Thursday, 11 May 2017

আমার কবিতাগুলি

তারিখ- - 12 --5 -- 17

ভয়ে ভয়ে আছে মেয়ে    ( এই কবিতা বোন যূথিকাকে উৎসর্গিত করলাম  ঋণগ্রস্ত  আমি, ছন্দের পতন মাফ করো বোন।)

শ্যামল সোম

এখনো  কত শত ভয়ে  ভয়ে আছে মেয়ে
নাম তাদের আজ জানতে আর চায় কে?
খবরের কাগজে এতো বাপু দৈনন্দিন ঘটনা
চ্যানেলে চ্যানেলে কেউ কেউ বলে সব রটনা
এ সব মিথ্যে মামলা অহেতু যত ঝুট ঝামেলা।
অনেকেরই মনে জাগে প্রশ্ন আদতে ঘটে ছিল কি?
যে কেউ রেগে বলে, আগুনে ঢালছো কেন এত ঘি?
সে গভীর রাতে শ্রাবণের বৃষ্টি ঝিরঝির ঝরছে চালে,
পথের ধারেই ঝুপড়ি খুপরি ঘরে ঢুকে কিশোরীকে
চ্যাংদোলা করে নিয়ে মদ্যপ  উন্মত্ত ওরা চলেছে;
আর্তনাদ শুনে বাপ মা বাধা দিতে গেলে মারছে
ভোজালির আঘাতে আঘাতে চাপ চাপ রক্ত পড়ছে।
মেয়েটির মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে চললো খাল পারে
কিশোরীর চাপা গুমড়ানো কান্না জবাই করছে সারে
সারে লালায়িত লালসা লক লক করে জিব শরীরে
সুপ্ত অভিলাষ চরিতার্থ হলে দেহে  কেরোসিন তেল
ঢেলে একটি জ্বলন্ত হারিকেন থেকে জ্বালো মশাল
দাউ দাউ আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছুটে আসছে,
গ্রাস করছে জ্বালা মুখী দেবী উমার যোনি পড়েছিল
আজও জ্বলছে আগুন কলিকালে প্রলয়ের কালবৈশাখী
এ কি সভ্যতার পরিসমাপ্তি দৈববাণী এ অশনি সংকেত
একটি স্ফুলিঙ্গ জ্বালাও ভয়ঙ্কর সুন্দর আগুনে ভস্মীভূত
গ্রাম শহর দেশ থেকে দেশান্তর ধবংস প্রাপ্ত হোক, বেহালা তানে
বাজুক শতসহস্র গোলাপ ফুলের মুকুট পরা কিশোরীদের হাতে।তারিখ--: 11 --5 --2017
বিভাগ --  গদ্য কবিতা

গত সারারাতে স্বপ্নে দেখি তোকে

( বাঁশিওয়ালা )  শ্যামল সোম

কাল রাতে চন্দন বনে
লেগেছে আগুনে
পাগলি এ ভাবে কেউ কি
রক্তাক্ত করে চুম্বনে ?
চন্দন বনে আগুনে পুড়ছি
রাতে আমরা দুজনে 
দুটি নগ্ন দেহের দেহজ
প্রেমের তুমুল সে সহবাসে,
পাগলি তোর পীনাভ স্বর্ণস্তনে
দংশনে চাষবাসে।
নাভিমূলে ঘণ শিহরণে ফুটে
উঠছে শ্বেত গন্ধরাজ
গভীরতর রাতে তোর
শারীরিক ষোল কলায় কাজ।
পাগলি তুই স্বপ্নে এলি
মৎস্য কন্যার দুহাতে জড়িয়ে
নীল নদে আমাকে বুকে নিয়ে
চিৎ সাঁতারে ভাসিয়ে,
সাগর থেকে টেনে তুললি
অচেনা এক কোন দ্বীপে।
সৈকতে সূর্যোদ্বয়ের ভোরে
অচৈতন্য  আচ্ছন্ন ভাবে
পড়ে আছি, পাগলীর চাপে
পেটে সমুদ্রের নোনা পানি
গল গলিয় বেড়োয়, শেষে রাঙা
ঠোঁটে শ্বাস টানাটানি।
তোর সজরে ধাক্কায় দিলি
বসিয়ে আমায় ঘর্মাক্ত দেহে
তোর রূপ ঝরে চুঁইয়ে যৌনবতী
শিশিরের মতন কামে।
চারিদিক তাকিয়ে দেখি
চারিদিকে সুনীল সাগরের মাঝে
নির্জন দ্বীপ সারিসারি নারকেলের
গাছে আলো উঁকি মারে।
পাগলি এই নিরালা নির্জন দ্বীপে
আনলি কেন প্রেমের টানে
প্রেমের টান নেইকো আর,
এনেছি বুড়ো তোমাকে খাবার বলে
উন্মত্ত হিংস্র বাঘিনী অট্টহাস্য
ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রচন্ড ঢেউয়ে  বুকে।বাউল গান গাইবো

