বিভাগ কবিতা
তারিখ- -3 --5-- 17
দৈনন্দিন ভালোবাসার দিবসে তুমি
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা
পাগলি আজও তোমাকেই ভালোবেসে,
একা নির্বাসনে সমুদ্রে নির্জন দারচিনি
দ্বীপে, নিমগ্ন ঐ সূর্যোদ্বয়ের প্রতি ভোরে;
রাঙা আলোয় মিতা তোকে খুঁজে ফেরে
ফেরারী মন তোর স্বপ্নে বিভোর সারাক্ষণ।
প্রতিদিনই রাঙা ভালোবাসার স্মরণ দিবসে
বারবার তোরই ঐ মুখ মনের মুকুরে ভাসে।
নির্বাসিত বৃদ্ধের হৃদয়ের সরোবরে অবগাহন
অনুভবে অনুরোরণ আলোড়িত ঘন শিহরণ।
অতৃপ্ত শারীরিক অসন্তুষ্ট মনে রাগে ফেরালে,
সজোরে তোর প্রচন্ড ধাক্কায় কুয়াকাটার অতলে।
দেহজ না ঐশ্বরিক এ প্রেমের প্রত্যাখানেও কেন?
বেহায়া আমার প্রান বাঁচতে চায় প্রেম হীন জীবন।
শ্মশাণ যাত্রায় পথে যেতে বারবার পিছু ফিরেফিরে
চায়, জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ অসুস্থ বৃদ্ধের পোড়া এ মন ?
পাগলি ফিরে আয়, এই শেষ মুহূর্তে ক্ষেপী পাগলি তুই
একবার কাছে এলো, তোকে শেষ দেখাই দেখে ফিরবো।
প্রেম ভালোবাসা পাথেয়, এ অন্তিম ক্ষণ অনন্ত যাত্রায়।
আজ পয়লা ফাল্গুনে
বাঁশিওয়ালা
হাঁগো নীলাঞ্জনা আজ খুব
খুব মনে পড়ছে গো তোমায়
এই বসন্তে অভিসারে এসো
হৃদয়ে গহীনে আমার, জানি
স্বামীর ঘরে ঘেরা টোপে গৃহিণী,
নীলাঞ্জনা ফেরা কোন দিন ফেরা
হবেনা তোমার।
তবুও তোমার বন্ধ দ্বারে প্রতীক্ষায়
তারা ভরা বিনিদ্র রাতে একাকিত্বে
আলোকিত এ অপূরব জ্যোৎস্নায়
কত যুগ যুগ অপেক্ষার প্রহর
বিষন্নতায় নিমগ্ন আত্মহনন নয়
গোনা যায়, নীলাঞ্জনা এতই নিষ্ঠুর।
সেদিন আপন মনে বাজিয়ে বাঁশি
পথে পথে একা একাই ফিরছিলাম
ফিরছি, হঠাৎই গোধূলির আলোয়,
" ওগো ও বাঁশিওয়ালা,
ও বাঁশিওয়ালা " ডাক শুনেই
পিছন ফিরেই তাকিয়েই দেখি তুমি
জানালায় তোমার মুখ অশ্রু সজল
চোখে চোখ পড়তেই হৃদয়ে ভূমিকম্প
প্রেমের স্পন্দনে আলোড়িত দুজনার মন।
নাতনি আজ জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ
আমি প্রাচীন এক অশথ বৃক্ষ
তুমিই আমার দোয়েল পাখী
আসবে বৃক্ষের ডালে বসে
শিষ দিয়ে গাইবে, " সখী ভালোবাসা কারে কয় -- সে কি কেবলই যাতনা ময়।"
এ বৃক্ষের শেষ বাসনা
বাজ পড়ে জ্বলে পুড়ে ছাই হওয়ার আগে
শুধুমাত্র একটি মুহূর্তের জন্য কৃতজ্ঞ থাকবো গো।
No comments:
Post a Comment