সাহিত্যে নারীর সাফল্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন বিখ্যাত লেখিকা সাঈদা নাঈম
হঠাৎই সাঈদা এক সময়ের বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল। তিনি ঢাকার বাংলা একাডেমীর প্রাঙ্গণে লিটিল ম্যাগাজিন আয়োজিত এক
স্টল থেকে মৃদু হেসে কোন কিছু উপহার স্বরূপ না লিখে, ঐ অসাধারণ প্রবন্ধ সংকলন গ্রন্থটি হাতে দিলেন।
বিনম্র ভাবে আন্তরিক অভিনন্দন ধন্যবাদ জানালাম।
কোলকাতার শহরে পৌঁছে গ্রন্থটি পড়ার প্রাপ্ত আপ্লুত হলাম অসাধারণ সব বিগত দিনের বহু সনামধন্যা খ্যাতিমান
লেখিকাদের সাহিত্যে নারীদের যে অবদান আছেতাপাঠক মহলে আবারো পরিচয় করিয়ে দেয়ার দায়িত্ব পালন করেছেন
সাঈদা নাঈম- - বাংলাদেশ নারী লেখক ( লেখিকা শুধুই লেখেনি ) সোসাইটির উদ্যোগে আবার এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতা
সম্পাদক, সভাপতিত্ব কে করছেন জানা নেই -- অপূর্ব সুন্দর ভূমিকার শেষে সাঈদা লিখছেন-- আমরা গর্বের সাথে যেন বলতে পারি এ ( সাহিত্যের ) আলো আমাদের। এ আলোয় আমরা পথ চলবো, দেখবো সুন্দর পৃথিবী।
সাঈদা গরনথ টি উৎসর্গ করেছেন আটজন প্রবন্ধ কারের মা না মায়েদের তাঁদের মাতাদের নাম উল্লেখ করে কৃতজ্ঞ
ভাজন হয়েছেন সকল লেখিকাদের ও আমিও অমূল্য সম্পদ দান স্বরুপ পেয়ে ধন্য হলাম অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাই ।
সূ | চি | ক্র | ম
নারী জাগরণে অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যাঁর নামে কোলকাতার বিশিষ্ট মানুষদের পরিচালনায়
একটি নারী শিক্ষার বিদ্যালয় 1911 সালে 15 মার্চ স্কুলটি রোকেয়া বেগম সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল ভাগল পুরে
ব্যর্থ হওয়ার কোলকাতার শহরে আজও সনমানে সাথে বিদ্যমান। রংপুরে রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত -- ঢাকাতে
ছাত্রীদের আবাসনের নাম রোকেয়া হল নামে সুপরিচিত। লেখিকা -: আইরিন আক্তার পৃষ্ঠা সংখ্যা 11
নারী পথিকৃত বেগম সুফিয়া কামাল ---: লেখিকা--: নাসরিন আক্তার পৃ: 16
একজন সংগ্রামী নারী : ড, নীলিমা ইব্রাহীম- -: লেখিকা লায়লা মুন্নি পৃ :29
রোমেনা আফাজ : একজন নিভৃতস্বপ্ন চারিনী --: লেখিকা ফেরদৌসী মাহমুদ পৃ: 40
সাহিত্যে সংগ্রামী একজননারী -- : রাবেয়া খাতুন- -:লেখিকা আফরোজা রেখা পৃ: 47
স্বপ্নময় একজন নারী সাংবাদিক নুরজাহান বেগম -: লেখিকা সাঈদা নাঈম পৃ : 55
মৃত্তিকার কবি কাজী রোজী : লেখিকা --: সুলতানা শাহরিয়া পিউ পৃ: 66
বাংলা সাহিত্যের অনির্বাণ প্রদীপ: ফরিদা হোসেন --: লেখিকা কাওসার পারভীন পৃ: 70
পরে ইচ্ছে রইল আলোচনা করার----: সাঈদা নাঈম মহাশয়ার জন্য উষ্ণ অভিনন্দন ও শতসহস্র
গোলাপ ফুলের শুভেচ্ছা ।
আপনাদেরকে আমার আন্তরিক উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
আজ গল্প নয় সত্যি এক নারীর সন্মান এর সাথে বেঁচে থাকার নিত্য
কঠিন পরিশ্রমের বিনিময়ে মেধা শক্তির জোরে ইতালিতে বসবাস
হৃদয়ের আকাশ নক্ষত্র মোহাবিষ্ট বিমোহিত মুগ্ধতা বাংলা ভাষা ও
বাংলাদেশে, সাংস্কৃতি, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি বিশ্বাস প্রেম
জানা হলো আলাপ চারিতায়, তাঁর লেখা নিয়ে কিছু কথা নিবেদন --:
নগ্ন মনে মমনে