আমি পথের ধুলোর গন্ধ মেখে সেজে
একতারাটি বাজিয়ে গাইবো নেচে নেচে
হাতে খমক- পায়ে ঝুমুর, " সময় গেলে
সাধন হবে না, দিন থাকতে দিনের সাধন
কেন করলে না ?

যূথিকার লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।

শ্যামল সোম

চুয়াত্তর বছরেও আমি

শ্যামল সোম

গোপনে ভালোবাসি তোমাকে, না
না, ভালোবাসতে হবে না আমাকে।
ভালোবেসে কাছে শুধু আসা নয়
দূর থেকে ভালবেসে পূর্ণ এ হৃদয়।
কেন আমি তোমাকে ভালোবাসি
তুমি  সৌন্দর্যের নক্ষত্র  অরুন্ধতী
কাব্য লিখনে স্বাতী নক্ষত্র পারদর্শী।
তুমিই কি সমুদ্রের সেই প্রচন্ড ঢেউ,
কক্সবাজার থেকে ছুটে এসে কেউ
এ ভাবে আছড়ে পড়ে বুকের পড়?
জীবনের শেষ গোধূলির লগ্নে এলে
হে প্রেম তোমাকে কি দিয়ে বরণ করি?
সম্বল মাত্র এক  ঐ ভালোবাসার কড়ি।
ভব সাগর পার করে দিও ধরে এ হাত,
দোহাই তোমার ছেড়ে যেও না কখন হঠাৎ,
ক্ষমা করো ভালোবাসার জন্য মন প্রাণসনে
সব সোঁপেছি কাব্যের দেবী তোমার স্মরণে,
নির্মিত করেছি প্রেমের সৌধ হৃদয়ের গহীনে।স্বাগতম সুপ্রভাতে এই গ্রুপের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।

গদ্য  কবিতা
তারিখ--: 11 --- 5  --17

তুমিই  কি অগ্নি কন্যা

শ্যামল   সোম

অগ্নিকন্যা  তোমার চোখ চোখ জ্বলছে আগুন
চৈত্রের শেষ ফাগুনে পুড়ছে বহু প্রতীক্ষিত মন।
তোমার শরীরে যেই রেখেছি হাত রক্তে শিহরণ
ইচ্ছে করেই  মেলে দিলে দেহ, খুলে ফেললে বসন
নগ্ন স্তনে ছূঁইছি আঙুল, টুক করে ঘষে পড়লো
আঙুল, ঝলসে উঠল হাত, দাউ দাউ করে জ্বলছে
দেহজ প্রাণে জলজ উদ্ভিদ, শরীরের কাছে সরীসৃপ।
এগিয়ে যাচ্ছে শরীর, ঝাউতলা কুয়োতলা আহ্লাদে
টলমল পায়ে নূপুরের ছন্দ ছন্দে কানে কানে গুঞ্জন
ভীমরুল মৌমাছি মধুপান পরে গরলে গোঁ গোঁ গর্জন।
চুম্বনের আশায় যেই তুলেছি তামাটে ঠোঁট, ঝরঝরিয়ে
ঝরে পড়ছে রক্ত, তোমার তীক্ষ্ণ দংশনে, ক্ষত বিক্ষত ঠোঁট
পৌরুষ উড্ডীন মানদন্ড, অগ্নি কন্যা এ তোমার জলন্ত
রূপের ফাঁদ, দাউ দাউ লেলিহান শিখা LADY OF FIRE.
জবাই করা পশুর  নিজেরই  আর্তনাদ শুনে সন্ত্রস্ত উদ্বিগ্ন
নিশ্চুপ, দহনে জ্বলনে পুড়ছি আমি, পুড়ছে দেশ দেশান্তর
অগ্নিকন্যা হেলেন  নিরোর মতন অট্টহাস্য পোড়াচ্ছে শব।

