  হয়ে আছি আমি

খুবই অবাক করে করবী দ্রুত গাড়ি চালিয়ে
কোলকাতা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছি।

করবী কোথায়  যাচ্ছি আমরা ?

জাহান্নাম এ -
- তবে এখন করবী নই তোমার  রুবি রায় বলেই ডাকবে কেমন,
এই সোম আলতো গালে একটা চুমু খেয়ে সোম শক্ত করে জড়িয়ে ধরো আমাকে শীতার্ত,
আমি চাই তোমাকে পুরুষ, চিরদিন নারীর চাওয়া না চাওয়া উপেক্ষিতা ধর্ষিতা, আজন্ম লালিত
স্বপ্নের পুরুষ ছিলেন তুমি, নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য উপেক্ষা  করেছো আমাকে, সম্রাজ্ঞী
আদেশ করছি তোমাকে হে পুরুষ মৃত্যুদন্ড পাবে গুপ্ত ছুরিকাহত হত তুমি-
- চুম্বন করো লেহন করো জিহ্বা- -  তৃপ্ত করো তৃপ্ত করো-- পতঙ্গ পুড়ে যাও আমার দেহের অনলে---

হায় অবোধ বালক জুরিখে এত বছর কাটিয়ে ওঠার চুম্বনে পারদর্শী  হলে না।
দেখাচ্ছি আগে গাড়ি ঐ গাছ তলায়  দাঁড় করি।

এসো পুরুষ কাছে এসো পুরাতন প্রেম সলজ্জ দৃষ্টি অপলক
চেয়ে থাকা অষ্টাদশী আজ নই --  সোম তোমার রক্ত করবী

আজ মরে গেছে, হাঁ হাঁ হত্যা করেছি  নিজের আত্মাকে---
বাদ দাও অতীতের স্মৃতি রোমন্থন  আজ নয়।

ভোগ করতে চাই তোমাকেই, আকন্ঠ  চুম্বনে রক্তাক্ত করবো
তোমার ঠোঁট লালে লাল রক্তিম দেহজ প্রেম
হে পুরুষ চলো আমার আদরের যৌবনের প্রথম প্রেমিক  আমার কুঞ্জ কাননে।

এয়ারপোর্ট রোডের ধারে বিলাস বহুল হোটেলের লাল রঙের
বেড রুমে ঢুকেই সপাটে দরজা বন্ধ করেই
আমাকে  সাপটে সরীসৃপের  জড়িয়ে চুম্বনে চুম্বনে মধুপান রত
রানী মৌমাছি শুষে নিচ্ছে অতৃপ্ত প্রেম।

সোম তুমি শুধুই বাজ পরা বটবৃক্ষের নির্মোহ উদাসীন
শিথিল শরীর নিষ্ফল প্রয়াসী কেন সোম?

করবী ভালোবাসায় সিক্ত হলে জাগে শরীর

বিশ্বাস  করি না শারিরীক সম্পর্ক সাথে মানসিক কোন যোগাযোগ নেই,
আমার শরীর পুষ্পিত হয় পুরুষের ঘ্রাণে কামনার আগুনে যৌন সুপ্ত
বাসনা পূর্ণ বা তৃপ্ত হই দূর্দান্ত দুর্বার দুরন্ত সহবাসে দীর্ঘ দিনের অভিশপ্ত
জীবনের  অভিজ্ঞতা।

করবী !  তুমি রক্ত করবী ফুলের আজও  সুন্দর-  তোমার ঐ পীনাভ ঈষৎ নিম্ন মুখি স্বর্ণ স্তন
নাভিমূলে কুন্দ ফুল হীরক খচিত দুল, শ্বেত মাখনে মাতনে থর থর কাঁপন তোমার জঙ্ঘা
ঘাগড়া চলি উন্মোচনের পরে তোমার ঐ স্বর্গের  অপ্সরী  রম্ভা উর্বশী  পদ্মিনী নগ্ন শরীরে
স্থির  ঝর্ণা মতন ত্রিভঙ্গ কামদেবী তোমার কাব্যিক দেহে ছন্দে ছন্দে যৌন আমন্ত্রণ জানান দিচ্ছে
পারদর্শিনী ষোল কলায় পূর্ণা  পসারিনী তোমার  নগ্ন রূপ দেখেই আমার প্রচন্ড নেশাগ্রস্ত
হবে গেছি বিশ্রামের জন্য নিদ্রায়  যেতে চাই ক্ষমা কর করবী।

