এখন বাসনার আশ
শ্যামল সোম
নাভিশ্বাস উঠছে চুয়াত্তর জরাগ্রস্ত বৃদ্ধের মরণ নেই, তাই ছেলেরা মাদুরে মুড়ে ডায়মনড হারবারে মা গঙ্গার পারে
নিয়ে এসেছে অন্তজ্বলি শুভ যাত্রা আয়োজন করেছে, আমার দুটো পা জলে ধরটি গঙ্গার পারে কলস ভরা তৃষ্ণার জল রেখে, এক বিশাল প্রদীপের আলো জ্বালিয়ে লাইটারে সিগারেট ধরিয়ে আমার মুখের গুজে দিয়ে দূরে চারদিকে আগুন
জ্বেলে, কোমড়ে গোজা সিন্দুকের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে, বল হরিবল বলে সদল বলে ফিরে গেছে।
রাতের অন্ধকারে জ্বল জ্বল দৃষ্টিপাত ঐ হায়না না বন্য শেয়াল শকুনের দল মাথার উড়ছে।
গঙ্গার জলে ভেসে আসছে নন্দিনী, বিপাশা স্বপ্নের প্রেমিকাদের সান্নিধ্য লাভের লালায়িত মন, রুমা, অরুনিমা, অদিতি
সুরঞ্জনা, নীলাঞ্জনা বিভোর মোহাচ্ছন্ন বিমোহিত মন প্রথম প্রেম সলজ্জ চোখে চোখ ঘণ উষ্ণ স্পর্শে আলিঙ্গন পরস্পরের তৃষ্ণার্ত ঠোঁট চুম্বনে রক্তাক্ত ঠোঁট ঘণ শিহরণে শিহরিত কল্পনায় এই দেহের দৈহিক শারিরীক ও মানসিক আনন্দের স্রোতে বহমান যৌনবতীদের শরীরের কাছে যাওয়ার লোভ সুতীব্র বাসনা আশা এখন এই মৃত্যুর পথে যাত্রা কালিন এ বৃদ্ধের
লালসা কী কোনদিন শেষ হবে না।
ঈশ্বরের নাম স্তব পাঠে মন নেই দোজখে নরকে পচে আগুনে পুড়ে মরার পর থেকে যায় এ অশালীন নগ্ন দেহের দেহজ প্রেমের তুমুল সহবাসে একাকীত্ব মাঝেই বিনিদ্র নির্জন এই গঙ্গার ঘাটে মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষিত পাঁঠার মত ফ্যালফ্যাল করে
চেয়ে আছি মৃত্যুর খাঁড়ার কোপে কখন হবে এ প্রাণের বলিদান ?
No comments:
Post a Comment