আমার বোনের সাথে কথোপকথন
শ্যামল সোম
আমার বোন শেফালী
দাদাভাই শ্যামল সোম
মহান আল্লাহ পাক উনার আশীর্বাদ প্রাপ্ত
আমার ভীষণ প্রিয় কবি বোন শেফালি
শেফালী তোমাকে বোন পেয়ে ধন্য আমি।
বোন যার সঙ্গে নেই কোন রক্তের সম্পর্ক
আমি ভারতের পশ্চিম বাংলার বোন
বাংলাদেশের আমরা পরস্পরে সুমধুর
বাংলা ভাষা কথা বলি লেখালিখি করি।
দুই বাংলার মানুষের আমরা ভালোবাসার
জীবন্ত প্রতীক স্বরূপ সবুজ লালের নিশান।
নেই ধর্মের বন্ধন, তবে দুজনেই ধর্মপরায়ণ।
বোনের অকৃপণ দাদাভাইয়ের প্রতি
মমতা স্নেহ ভালোবাসা যেন সে জননীর।
আমার আদরের ছোট বোনের কল্যাণ
হোক তোমার সার্থক হোক সাহিত্যিক জীবন যাপন।
বোন শেফালি--: হ্যে গো দাদা, মদ্মা, মেঘনা, যমুনা বাংলা তোমার ঠিকানা।
এক জনমে ডাকলে ও দাদা ভরবে না মন ভরবে না।
মনের মানুষের সান্নিধ্যে ( বোন শেফালিকে নিয়ে লেখা )
শ্যামল সোম
স্মরণে মমনে ও বোন তুই আছিস
লতার মতন আমাকে জড়িয়ে থাকিস,
বোন এই বোন তুই এত ভালোবাসিস?
জানিস আমার মনে ভঙ্কর গভীরতর
আশঙ্কা, সঙ্কোচ বোনদের জন্য সত্যি রে
কাঁদে মন, অথচ আমি এক কোলকাতার
অথর্ব এক বৃদ্ধ বিদেশী, বিধর্মী, তোর
আমার রক্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই, দুই জন
দুই মায়ের পেটের শেফালি বোন, তবু তোর
সঙ্গে আজন্ম ভাই বোনের পবিত্র এ কিসের
বন্ধন, মায়া না পাগলের প্রলাপ সংলাপ?
ছিন্ন মূল শরণার্থী জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ
দাদাভাইয়ের প্রতি তোর হৃদয়ে আকীর্ণ
এত ভালোবাসায় ভয়ে সন্ত্রস্ত উদ্বিগ্ন ভীত
কেন জানিস আমাদের ভাই বোনের প্রীতি
ভালোবাসা যদি কেউ কটাক্ষ কটু মন্তব্য
করে আত্মহনন ছাড়া আমার তো কোন
পথ থাকবে না বোন, মৃত্যু পথ যাত্রী শ্যামল
সোম দাদাভাইয়ের উপরে অভিমান করলে,
এ তো জানো বোন কষ্টের বুক ফেটে নামে বন্যা।
আমার চোখের জল মুছিয়ে দেওয়ার কেউ
নেই , কোলকাতায় যে যার সে তার, অবশ্যই
কিছু ব্যতিক্রম আছে আমার যারা একান্তই
আপন, বাংলাদেশে বোনেদের তোর মারফত
জানাই আজ কোলকাতার শহরে ফিরে এসেও
ফেলে এসেছি মন, বিশ্বাস কর বোন সত্য সত্যিই
বোন তোমার ও তোমাদের জন্য মন কেমন করে।
বোন শেফালি ---:
দাদা কাছে নেই তবু ও তোমার পাসে আছি গো
দাদা দেখো দেখো নয়ন খুলে,
সকালের রোদ তুমি, বিকেলের ছায়া,
গোধুলির রং তুমি, মেঘের মায়া।
ভোরের শিশির তুমি, তুমি জোস্নার আলো,
আমি চাই দাদা তুমি থাকো সব সময় ভালো।
বোন শেফালি--:
শুভ সকাল দাদা
আয়রে সখি আয়রে তোরা তাড়া তাড়ি,
শ্যামল সোম দাদা এসেছে আজ তোদের যাই বলি।