করবী রক্ত করবী ঠোঁট আলত আপন দন্ত্য দংশিত নিষ্পলক চেয়ে আছে পরবর্তি  আক্রমনের
বাঘিনী প্রতীক্ষিতা এক সময়ের আদরের প্রেমিকা আমার রক্ত করবী।

Tuesday, 28 March 2017

নাতনির চিঠি

আমার  ছোট মা যিনি সব সময়ই
আমার পাশে থেকে উৎসাহ দেন
যার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন
করি আমাকে নিত্য  অনুপ্রাণিত
করার জন্য এই লেখা তাঁকেই উৎসর্গিত করলাম।

পত্র পাঠ জবাব দিও

তারিখ ---: 27----3---17

সংসারে বাঁদি হয়ে আছি   ( সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাতনির সাথে  কথোপকথনে জানা )

শ্যামল   সোম

পুজোনীয় দাদু ভাই

ভালো নেই আমি, আমি একদম ভালো নেই গো, ভালো থাকা এ জন্মে জন্য  আমার  নয়,
কারুর এতটুকুই মায়া নেই, মা বাবা মামা সবাই বলছে, " মানিয়ে নে, সংসারে টুকটাক ঘুটঘাট লেগে থাকে,
কি করবি বল, এই তো মেয়ে মাইনষের জীবন, সবই অদৃষ্ট ভাগ্যের লিখন !"

তোমার গুনধর নাত জামাই রোজই  মদ্যপ হয়ে ফেরে রাত বিরাতে।
কুকুরের অধম  নরাধম, ঘরে ঢুকেই ---!
আমার বলতেও  লজ্জা সরমে চোখে আসছে জল দাদুভাই মাফ করো গো।

দাদুভাই শ্যামল সোম  তুমি ছাড়া আর কে আছে আপন, তুমি বলেছিলে, " তুই কখন   চাকরি ছাড়বি না, অর্থনৈতিক  স্বাধীনতা নারীদের  প্রাথমিক প্রয়োজন !"

বহু বাধার সম্মুখীন হয় ও বহু নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করেও চাকরি করছি গো।

T. C. S. Software Engineer দশ ঘন্টা পরিশ্রমের পর ফ্লাটে এসে কফি করি হাউসকোট পরে রান্না করি
রাতের পরদিনের জন্য, বাথরুমের হঠাই স্বামী হারামীর হঠাই মদ্যপানে উত্তেজনায় যৌন আক্রমণ, নগ্ন শরীরটা
ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতন টানতে টানতে মেঝে ফেলেই --- !
প্রতিরোধ প্রতিবাদের বিরুদ্ধে যেই রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম।

শাস্তি   স্বরূপ উনি নপুংসক অতৃপ্ত প্রেতাত্মা  রেগে উঠে
কুৎসিত  ভাষা অশ্রাব্য গালি গালাজ, বাংলা হিন্দী ইংরাজী ভাষায় চিৎকার,
কি ভয়ঙ্কর  হিংস্র গর্জন সাথে  সাইকেল  বাঁধার
চেন দিয়ে শ্বাস ফেলার সময় না দিয়ে প্রহার  আঘাতে আঘাতে
জখম হলো হাত পা ভেঙেছে বুজলাম।

দাদুভাই প্রচন্ড রকম যন্ত্রনায় শেষে জ্ঞান হারালাম।

নিত্য নৈবেদ্য  এ দৈনন্দিন জীবনের এ হেন সুখ আর  সহিছে না,

আত্মগ্লানি অসম্মান অকথ্য গালাগাল প্রতিনিয়ত ধর্ষণ
থেকে কি একমাত্র  মুক্তি  কি  আত্মহনন?

দাদুভাই তোমার উত্তরের উপর নির্ভর করছে আমার মরণ - বাঁচন ?

