Wednesday, 31 May 2017

চল পাগলি পালাই,

চল পাগলি পালাই ( কাব্য গ্রন্থের নাম )

বাঁশিওয়ালা

চলরে পাগলি পালাই
এ শহর ছেড়ে দূরে
দুর্নীতিতে ছেলে যাওয়া
অনেক দূরে দূরান্তে
ঐ নীল আকাশ ছুঁয়েছে
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
রুবি চল দুজনে পালাই।
পরিবেশ দূষণের মাত্র  কী
ভয়ংকর দূষনে শ্বাস বন্ধ
হয়ে আসে, পালিয়ে যাই
যে দিকে দুচোখ যায় এই
রাঙামাটি গেলে কেমন হয় ?
চল পাগলি অলকানন্দার নদীর
ধারে পাশাপাশি বসে নিঃস্তব্ধতা
পরস্পরের সান্নিধ্যে স্নিগ্ধ বাতাসে
উড়ছে তোর চুল, হাঁটুর উপরে
চিবুক, দৃষ্টি কোথায় হারিয়েছে ?
এই উদাসিন অন্য মনস্কতা তোকে
পাগলি তোকে অপরূপা সৌন্দর্যময়ী
দেখে পাগলি দুহাতে জড়িয়ে ভীষন
আদরের করতে ইচ্ছে করছে আমার
আদরের পাগলি চল দূরে কোথাও পালাই।

তারিখ -: 5---1---2017 গদ্য কবিতা পোষ্ট নম্বর  4

মমনে মিতালি তুই আজও আছিস মনে

শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা

গ্রুপের সকল সদস্য সদস্যাদের 
নমস্কার সুপ্রভাতে প্রসন্ন মনে জানাই,
তবু উচাটন মাঝে মাঝেই
প্রতীক্ষিত এক প্রেমিকের
হৃদয়ে রক্তাক্ত ক্ষরণে শিশিরের
ব্যথা অনুভব করে  কতজন?
বিচার্য আমার সর্বনাশের প্রেমে।
এ আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত
অন্যের নয়, স্পন্দনে স্পর্শে
জাগে  স্মৃতির শিহরণ বহমান এই
ঝর্ণা,  তোর কাব্য স্রোতে ভাসি।
সে প্রিয় আমার এক প্রেমিকার
নাম  মিতালি তুই মন পাখি,
তুই আয় উড়ে আয় আমার কাছে,
শেষ কটা দিন প্রেমে রই।
আগামী শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা
অফুরন্ত ভালোবাসা রইল
তোমার জন্য, কে  জানে বাপু
ছবি হয়ে শোলার মালা পড়ে
ঝুলবো, শুভ্র দেওয়ালে পিঠে,
খুব মনে পড়বে তোকে মিতালি?
আশ্চর্য  ! মরার পর কি 
সত্যই  মানুষের প্রেম ভালোবাসা মনে থাকে?

এরই নাম কি ভালোবাসা

শ্যামল সোম  বাঁশিওয়ালা

1) কল্পনা আশ্রিত

মেহরুনেসা তোমাকে ভালোবাসার অপরাধে
মৃত্যু দন্ড ঘোষিত হল ফজরের নিয়ামক শেষে
ফাঁসি হবে আমার বিধর্মী প্রেমের অধিকার নেই
যে কোন ধর্মের অনুশাসনে আত্মীয় স্বজন বহু
প্রতিবেশীর বারণ শাসন হত্যা হুমকি সত্বেও কি
সেই আকর্ষণে পরস্পরের পরিপূরক পরিপূর্ণ
স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক তুমি সনামধন্যা বন্যা আমার করবী!

" করবী তোমার মত ভালো
মেয়েকে ভালোবেসে
প্রেমের জ্বলে পুড়ে ছাই
চিতার  ঐ আগুনে ভস্মীভূত
দেহের ছাই আকাশে বাতাসে
ভালোবাসায়  উড়িয়ে  যাই।
সবেবরাতের রাতে মোমবাতি
কি জ্বালাবে আমার  আত্মার শান্তি
কামনায়  তোমার বাড়ির ছাদে মোম
বাতি যূঁই ফুল টবের পাশে যূঁই ফুলের
মালা ঝুলিয়ে দিও আমার ছবিতে।"

