হে মুক্ত নারী (আমার বোন অদিতিকে উৎসর্গিত )
শ্যামল সোম
বল্লম কলমই হোক তোমার হাতিয়ার
হত্যা হত্যা করার রয়েছে স্বাধিকার।
প্রস্তর যুগের পর যুগ ধরে সেই চলেছে
আদিম যুগে তৃনভূমির খোঁজে যাযাবরের
জীবন যাপনে পণ্যবাহী গৃহপালিত পশুর
গলায় থাকতো গাছের লম্বা ঝুরির দড়ি।
গাছের বাকল বসন পরণে দলে নারী চলে
নিত্য পুরুষের সাথে সহবাসে জন্ম নিত শিশু।
একই নারী গমনে পুত্র, পিতা, ভ্রাতা সবাইর
সমান অধিকার পৌরুষের অহংকার সেবার
ত্রুটি হলে চলতো পশুর নির্যাতন অত্যাচার।
আগুন জ্বালাতে বীজ বপন করে শস্য চাষ
নদীর বহমান উজান স্রোতে অবগাহনে নারী
কাঁদতো কিনা কখন কোন পুরুষের প্রেমে সে
যুবতী কিশোরী স্পর্শে সুপ্রসন্ন হতেন কিনা না?
জানা নেই আমার, তবে জানি গোষ্ঠীর বিবাদে
গৃহ পালিত পশু ও নারীদের টানতে টানতে যেত
নিয়ে, বিজয়ীদের উল্লাস ধ্বনি আজও শোনা যায়।
গন তান্ত্রিক সমাজে পুরুষ তন্ত্র তান্ত্রিক সাধক সাধনা
করেন সদ্য রজস্খলা কিশোরী গমনে সিদ্ধ অনিবার্য।
সাধনা বাসানা চরিতার্থ করতে পাঁজাকোলা চল নিয়ে
তুলে, মদ্যপান, আমৃত্যু সারারাত যৌন উৎসব গণ ধর্ষন।
শৃঙ্খলিত আজও শেকলের বদলে পায়ে রূপোর নূপুর
নূপুরের ছন্দে আনন্দে লাস্যময়ী নৃত্যরতা নারী হঠাৎই
সমূলে বিঁধিয়ে দেয় কামুকের উদ্যত কঠিন উড্ডীন পৌরুষ,
রক্তের নদীতে সাঁতারায় জলকন্যা আনন্দে সভ্যতার শেষে।
আমি নারীদের উপর বা জন্য লিখে থাকি
জননীর জাত শ্রদ্ধা তাঁদের জীবনের সুখ
যেন পদ্মপাতায় শিশির দুঃখ চিরসাথী
আমার হৃদয়ের স্পন্দন নারীর ক্রন্দন
শুনেও যারা নির্বিকার মানুষ নয় তারা।
শুভ স্বাধীনতার শুভেচ্ছা
সবাইকে জানাই অভিনন্দন।
রক্ত ঋণ
শ্যামল সোম
শুভ স্বাধীনতা দিবসে শহীদের ঋণ
স্মরণে থাক জনতার হৃদয়ে অমলিন,
এসেছে আজ শপথ গ্রহণের শুভ দিন।
শুভ স্বাধীনতার আনন্দের মাঝেও কেন
গতকাল রক্তাক্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
অঘটন ঘটেছে ঘটে চলেছে বৃত্তে আবৃত,
আকুল ক্রন্দন শুনেও শোনেনা, মানুষের
জীবন বিপন্ন সন্ত্রস্ত উদ্বিগ্ন নিশ্চুপ সবাই।
আনন্দের স্রোতে আপ্লুত উল্লাসে উন্মত্ত,
স্বাধীনতা কখন ক্ষমা করবে না,এ নিশ্চিত।
আজ সেই ভয়াবহ রাত
শ্যামল সোম
আজও আমার ভীষণ কান্না পায় এত
বহু পরিচিত আততায়ীদের হাতে নিহত।
শতসহস্র শহীদের রক্তের অপরিশোদ্ধ
তখন দেশভক্তির, ভাষার রক্তের ঋণগ্রস্ত
এখন মোহাচ্ছন্ন বিমোহিত বিমুগ্ধ নেশাগ্রস্ত ?