হয়তো এই আমার শেষ প্রণাম নিও

হতভাগী তোমার পাতানো আদরের নাতনি,

হে মুক্ত নারী

বোন তোমার  কলমই হোক তোমার হাতিয়ার

শ্যামল  সোম

আজ বল্লম কলমই হোক তোমার হাতিয়ার
হত্যা হত্যা করার রয়েছে নারীর স্বাধিকার।
প্রস্তর লৌহ যুগের পর যুগ ধরে সেই চলেছে
নারীর মানুষের  পরিচিতি লাভের সংগ্রাম।
আদিম যুগে তৃনভূমির খোঁজে যাযাবরের
জীবন যাপনে পণ্যবাহী গৃহপালিত পশুর
গলায় থাকতো গাছের লম্বা  ঝুরির দড়ি।
গাছের বাকল বসন পরণে দলে দলে নারী চলে
নিত্য পুরুষের সাথে সহবাসে জন্ম নিত শিশু।
একই নারী গমনে পুত্র, পিতা, ভ্রাতা সবাইর
সমান অধিকার পৌরুষের অহংকার সেবার
ত্রুটি হলে চলতো পশুর নির্যাতন অত্যাচার।
আগুন জ্বালাতে বীজ বপন করে শস্য চাষ
শিক্ষা দান এ সবই নারী  জননীদের অবদান।
ভাষাহীন  গুহা মানবী স্তনদানে শিশু পালন
আজও  নারী পুরুষের মনোরঞ্জন বিজ্ঞাপনে।
নদীর বহমান উজান স্রোতে অবগাহনে নারী
কাঁদতো কিনা কখন কোন পুরুষের প্রেমে সে
যুবতী কিশোরী স্পর্শে সুপ্রসন্ন হতেন কিনা না?
জানা নেই আমার, তবে জানি গোষ্ঠীর বিবাদে
গৃহ পালিত পশু ও নারীদের টানতে টানতে যেত
নিয়ে, বিজয়ীদের উল্লাস ধ্বনি আজও শোনা যায়।
গন তান্ত্রিক সমাজে পুরুষ তন্ত্র তান্ত্রিক সাধক সাধনা
করেন সদ্য রজস্খলা কিশোরী গমনে সিদ্ধ  অনিবার্য।
সাধনা বাসানা চরিতার্থ করতে পাঁজাকোলা করে চল নিয়ে
তুলে, মদ্যপান, আমৃত্যু সারারাত যৌন উৎসব গণ ধর্ষন।
শৃঙ্খলিত আজও শেকলের বদলে পায়ে রূপোর নূপুর
নূপুরের ছন্দে আনন্দে লাস্যময়ী নৃত্যরতা নারী হঠাৎই
সমূলে বিঁধিয়ে দেয় কামুকের উদ্যত কঠিন উড্ডীন পৌরুষ,
রক্তের নদীতে সাঁতারায় জলকন্যা আনন্দে সভ্যতার শেষে।

বোনের চিঠি

পত্র পাঠ জবাব দিও

তারিখ ---: 27----3---17

সংসারে বাঁদি হয়ে আছি   ( সত্য ঘটনা অবলম্বনে বোনের সাথে  কথোপকথনে জানা )

শ্যামল   সোম

পুজোনীয় দাদাভাই

ভালো নেই আমি, ভালো থাকা এ জন্মে নয়, এতটুকুই মায়া নেই, তোমার গুনধর জামাই রোজই  মদ্যপ হয়ে ফেরে
কুকুরের অধম  নরাধম, ঘরে ঢুকেই  আমার বলতেও  লজ্জা সরমে চোখে আসছে জল দাদাভাই মাফ করো গো।
দাদাভাই শ্যামল সোম  তুমি ছাড়া আর কে আছে আপন, তুমি বলেছিলে  চাকরি ছাড়বি না, অর্থনৈতিক  স্বাধীনতা
নারীদের  প্রাথমিক প্রয়োজন, বহু বাধার সম্মুখীন হয় ও বহু নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করেও চাকরি
T. C. S. Software Engineer দশ ঘন্টা পরিশ্রমের পর ফ্লাটে এসে কফি করি হাউসকোট পরে রান্না করি
রাতের পরদিনের জন্য, বাথরুমের হঠাই স্বামী হারামীর হঠাই মদ্যপানে উত্তেজনায় যৌন আক্রমণ, নগ্ন শরীরটা
ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতন টানতে টানতে মেঝে ফেলেই --- !
প্রতিরোধ প্রতিবাদের বিরুদ্ধে যেই রুখে দাঁড়ানোর শাস্তি  স্বরূপ উনি নপুংসক অতৃপ্ত প্রেতাত্মা  রেগে উঠে
কুৎসিত  ভাষা অশ্রাব্য গালি গালাজ, বাংলা হিন্দী ইংরাজী ভাষায় চিৎকার, গর্জন তার সাথে সাইকেল  বাঁধার
চেন দিয়ে শ্বাস ফেলার সময় না দিয়ে প্রহার  আঘাতে আঘাতে জখম হলো হাত পা ভেঙেছে বুজছি দাদাভাই
প্রচন্ড রকম যন্ত্রনায় শেষে জ্ঞান হারালাম।
নিত্য নৈবিতয দৈনন্দিন জীবনের এ হেন সুখ সহিছে না, আত্মগ্লানি অসম্মান অকথ্য গালাগাল প্রতিনিয়ত ধর্ষণ
থেকে কি একমাত্র  মুক্তি  কি  আত্মহনন?