2) বাস্তব  জীবনের সত্য

করবী, আমি
মুক্তি যুদ্ধের পূর্বে বাংলাদেশের
ভাষা আন্দোলনের
পঠভূমিকায় বিভিন্ন জেলায়
মানুষের প্রতিক্রিয়া
সমস্যা সামাজিক পরিস্থিতি
উপরে কোলকাতার
যুগান্তর পত্রিকায় ছবি সহ
অত্যাচারের প্রতিবেদন
প্রকাশিত হতো প্রতিদিন
টেলি প্রিন্ট  টেলেস্ক সাহায্যে।
বাংলাদেশের তখন উত্তাল
জনগণের প্রতিবাদি ঢেউ
আছড়ে পড়ছে যশোর, খুলনা
কুমিল্লা, পাবনা রংপুর
দিনাজপুর সিলেট চিটাগাং
ময়মনসিংহ  এসে শৈশবের
স্মৃতি বিজড়িত বিমোহিত
আমার সাধের ময়মনসিংহ
ভাবো প্রবণ সত্যি সত্যিই হয়ে
প্রেমে পড়েছিলাম শেকড়ের টান।
হঠাৎই খবর এলো ঢাকার
টিকাতলি অঞ্চলে বহু বছরের
দৈনিক পত্রিকা  ইত্তেফাক
খবরের কাগজ  অফিস দাউ দাউ
জ্বলছে আগুন, সাংবাদিক বন্ধু
বান্ধব  ভীষণ ব্যাস্ত হল নিরাপত্তা নিয়ে
সর্বস্তরের মানুষের  আমার প্রতি
ভালোবাসাই উদগ্রীব।
কোলকাতা থেকে আগত
সাংবাদিক শ্যামল সোম  এর নাম
রাজাকার বাহিনী জনৈক পত্রবাহি
পাকিস্তান পন্থী সাংবাদিক
কাশেম আহমেদ খান সেনাদের 
কাছে অর্থের বিনিময়।
বললাম এই আর আশ্চর্য কী
পলাশীর যুদ্ধে প্রমাণ  আছে।
ফারুক হাসান ভাই জোর করে
নিয়ে গেল ওদের দেশের
ময়মনসিংহ  এর কাছেই
ত্রিশাল সবুজের সমারোহ গ্রাম।

বাংলাদেশের বহু উচ্চ শ্রেনীর 
নেতা নেত্রী লেখক কবি
বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক 
অধ্যাপিকা বহু মানুষ কোটি
মানুষের অস্থায়ী আশ্রয়ের 
ব্যাবস্থা কিছু দায়িত্ব শেষে
ফারুকের সাথেই আবার ফিরে
এলাম ময়মনসিংহ এ
ওর খালুর বিশাল  বাগান
বাড়িতে আশ্রয় পেলাম।
ফারুকের এই খালু মেশোমশাই
বিখ্যাত সাংবাদিক চল্লিশ সালে
পাকিস্তানে ডন ইংরেজি পত্রিকা
সম্পাদক মন্ডলের সদস্য
ছিলেন, 1952 সালের আগেই
পাকিস্তান থেকে পরিবার নিয়ে
ঢাকার বাড়িতে ফিরে আসেন
এই মোতিহুর রহমান সাহেব
বাহান্ন সালের ভাষা আন্দোলন
প্রথম সারির নেতা ছিলেন।
পরে ইত্তেফাক খবরের কাগজের
সম্পাদক ছিলেন, সেই
ইত্তেফাক খবরের কাগজের
অফিস আগুনে ভস্মীভূত
স্বাভাবিক ভাবেই শোকাচ্ছন্ন
মুহ্যমান শোকার্ত প্রথম দর্শন
সৌম্যকান্তি দীর্ঘকায় আজত
লম্বু বাহু, প্রণাম করতেই
আলিঙ্গন করলেন, কোলকাতার
যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক
বিবেকানন্দ  মুখার্জির, সমর সেন
কথা জিজ্ঞেস করলেন।
আমিও সাংবাদিক মুক্তি যুদ্ধের
প্রাক্কালে  সংবাদ সংগ্রহ করছি
উৎসাহিত হলেন,
প্রবীন বৃদ্ধের কাছে শুনতাম ভারতবর্ষের
দেশ ভাগের পটভূমির ইতিহাসের
ঘটনার পরম্পরা রক্তাক্ত
দাঙ্গার সময়ে উনি ছেচল্লিশ সালে
কোলকাতার Predency
Collage passout করে
কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন
কি ভাবে দাঙ্গা পীড়িত মানুষের
পাশে ছিলেন বঙ্কিম মুখার্জির
পাশে থেকে কত আন্দোলন
সামিল হয়েছিলেন ধর্ম সম্পর্কে
বিশ্বাস করতেন মানবতার ধর্ম,
কাকাবাবুর মুজাপফার আহমেদ
জীবন দর্শন ছিল তাঁর মননে
চিন্তনে অসম্ভব অসামপরদায়িক
ভালমানুষ কাছ থেকে নিয়মিত
ক্লাস নিতাম তাঁর জ্ঞানের ভান্ডার
জার্মান করে দিতেন আমাকেও 
লিখতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন
" রক্তের  অক্ষরে বাংলার ইতিহাস"
বৃহৎ গ্রন্থ প্রকাশ করে ছিলাম
পরবর্তী কালে ওঁনাকে
উৎসর্গিত করেছিলাম।
আমার দেখাশোনার ভার দিয়েছিলেন
কনিষ্ঠ  কন্যা করবী নামে
ফুলের মত সৌন্দর্যে আন্তরিকতা 
সহজ সরল স্বাভাবিক ভাবেই
বিমুগ্ধ ছিলাম, আমাদের পরস্পরকে
পরস্পরের কাছে এনে ছিলেন
রবীন্দ্র সঙ্গীত,  অসামান্য কন্ঠে
রবীন্দ্র সঙ্গীত ছিল পড়াশোনা মাঝে
পরিশ্রান্ত  মনের চাপ কমাতে দুঃখ
ভোলাতে মৃত্যুর  আতঙ্ক  এ ভীত
পরাণের করবীর গানে বারেবারে
ফিরে পেতাম জীবনী শক্তি!


No comments:

Post a Comment