না হলে আজও কেন শোনা যায় ধর্ষিতার নাদ
শিশু ক্রন্দন, কিশোরীর আর্তনাদ জবাই করা
ওরা গৃহপালিত নারী ও পশুর হাহাকার কান্না
কান্না এ সংক্রামক রোগের প্রকোপ তোমাকে
আমাকে তাকেও গ্রাস করতে তেড়ে আসছে
আজ ভয়ঙ্কর সেই পঁচিশে মার্চে গভীর রাতে।
ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলাম।
আমার আদরের পাগলী
বাঁশিওয়ালা
তুই বিশ্বাস কর পাগলী
তোর পেতে কস্কবাজারে সমুদ্র সৈকতে
পেতেছি শয্যা শয়নে স্বপ্নে
জ্যোৎস্নায় আলোকিত ঢেউয়ে ভেসে যেতে
আঁকড়ে ধরতে চাইছি আমার পুরোনো
প্রেমিকা কবিতাকে,
কাব্যের আঙিনায় রঙিন সামিয়ানার নীচে ,
কবিতা নূতন কনে সেজে কনকচাঁপায় সজ্জিত
সোনালী রঙের বেনারসী শাড়ির আঁচলে জামদানী
কারুকার্য, গাঢ় লালে লাল কাঁচুলি, মেঘের বরণ
ওড়নার আড়ালে একজোড়া মীনাক্ষী পলক
কাঁপে তির তির করে, কাঁপছে শরীর, কাঁপিয়ে
আমার হৃদয়ের গহ্বরে বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
কবিতা তুই যখন পরদা আড়ালের কাজীর
জিগায়, " কবিতা বিবি ওমর ফারুক কে স্বামী
রূপে তুমি কি কবুল করো ?
হঠাৎই আমার দিকে তাকিয়ে আছিস---"
তারপর বহু জল বহে গেছে পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে।
জানিস পাগলী চেষ্টা করছি অনেক চেষ্টা শুদ্ধ
কাব্য লেখার
কিন্তু ছন্দ পতন ঘটছে, শব্দ চয়নে ভুল হচ্ছে,
বাক্যের বিন্যাসে যুক্তি খুঁজতে গিয়ে কাব্যের
নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছি, একটি বিশুদ্ধ কবিতা
লিখতে না পারার ব্যর্থতা কি ভয়ংকর ভাবে
সারা রাত বিনিদ্র রাখে, বুকের ভেতরে সমুদ্রের
ঢেউ প্রচন্ড আঘাতে আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাই।
আক্ষেপ রহে গেল বোন, সত্যিই একটি কবিতা
যা এই বিষন্ন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখি কেউই নেই,
হাহাকার বাতাসে ভেসে বেড়ায় হারোন প্রেম কবিতা
তন্ময় হয়ে পড়ি আমার পরিচিত এক বোনের সুখে বাসর
আশ্চর্য অসাধারণ লেখা ভাবের প্রকাশ অনবদ্য সৃষ্টি
কাব্যিক এক নদী কুল কুল করে বহে যাচ্ছে হৃদয় জুড়ে।
আমার মনের গোপন কথা,?
শ্যামল সোম
বাঁশিওয়ালা
প্রেম ভালোবাসায় ফিরছে
রঞ্জন ( শ্যামল সোম)
বুকের ভিতর বৃষ্টি ঝরছে
বহুদিন পরে তুমি আসছো
ঠিকানা খুঁজে পাওয়া গেছে,
যখন নিশ্চয়ই আদরে আদরে
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কক্সবাজারে
না কুয়োকাটা যেখানে মন চায় যেতে।
আরক্তিম রক্ত করবী
শ্যামল সোম
আমার জীবনে তোমার আবির্ভাব
ক্লান্ত প্রাণ প্রশমিত হয় নীরব সংলাপ
ওগো নেপথ্যচারিনী তুমি ঈশ্বরী না পরী
মেলে ডাল ডালে ডালে রঞ্জিত রক্তকরবী।
জ্যোৎস্নায় আলোকিত অরণ্যে রোদন ধ্বনি
ভরা এ বসন্তে ফাগুন হাওয়ায় ক্রন্দন শুনি।
শরীরে হঠাৎই একগুচ্ছ রক্তকরবী ফুল ঝরে
রক্ত করবীর স্পর্শে শিহরণ বহমান নদী বহে
যায় দেহের শিরায় উপশিরায় প্রেমের গুঞ্জন।
No comments:
Post a Comment