লাভলী ইসলাম আমার ভীষণ পছন্দের কবি ও লেখিকার নাম যিনি সুদূর ইটালির এক শহরে বাস, কাজের চাপ দায়িত্ব পালনের পরের বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের প্রতি সম্মান, শেকড়ের টানে ভালোবেসেই কবি লাভলী প্রবাসে থেকেও
বাংলাদেশের বিভিন্ন ঋতু বহমান নদীর ভাঙনের শব্দ স্রোতে কবির মনের অভিব্যক্তি, আমার বিশ্বাস নারীদের ষষ্ঠ
ইন্দ্রিয় থাকার কারণেই তাঁরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কাজে কর্মে সাফল্যে সাথে আমার ভীষণ পছন্দের লেখিকা কবি
আছেন তাঁরা লাভলী মতনই হেমন্তের ঘ্রাণ, শীতার্ত রাতে " নিখাদ ভালোবাসা " জীবনকে জড়িয়ে ধরে " দৃঢ় প্রত্যয় "
কিভাবে দীর্ঘ বহু বছর বিদেশে বসবাসের বাংলাদেশের জন্য মায়া মমতা আনুগত্য ভালোবাসার ঝর্ণা বহে যায় লাভলীর হৃদয়ে তাই লিখতে পারেন " স্বাধীনতা তুমি কার " কবি লিখেছেন- --" আমাদের মুক্তি নেই, আছে যেন হাহাকার
স্বাধীনতা তুমি আসলে কার ? " স্বাধীনতা চাই -: আমি আরো একটা যুদ্ধ চাই- রক্ত ভেজা নয় --ভালোবাসায় মোড়ানো- - শান্তির পায়রা হাতে -- আমার মনে হলো পৃথিবীর সব দেশেই বিবেকের চেতনায় মানুষের মনে ইচ্ছা শত শত শানতির প্রতীক স্বরূপ পায়রা নির্মল নীল আকাশে উড়িয়ে দেয়ার জন্য আবেদন জানাই লাভলী ইসলাম এর ভাষায় -" শান্তির বারতা যেন পাই "
" যাবো না আর ফিরে - তোমার বুকে ভাসবো আমি -- ঢেউয়ের তালে তালে -- পরবাসী কবি তোমার কাব্যের পুষ্পে পুষ্পে
বিমোহিত মুগ্ধ হলাম গো, বন্ধু আমার আদরের ছোট বোন অফুরন্ত স্নেহাশিস ও ভালোবাসা তোমার শব্দ চয়ন নিখাদ ভালোবাসা নিও বোন
তোমাকে গ্রন্থ মেলাতে পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছিল এই বৃদ্ধ, কল্যান হোক সাহিত্যিক জীবন সার্থক হোক মঙল হোক।
যুগল পায়ে
বাতাস ওড়ে
কবি রেবেকা রহমান ( আলোচনার ব্যর্থ প্রয়াস আমার )
শ্যামল সোম
আমার ভীষণ পছন্দের কবি মা বা মেয়ে কবি রেবেকা রহমান গ্রন্থ উৎসর্গিত করেছেন শ্রদ্ধেয় শ্বশুর ইব্রাহীম হোসেন।
কবির কবিতার কিছু লাইনের শব্দ চয়ন বাক্য বিন্যাস ভীষন রকম মুগ্ধ করেছে, " আমার কোনো দিনলিপি নেই আছে দূরত্ব
ভালোবেসে আমি দূরত্বকে বিচ্ছেদ বলি না -" কাব্যের সুষমায় নীলাভ ধোঁয়া, জীবনের দার্শনিক মূল্যায়ন ভালোবেসে আমি দূরত্ব- বলি বিরহ -- আমি বলি মাইলফলক বলি পরবাহমান হিম-- কখন সে যেন গরল বিশ্বাস- বলি, প্রেমে বারবার শিল্পিত হওয়া .... কাব্যিক অপূর্ব মায়া জালে মনোযোগী পাঠক প্রাণিত প্রাণের কাব্য সুধা পান করার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
উড়াই আমার নষ্ট নিভৃত রুমাল মুঠো ভরে যায় শর্তবিহীন ঋণে - রুমাল কি ব্যর্থ প্রেম কারণ প্রবাদ বাক্য আছে রুমাল
উপহার বিচ্ছেদ নিশ্চিত ভাবেই জানি যৌবনে প্রারম্ভিক পর্বে আমার এক প্রেমিকা ভালোবাসেই বাহারি রুমালে
সূচি শিল্প কোনে লিখেছিলেন -- শ্যাম ♡ নয়না সে স্মৃতি বহমান সময়ের স্রোতে- -" বুকে পাতা অন্ধকারের আকূল পাথার-
তার উপর দাঁড়িয়ে এক আশ্চর্যময়ী ( কবির সার্থকতা প্রমাণ পেলাম নিজের হৃদয়ের কোঠরে নয়নার মুখ যিনি )
নিজ মুখে তুলে নিয়েছে রক্তরাগ" আমার এই জীবনের অস্তরাগে এ কাব্য পঠনে পাঠে শুধুই শুনি নিজের দীর্ঘ নিঃশ্বাস।
কবি জননী তোমার সাফল্য কামনা করি।
No comments:
Post a Comment