বিভাগ  গদ্য কবিতা
তারিখ- -: 8 --- 5 -- 17

আদরের পাগলির পাগলের প্রলাপ

শ্যামল সোম

পাগলী ,যদি এই ছিল তোর মনে
পাগলী হাতছানি দিয়ে-ইশারায়
আমায় আনলি কেন?
এই ভর দুপুরে নিরজনে-
নিরালায় আম বাগানে বনে?
সে দিন সেই শিউলীফুল ঝরার
দিনে সাঁজ-সকালে-।
ঘন বরষায়, বাহিরে অঝরে ঝরে যায়-
তুই শরীরের বাঁধনে
এত জোরে বাঁধলি,
এখন মরণ দোলায় দুলছে জীবন--।
সাগরের জলে, ভেজা-ঐ ঊঁকি
দিচ্ছে তোর পেলব শরীর
ঐ শরীরের পরম পরশের আশে,
এই গভীর-গহণ খাদানে
আধো-আধাঁরে, ঘন শরীরের
এই পথে-তুই হাত ধরে এ-
আমায় তুই কোথায় আনলি?
এখানে কেউ কোথাও নেই- একা
আমায় ফেলে, তুই কোথায় হারিয়ে গেলি?
পাগলী, এই পাগলী
চেয়ে দেখ এখন শব হয়ে শুয়ে আছি-
অসীম হীমেল হাওয়ায়--
পাগলী দোহাই তোর,
মাপ করে দে, কখনো আর খেলব না।
ফিরিয়ে দে আমায় আজ আমার কাছে-
সেই ফেলে আসা আমার জীবন।

গদ্য  কবিতা
তারিখ- --: 10  -- 5 -- 17

মনের কথা

শ্যামল  সোম

কাল রাতে চুরি হয়ে গেছে মন
জ্যোৎস্না  এসে ছিল জানালার
ফাঁকে, ফাঁকি দিয়ে গেছো তুমি।
আসছি বলে চন্দ্রানী চোখের
আলোয় চোখে চোখ মেলে
ইশারায় না বলা কত কথা বলে,
বৃদ্ধ বৃক্ষের ডালে দুলে  দুলে হেলে
দুলে আমার দোয়েল পাখি কত
গান শুনিয়ে ছিলে, "(ওগো) আমার
পরাণ যাহা চায় তুমি তাই গো,"
আমার  হৃয়ার  মাঝে লুকিয়ে ছিলে,"।
তোমার মায়াবী চোখে চোখ মেলে
নিঃসংকোচে কৌতুকবহ দুষ্টু  হাসি,
অথচ আশ্চর্য সারল্য স্নিগ্ধ মাধুর্যে
তোমার অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ  হয়ে
চেয়ে আছি, অপার বিস্ময়ে বিস্মৃত।
স্রষ্টার  এ এক  অসাধারণ  অপূর্ব  এই
আমার ভাঙা ঘরে চাঁদের নুর জ্যোৎস্না
তুমি কি নুরজাহান না মেহরুনেসা  তুমি
কে গো, তুমি মায়াবিনী মনে হয় কতদিন
কত শত জন্মের তুমি জীবন্ত প্রণয়িনী
হৃদয়িনী আমার আদরের তুমি পারু।
চাঁদনী আমার সর্বনাশের  সর্বনাশী তুই
তোর জন্য  পাগলি শুধুই তোর জন্যই --,
ফাল্গুনের কৃষ্ণচূড়ার গাছে  গাছে লালে
লাল হয়ে আছে, পারু  দেবদাসের মত
আমার কোন পার্বতী নেই যে আমাকে
সেবা শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুলবেন।
তবু আমার কীর্তন খোলা নদীর কাছে
একটি ঘর, নদী পারাপারের ছিলেম
মাঝি, আপন হাতে রেঁধে দুবেলা দুমুঠো
মহেরবানের কৃপায় জুটে যেত, ভাটিয়ালি
সুরে উদাত্ত কন্ঠে, " আমায় ভাসাইলি রে
ডোবাইলি রে, অকুল দোরিয়ায় আমি-- !"
নাওয় ভাসাইয়া ভেসে চলেছি  না তোর
ফিরে আসার বা তোকে খুঁজতে নয় রে,
আমি বহমান নদীর স্রোতে ভাসি ঈশ্বরের সন্ধানে।