দাদাভাই তোমার উত্তরের উপর নির্ভর করছে আমার মরণ বাঁচান ?

হয়তো এই শেষ প্রণাম নিও

হতভাগী তোমার পাতানো বোন

Sunday, 26 March 2017

হে মুক্ত নারী ও অন্যান্য কবিতা

হে মুক্ত  নারী            (আমার বোন অদিতিকে উৎসর্গিত  )

শ্যামল  সোম

বল্লম কলমই হোক তোমার হাতিয়ার
হত্যা হত্যা করার রয়েছে স্বাধিকার।
প্রস্তর যুগের পর যুগ ধরে সেই চলেছে
আদিম যুগে তৃনভূমির খোঁজে যাযাবরের
জীবন যাপনে পণ্যবাহী গৃহপালিত পশুর
গলায় থাকতো গাছের লম্বা  ঝুরির দড়ি।
গাছের বাকল বসন পরণে দলে নারী চলে
নিত্য পুরুষের সাথে সহবাসে জন্ম নিত শিশু।
একই নারী গমনে পুত্র, পিতা, ভ্রাতা সবাইর
সমান অধিকার পৌরুষের অহংকার সেবার
ত্রুটি হলে চলতো পশুর নির্যাতন অত্যাচার।
আগুন জ্বালাতে বীজ বপন করে শস্য চাষ
নদীর বহমান উজান স্রোতে অবগাহনে নারী
কাঁদতো কিনা কখন কোন পুরুষের প্রেমে সে
যুবতী কিশোরী স্পর্শে সুপ্রসন্ন হতেন কিনা না?
জানা নেই আমার, তবে জানি গোষ্ঠীর বিবাদে
গৃহ পালিত পশু ও নারীদের টানতে টানতে যেত
নিয়ে, বিজয়ীদের উল্লাস ধ্বনি আজও শোনা যায়।
গন তান্ত্রিক সমাজে পুরুষ তন্ত্র তান্ত্রিক সাধক সাধনা
করেন সদ্য রজস্খলা কিশোরী গমনে সিদ্ধ  অনিবার্য।
সাধনা বাসানা চরিতার্থ করতে পাঁজাকোলা চল নিয়ে
তুলে, মদ্যপান, আমৃত্যু সারারাত যৌন উৎসব গণ ধর্ষন।
শৃঙ্খলিত আজও শেকলের বদলে পায়ে রূপোর নূপুর
নূপুরের ছন্দে আনন্দে লাস্যময়ী নৃত্যরতা নারী হঠাৎই
সমূলে বিঁধিয়ে দেয় কামুকের উদ্যত কঠিন উড্ডীন পৌরুষ,
রক্তের নদীতে সাঁতারায় জলকন্যা আনন্দে সভ্যতার শেষে।

আমি নারীদের উপর বা জন্য লিখে থাকি
জননীর জাত শ্রদ্ধা তাঁদের জীবনের সুখ
যেন পদ্মপাতায় শিশির দুঃখ চিরসাথী
আমার হৃদয়ের স্পন্দন নারীর ক্রন্দন
শুনেও যারা নির্বিকার মানুষ নয় তারা।