বাংলাদেশে এসেছে দাদা একুশের বই মেলায়,
সেথায় কত গেনি, গুনি হাজার কবিদের খেলা।
মেলার ভেতর বইয়ের দোকান শত সারি সারি
পাঠকরা সব ছুটছে যেনো, মনে হয় রেল গাড়ি।
দাদা কি তুমি গেছো ভুলে আমাদের এই মুখ,
মনে পড়লে তোমার কথা কেঁপে ওঠে বুক।
সেই যে তোমার জলে ভরা স্নেহের নয়ন দু'টি
তোমার পেয়ে আমার প্রণাম হাজার শত কুঁঠি।
সুখের জন্য স্বপ্ন
দুখের জন্য হাসি
দিনের জন্য আলো
চাঁদের জন্য নিশি
মনের জন্য আশা
বোনের জন্য দাদার ভালবাসা।
"শুভ সকাল দাদা"
শ্যামল দাদাভাই ----:
আমার এক এক সময়ে
কান্না পায় এত ভালোবাসিস
আমাকে পাগলি তোর জন্যই
ফাল্গুনের কৃষ্ণচূড়ার ডাল ফুটে
উঠবে লালে লাল প্রেমের রঙ।
ক্লান্ত বাঁশিওয়ালা বট গাছের
তলায় প্রচন্ড ক্ষুধার্ত হয়ে শুয়ে
ছিলাম, হঠাৎই ডেকে এক পরী
অপূর্ব সুন্দরী আর সুন্দর তাঁর
কন্ঠস্বর, ওগো ও বাঁশিওয়ালা
চোখ মুখ দেখে মনে হয় পেটে
কিছুই জোটে নি?
ইনি কে সাক্ষাৎ দেবী সুলভ
পবিত্র চোখ মুখের গড়ন অনেকটাই
একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধে হারিয়ে অন্ধকারে
গিয়েছিল আয়েশের মতন মিষ্টি দেখতে।
ঘাসের শয্যা থেকে উঠতে সে মেয়ে
বাড়িয়ে দিল হাত সেই উষ্ণ হাতের স্পর্শ
মনে সে যেন কতদিনের সে পরিচিতা এ
বৃদ্ধ বাঁশিওয়ালার?
" কে তুমি গো?
" বোন তোমারই শেফালি গো,
চিনতে পারছো না ?
দাদাভাই তুমি কত রোগা হয়ে গেছো, এসো
হাত ধরে হঠাৎই ঝাঁপিয়ে আসা বৃষ্টির জলে
নিয়ে এলো ওর বাড়িতে পরম আদর যত্নে
বোনের কথা শুনছি ওর ছোট মেয়ে বেলা।
আশ্চর্য স্রষ্টার সৃষ্টি কাব্য গ্রন্থ অসামান্য
লিখন শৈলী চিত্রকল্পে শব্দ যেন পুষ্প চয়নের
মতন কবিতা যেন শব্দমালা গেঁথেছে অপূর্ব।
দাদাভাইয়ের স্নেহাশিস, ভালোবাসা নিও বোন।
বোন শেফালি---:
তোমার লিখার তুলনা হয় না গো দাদা,
তবে অনেক ভয় হয় মনের মাঝে তোমাকে না হারিয়ে ফেলি,
দাদা গো কথা দাও কখনো আমাদের ছেড়ে যাবেনা।
শ্যামল দাদাভাই- -:
বোন শেফালি আমার মন আজ ও খ্যাপা খুঁজে ফেরে
এ দেশে খুঁজে ফেরে খ্যাপা পরশ পাথর
" ও রে ও খ্যাপা আদারে বাদারে দিনে
রাতে খুঁজিস কী তুই ?
খ্যাপা এক গাল হেসে বলে -" পরশ পাথর- "
শুনেই তাজবব -" খ্যাপা পরশ পাথর নিয়ে করবি কী "?
" ক্যানে মাইনষের গায়ে ছোঁয়ায় দেবো,
সব সব সবাইর সোনার মানুষ হয়ি যাবে।"
হাসতে থাকে খ্যাপা শ্যামল সোম ।
বোন শেফালি ---:
আরো আগে কেনো তোমায় পানি গো দাদা,
তোমার ভালোবাসা দেখে আমি চোখের পানি
ধরে রাখতে পারলাম না দাদা।
খুব ইচ্ছে করচ্ছে তোমায় এক নজর দেখি গো দাদা।
No comments:
Post a Comment