একা একাই হেঁটে ফিরে যাই

শ্যামল   সোম 

বৃষ্টি গত চার বছর শান্তি নিকেতনে সঙ্গীত ভবনে
মোহরদির কণিকা ব্যানার্জি কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীত
চর্চা, আমার পিসাত বোনে নন্দিনী বান্ধবী আলাপ
পরিচয় প্রেম, প্রেমে কি কখন কোন কিছু বাধা মানে?
প্রেমের সম্পর্ক গভীরে তোমাকেই সাথে করে নিয়ে যেতে
এসেছি বাহাত্তরে সনে এই ঢাকা শহরের ধানমন্ডির তখন
কি ঐ লেকের ধারে নিরবিচ্ছিন্ন আঁধারে প্রতীক্ষায়।
বৃষ্টি আমার বৃষ্টি-  সে রকমই  ছিল গভীর রাতে তুমি
সংসারের তুমি তোমার সকল বন্ধন ছিন্ন করে আমার
সাথেই কোলকাতায় যাবে তোমার পাসপোর্ট
আমাদের প্লেনের টিকেট সব ব্যবস্থা নেওয়ায়
জানো বৃষ্টি কদিন ধকল গেছে খুব, ক্লান্ত শরীর।
আমি তাকিয়ে আছি লেকের জলে টলটল করছে
পূর্ণিমার চাঁদ জ্যোৎস্নায় আলোকিত  আশপাশ।
মাথা ঝিম ঝিম - মাঝে মাঝেই ভ্রম হয়, ঐ বুঝি
আমার আদরের বৃষ্টি এলো, তোমার ভালোবাসার
চার বছর টানা, বছরে দু চার বার খবরের কাগজে
অফিসের নানান  কাজের অজুহাতে ঢাকাতে এসে
পাগলের মত তোমাকে নিয়ে বুড়ি গঙ্গায়, আড়িয়াল খাঁ
পাল তোলা নৌকায় দুজনে ভেসে যেতে যেতেই শুনি--
তোমার কন্ঠে, " সাঁঝের বেলায় পাখি সব ফেরে আপন কুলায়
সাথি হারা মন পাখি উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে।"
পড়ন্ত বিকেলের  আলোয় তোমার সজল চোখে পানে
চাওয়া, আমি নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে রয়েছি--
" কি দেখছো সোম ?
" ফাল্গুনে মধুমাসে বৃষ্টি তোমার ও দু চোখে আমার সর্বনাশ "
" বেশ আমি যদি সর্বনাশী- বিদায় - নৌকো থেকে ঝাঁপ দিলো বৃষ্টি
চমকে উঠেই ঝাঁপ দিলাম নদীর বহমান স্রোতে বৃষ্টিকে
টানতে টানতে - ছুড়ে দেওয়া লাইভ বোর্ড  আঁকড়ে ধরে অচৈতন্য
বৃষ্টির দেহটি উপুর শুইয়ে নানা ভাবে মুখে মুখ দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস
সচল হতে আমাকে জড়িয়ে হু হু করে কেঁদে উঠলো বৃষ্টি।
হঠাৎই খেয়াল হলো -  বৃষ্টির ছোট ভাই ফারুক সামনে দাঁড়ানো !
সিগারেট  জ্বালিয়ে লাইটারের আলোয় পড়লাম,বৃষ্টির শেষ চিঠি
" আমাকে ক্ষমা করো সোম"
" শ্যামল দা আপনি এক সপ্তাহ  দেরী করে এসেছেন, "
স্তিমিত মন দেখে চিঠির তারিখ পয়লা ফাল্গুন উনশো বাহাত্তর
" আজ ?" ফারুক উত্তর দেয়, " দশই ফাল্গুন," "পয়লা ফাল্গুনে
আপনার আসার কথা ছিলো, " দিদির আত্মহত্যার জন্য দায়ী,
আপনি চলে  যান! অঘটন ঘটে যাবে পুলিশ খুঁজছে, পালিয়ে যান ! দ্রুত
আপনি কাপুরুষ!  খুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে ! আপনাকে চলে যান --
আপনাকে দিদি ভীষণ ভীষণ ভালোবাসতো শ্যামল দা----!"
ফারুক অঝরে কাঁদছে --- আমি মূক ও বধির বিমূঢ় হতবাক জ্বালা করছে চোখ।