শুভ স্বাধীনতার শুভেচ্ছা

সবাইকে জানাই অভিনন্দন।

রক্ত ঋণ

শ্যামল  সোম

শুভ স্বাধীনতা দিবসে শহীদের ঋণ
স্মরণে থাক জনতার হৃদয়ে অমলিন,
এসেছে আজ শপথ গ্রহণের শুভ দিন।
শুভ স্বাধীনতার আনন্দের মাঝেও কেন
গতকাল রক্তাক্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
অঘটন ঘটেছে ঘটে চলেছে বৃত্তে আবৃত,
আকুল ক্রন্দন শুনেও শোনেনা, মানুষের
জীবন বিপন্ন সন্ত্রস্ত উদ্বিগ্ন নিশ্চুপ সবাই।
আনন্দের স্রোতে আপ্লুত উল্লাসে উন্মত্ত,
স্বাধীনতা কখন ক্ষমা করবে না,এ নিশ্চিত।

আজ সেই  ভয়াবহ রাত

শ্যামল  সোম

আজও আমার ভীষণ কান্না পায় এত
বহু পরিচিত আততায়ীদের হাতে নিহত।
শতসহস্র শহীদের রক্তের অপরিশোদ্ধ
তখন দেশভক্তির, ভাষার রক্তের ঋণগ্রস্ত
এখন মোহাচ্ছন্ন বিমোহিত  বিমুগ্ধ নেশাগ্রস্ত ?
না হলে আজও কেন শোনা যায় ধর্ষিতার নাদ
শিশু ক্রন্দন, কিশোরীর আর্তনাদ জবাই করা 
ওরা গৃহপালিত নারী ও পশুর হাহাকার কান্না
কান্না এ সংক্রামক রোগের প্রকোপ তোমাকে
আমাকে তাকেও গ্রাস করতে তেড়ে আসছে
আজ ভয়ঙ্কর সেই পঁচিশে মার্চে গভীর রাতে।

ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলাম।

আমার  আদরের  পাগলী

বাঁশিওয়ালা

তুই বিশ্বাস কর  পাগলী
তোর পেতে কস্কবাজারে  সমুদ্র সৈকতে
পেতেছি শয্যা শয়নে স্বপ্নে
জ্যোৎস্নায় আলোকিত ঢেউয়ে ভেসে যেতে
আঁকড়ে ধরতে  চাইছি আমার পুরোনো
প্রেমিকা কবিতাকে,
কাব্যের  আঙিনায় রঙিন সামিয়ানার নীচে ,
কবিতা নূতন কনে সেজে কনকচাঁপায় সজ্জিত
সোনালী রঙের  বেনারসী শাড়ির আঁচলে  জামদানী
কারুকার্য, গাঢ় লালে লাল কাঁচুলি, মেঘের বরণ 
ওড়নার  আড়ালে একজোড়া মীনাক্ষী পলক
কাঁপে তির তির করে, কাঁপছে শরীর, কাঁপিয়ে
আমার হৃদয়ের গহ্বরে  বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি  পড়ে
কবিতা তুই যখন পরদা  আড়ালের কাজীর
জিগায়, " কবিতা বিবি  ওমর ফারুক কে স্বামী
রূপে তুমি কি কবুল করো ?
হঠাৎই  আমার  দিকে তাকিয়ে আছিস---"
তারপর বহু জল বহে গেছে পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে।
জানিস পাগলী চেষ্টা করছি  অনেক চেষ্টা  শুদ্ধ 
কাব্য লেখার
কিন্তু  ছন্দ পতন ঘটছে, শব্দ চয়নে ভুল হচ্ছে, 
বাক্যের বিন্যাসে যুক্তি খুঁজতে গিয়ে কাব্যের
নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছি, একটি বিশুদ্ধ কবিতা
লিখতে না পারার ব্যর্থতা কি ভয়ংকর ভাবে
সারা রাত বিনিদ্র রাখে, বুকের ভেতরে সমুদ্রের
ঢেউ  প্রচন্ড  আঘাতে আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাই।
আক্ষেপ রহে গেল বোন, সত্যিই  একটি কবিতা
যা এই বিষন্ন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখি কেউই নেই,
হাহাকার বাতাসে ভেসে বেড়ায় হারোন প্রেম কবিতা
তন্ময় হয়ে পড়ি আমার পরিচিত এক বোনের সুখে বাসর
আশ্চর্য  অসাধারণ লেখা ভাবের প্রকাশ অনবদ্য সৃষ্টি
কাব্যিক এক নদী কুল কুল করে বহে যাচ্ছে হৃদয় জুড়ে।
আমার মনের গোপন কথা,?

