আমার অপ্রাপ্য রানী
বাঁশিওয়ালা
তুই আমার পূর্ণিমা রাতের চন্দ্রানী
তুই যে স্বপ্নের স্পন্দন ছায়া সঙ্গিনী,
ওগো আমার প্রিয় রক্তিম গোলাপ
হৃদয়ের রাজ নন্দিনী মনের আলাপ,
ইমনরাগে বাঁশির সুরে শ্রমণে সংলাপ।
পরাগ শরীরে শরীর প্রবেশে উষ্ণ ঐ
প্রস্রবণে ঘন বনানীর স্নিগ্ধ মায়ায়
শৃঙ্গ হতে ঝর্ণা অবিশ্রান্ত বাতায়নে,
ধারায় অকুণ্ঠিত প্রেম দ্রুত বহমান।
মেঘনা তুমিই কি সেই কৈশরের ঝর্ণা,
মেঘনা নদী হয়ে ছুটছো উত্তাল স্রোতে,
প্রেমিকা ঐ নীল সমুদ্রের অমোক টানে
কত শত গ্রামের পার ভেঙে বন্যা স্নানে।
ভাসিয়ে দিয়ে দুকুল গাছ পালা উপড়ে
উদ্ভ্রান্ত দূর্দান্ত দামাল প্রেমিকের ঢেউয়ে
সাগরের প্রেমের আহ্বানে ধাবমান।
আমার আদরের পাগলী তোর জনেই
আজও আমি প্রতীক্ষায় মেঘনা।
তুই কাছে নেই বন্যা, দুরন্ত যৌবনে নদী
একা একা দিন যে আমার কাটে না রে,
অবসাদে অবগাহনে বিষন্নতার নেই অবসান।
No comments:
Post a Comment