গদ্য কবিতা-- দ্বৈত লিখন
তারিখ- -: 31---3---17
আমার প্রেমিকা মায়াবতী
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালার
যৌথ লিখন ---: বাঁশিওয়ালা ও মায়াবতী
বাঁশিওয়ালা ---:
জানো, মায়াবতী, ভোরে উঠে দেখি
জানালার বাইরে আলো
আঁধারে, হালকা কুয়াশায়
আর আলোয় আলোক লতা,
মায়াবী চোখে, মুখে মৃদু হাসি
দাঁড়িয়ে আছো তুমি !
পেছনে শীতলক্ষা নদী
কল কল করে বহে যাচ্ছে।
কিন্তু কি করে তা সম্ভব ?
না! আমি স্বপ্ন দেখছিলাম।
মায়াবতী ---:
আমাকে তোমার হাত ছূঁয়ে বলতে
হবে, " দেখতে মিথ্যে ছিল সে স্বপ্ন ?
হাঁ, ভোরের কুয়াশার আড়াল হতে
ধীরে ধীরে নুপুর পড়া পায়ে আলতো
হেঁটে হেঁটে পৌঁছে ছিলাম ঐ খোলা
জানালায় দাঁড়িয়ে দেখেছি তোমাকে,
হাঁ বাঁশিওয়ালা! সত্যি ছিলাম আমি।
বাঁশিওয়ালা ---:
অবিশ্বাস্য মনে হয় কোন
স্বপ্নের উদ্যানে মায়াবী
ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
সূর্য উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে
শীতলক্ষা নদীর ওপারে।
রাঙা আলো এসে পড়ছে
তোমার স্নিগ্ধ মুখে, ঐ অনন্য
অপলক দৃষ্টির তাকিয়ে আছো,
তির তির করে কাঁপছে চোখের
পাতা, চোখের মণিতে ভাসছে
ও কে ? বিহ্বল বিমোহিত আমি ?
সুমি-:
বাঁশি শুনে আর কাজ নাই,
সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি !
আমি বাঁশিওয়ালা
এ বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরে সুরে
গাঁয়ের শহরের পাড়ার দূরে দূরে
বাংলাদেশের শতসহস্র গোলাপী
হলুদ লাল রঙ বেরঙের প্রজাপতি
উড়ে এসে ভালোবেসে বসে বাঁশি
বিশ্বাস না হলে বাঁশিওয়ালার সুর
কোন একদিন শুনো বেখেয়াল,
সুরে সুর কখন হারিয়ে ফেলবে
নিজেকে," কুল নাই কিনারা নাই
এ আকুল দোরিয়া-- ভাইসা-- যাই গো।
"পদ্য কবিতা
তারিখ --: 31--3--17
বেলা যে পড়ে এলো সই
( আমার এক মাত্র বিবাহিত স্ত্রী মুক্তি এ লেখা তোমার জন্য, আমার অসুস্থ স্ত্রীর জন্য আপনাদের কাছে প্রার্থনা স্রষ্টার কাছে দোয়া রাইখেন।)
শ্যামল সোম
জীবনের অস্তাচলে
এই যাওয়ার বেলায়
যাই কি করে মায়ায়
ভরা ঐ সজল নয়নে,
এ ভাবে যে তাকিয়েই
চোখে ওচোখ রেখেই
ভালোবাসায় ফাঁসিয়ে
কেঁদে কাঁদিয়ে জড়িয়ে।
প্রেমের ঝাঁক ফোঁক এ,
তুক তাক লাল চন্দনে
যূঁইয়ের মালার বন্ধনে।
গ্রহনে গমনে সুখক্ষণে
হে নারী অপরূপা মনে
এর গুনে, সেবা যতনে,
সস্নেহে ভালোবেসেই
দানা পানি দিয়ে হৃদয়ের
খাঁচাতেই পুষেছো সই।
গতই চল্লিশ বছর ধরেই
কাঁকনপরা হাতের বাঁধন
আলগা না করলে ওগো
সংসার ছেড়ে মহাশ্মশাণে
বলো পালাই কেমন করে ?
No comments:
Post a Comment