শ্যামল সোম
বাঁশিওয়ালা

প্রেম ভালোবাসায় ফিরছে

রঞ্জন  ( শ্যামল সোম)

বুকের ভিতর বৃষ্টি ঝরছে
বহুদিন পরে তুমি আসছো
ঠিকানা খুঁজে পাওয়া গেছে,
যখন নিশ্চয়ই আদরে আদরে
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কক্সবাজারে
না কুয়োকাটা যেখানে মন চায় যেতে।

আরক্তিম রক্ত করবী

শ্যামল  সোম

আমার জীবনে তোমার আবির্ভাব
ক্লান্ত প্রাণ প্রশমিত হয় নীরব সংলাপ
ওগো নেপথ্যচারিনী তুমি ঈশ্বরী না পরী
মেলে ডাল ডালে ডালে রঞ্জিত রক্তকরবী।
জ্যোৎস্নায় আলোকিত অরণ্যে রোদন ধ্বনি
ভরা এ বসন্তে ফাগুন হাওয়ায় ক্রন্দন শুনি।
শরীরে হঠাৎই একগুচ্ছ রক্তকরবী ফুল ঝরে
রক্ত করবীর স্পর্শে শিহরণ বহমান নদী বহে
যায় দেহের শিরায়  উপশিরায় প্রেমের গুঞ্জন।

Monday, 20 March 2017

বাংলাদেশের জন্য কবিতার সংকলন

প্রানের মানুষ পেয়েছি

----------  কাজী এনামুল হক

(শ্রদ্ধেয় কবি সরল প্রাণের মানুষ  শ্যামল সোম দাদা’কে)

বৃদ্ধ নয়, কে বলে বৃদ্ধ?
আমিতো হয়েছি হৃদ্য,
ওই বুকে বুক রেখে
স্বচ্ছ এক হৃদয় দেখে।

এমন আর ক’জন আছে?
বুকে টেনে আসে কাছে,
পেয়েছি অকৃত্রিম ভালোবাসা,
চিরদিন পাবো করি প্রত্যাশা।

এপার, ওপার আর কাটাতার
মানুষ কিন্তু উর্দ্ধে সবার।
সেই প্রানের মানুষ পেয়েছি
তাইতো বুকে জড়িয়ে ধরেছি।

মন উড়তে জানি লাগে না পাখা
অন্তরের চোখে সদা যায় দেখা।
=========   =========
২০ মার্চ ২০১৭, সোমবার, বিকাল: ০২:২৫ মিনিট, (+৩)
Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited

আমার  বোনেদের কাছে শেষ বার্তা

শ্যামল সোম

বোন তোমার উপরে
আমার অনেক আশা।
কলমের বল্লমে  বা
ডিজিটাল ডিভাইস
অস্ত্রের সমর রণাঙ্গনে
দূর্দান্ত সাহসে জনে জনে
নারীদের নির্যাতনের
বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ
প্রতিবাদের ভাষায়
জ্বালো একটি স্ফুলিঙ্গ
তোমার লেখা একটি
স্ফুলিঙ্গ থেকে জ্বলে
উঠল দাবানল দাউ
দাউ লেলিহান শিখা
বোন তোমার সে লেখা
পড়ার আগেই চলে
যেতে হবেই কালের
অমোক নির্দেশে।
পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধের
অগ্রীম উষ্ণ অভিনন্দন
রেখে গেলাম শান্ত নন্দন।