বিভাগ  কবিতা

তারিখ  9 --- 5 --- 17

" হে নূতন দেখা দিক আর বার জন্মের প্রথম শুভ ক্ষণ! "
সুপ্রভাতে পঁচিশে বৈশাখে রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাব দিবসে
আমার আন্তরিক উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আজ রবীন্দ্রনাথের শুভ জন্মদিনে প্রাঞ্জল শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই বিশ্বকবিকে।

আমার রবীন্দ্রনাথের কাছে প্রার্থনা

শ্যামল সোম

হে প্রিয় রবীন্দ্রনাথ তোমার সমগ্র রচনাবলী
যদি প্রথিত করা যায় মমনে এতই অনুউর্বর,
তোমার শতসহস্র লেখা কিছুই স্মরণে নেই।
বিক্ষিপ্ত সন্ত্রস্ত উদ্বিগ্ন ভীত হ্যাকারদের আক্রোশ
আক্রমণ প্রতিরোধ  ঐ নারী নির্যাতন অত্যাচার
বিরুদ্ধেও নিশচুপ মেরুদন্ডহীন প্রাণী আত্মগ্লানি।
হে রবীন্দ্রনাথ বিফল দীর্ঘ বছরের রবীন্দ্র সাহিত্যে
চর্চা, আজ বিস্মৃতির  অতলে তলিয়ে গেছি গো।
একটি উদ্ভিদ জন্ম সম্ভব নয় অনু কাব্য শৈলী ও
শৈল্পিক মননশীল কাব্যিক কাব্যের বাক্য গঠন
বিন্যাস আজ লিখতে পারি না এতই কম এই
জ্ঞান ভাষা  শব্দ চয়ন ছন্দের মাত্রা চিত্রকল্পহীন
দৈন্য জরাজীর্ণ, ঠাকুর হৃদয়ের আকাশ তুমিই ধ্রুব
তারা ছিলেন যৌবনে প্রারম্ভিক আমার জীবনে।
আজ পথ ভ্রষ্টা উদ্ভ্রান্ত দিশেহারা অকাজকে গেল
ঠাকুর তোমার ষোল খন্ড গ্রন্থ কিছুই পড়া হলো না।
ঠাকুর তোমার লেখা মানব ধর্ম, সভ্যতার সংকট 
পড়েও ঘৃনা হয় মানবিকতার ভালোবাসা সৌহার্দ্য
সৌজন্য বোধহীন জড় পদার্থের মত  অবয়বহীন
অন্যন্য সামুদ্রিক জীব বিজ্ঞানের ভাষায় কি বলে
জানা নেই, জেলি ফিস জ্ঞানহীন চৈতন্য নেই অজানা
গন্তব্য  ঐ অক্টোপাস মতন জড়িয়ে ধরছি অসত্য অশুভ।
হে রবীন্দ্রনাথ ওগো  কর্ণধার তোমায় করি নমস্কার মুক্ত
করো ভয়, হবে হবে জয় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনো গুরুদেব।

No comments:

Post a Comment