মুক্তি যুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস
শ্যামল সোম
জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ আজ বৃদ্ধ আশি বছরের
জীবনের স্বাদ তিক্ত অভিজ্ঞতার মমনে, স্মৃতি- --
ভয়বহ সেই দিন গুলো ঐ জানালার ফাঁক
দিয়ে খরখুরি তুলে দেখছেন রাজাকারদের
ট্রাক বোঝাই যাচ্ছিল কন্ঠে হুংকার শাসকের
দফতরের কর্তাদের একাংশের আদেশে সন্ত্রস্ত
করার জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জঘন্য
অপরাধের বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
রবীন্দ্রনাথের গান সাহিত্য নিষিদ্ধ, বিখ্যাত কবি
লিখেছিলেন, " এ দেশ আজ এতই অনুউর্বর
হে রবীন্দ্রনাথ আপনার সমগ্র রচনা বলি প্রথিত
করেও পানি ঢালা যায় একটি উদ্ভিদ জন্মাবে না !"
বৃদ্ধ বৃক্ষের মতন ঋজু মানসিকতা মানুষ দুই পুত্র
সন্তান শিক্ষকতা, ডাক্তার হতে মুক্তি বাহিনী তে
যোগদান করেছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ বেতার
কেন্দ্রে শুনছেন ব্রজ কন্ঠের উদাত্ত আহ্বান, কন্যার
ডাকে চমক উঠলেন অজানা আশংকিত মনে দুঃস্বপ্ন।
আয়েশা আঠারো বছরের সুন্দর মুখের আব্বুজান
হঠাৎ উৎকণ্ঠিত মায়াচ্ছন্ন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে দেখছেন
মেয়েকে, প্রফেসর মুজিবুল হক সাহেব তখন পঞ্চাশ
বছরের প্রৌঢ় সদ্য বিবাহিতা পুত্র বধু রায়েবা মাথায়
অবগুণ্ঠন আহারের জন্য ডাকতে এসেছেন প্রফেসরের
খাওয়ার রুচি নাই বলেন পরে যাবেন, কন্যা অনুযোগ করে
দিন দিন তিনি খাওয়ার ব্যপারে অনীহা, ম্লান হেসে বললেন
" মা রে তুই তো বুঝিস আজ সারা দেশের মানুষ তাদের
জীবন বিপর্যয়ের মৃত্যুর সম্মুখে রণাঙ্গনে গেরিলা যুদ্ধে
তারা সাহসিকতার স্বাধীন বাংলাদেশ জন্য যুদ্ধ করছে
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সহায়তায় " কথা শেষ না হতেই দরজায়
প্রচন্ড জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে চিৎকার করে গাল দিচ্ছে
আতংকিত চারজন কাজের লোক ফাতেমা কাঁদছে ---
চলবে ক্রমশ কেমন হচ্ছে জানাবেন প্লিজ
মায়াচ্ছন্ন দুচোখ আমার পথের আড়াল
No comments:
Post a Comment