গদ্য কবিতা

তারিখ- -: 20---3--- 17        

ভালোবেসে বাংলাদেশে ফিরি

শ্যামল সোম

জানো আজও তোমাকে ভুলতে পারি না
একাত্তর থেকেই সজাগ সতর্ক থাকি, ঘটে
কখননা কোন অঘটন, তোমার মানচিত্রে ;
যদি কখন হয় কোন শয়তানের গভীর ফের
ষড়যন্ত্রে কলঙ্ক লেপন, বঙ্গ জননী ভীষণ কষ্ট
পাই, ঘোচে না ব্যবধান,  তুমি যে বড়ই আপন।
মাটির মায়া গাছ গাছালি সোনালি ধানের শীষে
নূতন সূর্যোদ্বয়ের ভোরের আলোয় উজ্জ্বল সে।
সেই ঐতিহাসিক ছাব্বিশে মার্চ দিনে প্রাঞ্জল হাসি
শতসহস্র শৃঙ্খলিত মানুষের মুখে, ভাষা শহীদের
মুক্তি যুদ্ধের রক্তাক্ত ঋণের সে ইতিহাস লেখা রবে
সারা পৃথিবীর যেখানে যত রয়েছে তারা বাঙালির
মমনে চিন্তনে হৃদয়ের বিশাল বড় আকাশে বুকে।
শেকড়ের সন্ধানে ফিরে ফিরে আসা যাওয়া শেষে
বাংলাদেশে অমলিন পবিত্র ভালোবাসার সে আনন্দে
কখন ভেসে ভেসে ওড়ে মন নীল আকাশের সীমান্তে
রাডারের কোন পাহারা নেই, যদি উড়ি যাই কাঁটাতারের
বেড়ার ফাঁক গলে, চলে যাই শঙ্খচিল শালিখের  বেশে।
যে কেউ আজীবন যতই  বহিষ্কার করো তবু ভালোবেসে
যাবো, যদিও জানি তোমরা আমার ভালোমনের মানুষ,
তোমাদের সাথে রক্তের ধর্মের সত্য নেই কোন সম্পর্কের
ভাবাবেগে  অনেকে কাছে মনে হবে এ পাগলের প্রলাপ
বিশ্বাস করো মৃত্যুর পূর্বে রাঙা গোধূলি লগ্নে শেষ সংলাপ।

বেলা শেষে

শ্যামল  সোম

মরণের হাত ধরেই এ দেহ
ফেলে, চলে যাবো,
কেন ডাকো পিছু ?
ফিরে যাওয়ার সময়ে?
ভালোলাগার স্মৃতি  কিছু
অপরিসীম ভালোবাসার আবেশ
রেখে গেলাম তোমাদের উদ্দেশ্যেই ।

গদ্য কবিতা

তারিখ- -:20--3--19

কেন কাঁদে মন?

শ্যামল সোম

এই কাঁটাতারের বেড়ার এপারে আমি
পদ্মার ঢেউয়ের ওপারে রয়েছো তুমি,
মন শঙ্খচিল শালিখের বশে যেতে চায়
ডানা হীন জরাগ্রস্ত বৃদ্ধের কি আছে উপায় ?
মোর হৃদয়ের গোপন ব্যথা বলিতে ব্যাকুল
তুলি তুমি ছাড়া কেউ বুজিল না এ আকুলতা।
মরণের হাত ধরেই এ জীবনের শেষে
চলে যাবো কেন ডাকো পিছু, এ যাওয়ার সময়ে?
অপরিসীম ভালোলাগার রেখে গেলাম তোমার উদ্দেশ্যেই ।
আমার বুকের ভেতর সুখের ঘরের চাবি, মন কোথায়
খুঁজে পাবি, হারিয়ে গেছে সবই পাখ পাখালির দেশে।
স্বপ্নে সবুজ বনানী এসে যেথায় মেশে, গোধূলির লগ্নে
ঘণ নীল শ্রাবণের বৃষ্টিস্নাত আমার হৃদয়ের আকাশে।

পগার পা পাগলী

শ্যামল সোম

এখন নাভিশ্বাস উঠছে
ডিজিটাল মৃত্যু আমার
ঐ এগিয়ে আসছে, সাথে
তোর হলো না আর দেখা।
বন্যা সেই যে পগার পা
পালালি ছুঁইয়েছিলি মন
বললি আসছি বলে অন্তর্ধান।
কবিতা তুই আমার প্রাণিত
প্রাণ কৈশোরের দেহপ্রেম
মম যৌবনের আগ্নেয়গিরি
আরক্তিম রক্ত লাভা উদ্বর্তন।
আমার বুকের ভেতর জ্বলন
সুখের ঘরের চাবির স্খলন
আমার হারিয়ে গেছে সবই
জলাশয়ে পাখ পাখালির
দেশে দেশে ফিরেছে মন।
স্বপ্নে সবুজ বনানীর বনে
এসে যেথায় মেশে সুদূর
নীল শ্রাবণের  আকাশে।