আত্মপ্রকাশের আত্মকথন
[এ বলদের মতন লিখছি রঙে ঢঙে, ছিলিমে লম্বা টান, এ গাঁজাখুরি গপ্পো কেউ কেউ আবার দাঁতাল, গাঢ়ল, গোলাপ জলে কৈ ধরতে, খেই ধরেতেই থৈ পাবেন না।]
শ্যামল সোম
নির্লজ্জের মতন উন্মোচিত হোক আমার ঐ রাস্তায় ঘোরা ঘুরি করা লেড়ি কুত্তার বাচ্চা মতন বেড়ে পরগাছা বেয়ে উঠছি।
জৈবিক নিয়মে জন্ম হল যেমন পশুরা জন্মায় তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন পরাধীন অখন্ড ভারতবর্ষের বিভিন্ন
প্রান্তে প্রান্তরে বিভিন্ন ধরনের দল দলা দলি তখন ছিলো হাজার হাজার দাসত্ব দাস সুলভ মন বৃত্তি এ প্রস্তর যুগ
এখন এই একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতার অভিশপ্ত জীবন অদৃষ্ট গত জন্মের পাপ মুখ হাত ধূয়ে সাফ।
এই গত কালই শুনলাম ভারতবর্ষের লোক সংখ্যা ঐ জন্তু জানোয়ার মতন যখন যে দল তু তু করে ডাকছে
আমি পথের কুকুরের লেজ নাড়তে নাচাতে যৌবনে আমিও হেঁটে ছিলাম মিছিলের সাথে ভেবেছিলাম
অনশন বন্দি যারা ভাগ্য হত, জীবন পরিবর্তন শ্রেণী হীন শান্ত স্বর্গীয় আনন্দের মঙল লোকে ফেরানো মানুষকে
যেখানে মানুষের মধ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে ধর্মের ধ্বজাধারী, হাতে নিয়ে খোলা তরোয়াল ত্রিশূল, আধুনিক, আনুবিক
অজস্র মারণাস্ত্র এখন বিভিনন আকারে ঘরে ঘরে শহরে গ্রামে দেশে দেশে বিদেশে সব দেশেই মজুত করছে
সেই প্রাগ ঐতিহাসিক ছোট গোষ্ঠীর যাযাবর জীবন যাপন আবার কি শুরু হবে।
পাগলের প্রলাপ মনের থেকে ঝেড়ে ফেলুন- গালে একদলা থুতু আমার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে, পাথর ছোঁড়ার ছুঁড়তে থাকুন।
আমার মত পাগলের কিছু মনের কথা আপন মনে বকবক করছি, পৃথিবীর সকল ধর্মের প্রতীক স্বরুপ স্রষ্টা এক
অভিন্ন এই বিশ্বের ব্রক্ষ্ম যাকে বিভিন্ন ধর্মের পরম পিতা মেহেরবান, গর্ড, আগুন, নির্বাহী নির্মোহ নির্বাণ ধ্যানস্থ বুদ্ধদেব
ঈশ্বরের অস্তিত্ব বা না অস্তিত্বের হীনতা সম্পর্ক নিশ্চুপ ছিলেন। কারণ ঈশ্বরের অস্তিত্ব অনুভব করতে প্রাণিত প্রাণের
গহ্বরে প্রতিনিয়ত তাঁর সন্ধান করতে নির্জনে সাধন করতে হায়।
হঠাৎই করেই ভেসে আসে পরম পিতার পরম ব্রহ্ম সত্য স্বরুপ অমোক বাণী যে বাণীর প্রতিধ্বনি শোনা যায়
বিভিন্ন ধর্মের সাধু ঋষি সাধক, ঈশ্বরের পুত্র - ধর্ম প্রবর্তক বহু ধর্ম প্রবর্তক আবির্ভূত হন কালে কালে,
তাঁদের অনেকেই বলেছিলেন -- হে পরম পিতা স্রষ্টা আপনি আমাকে আশীর্বাদ করুন- -" যেন আপনার আপন জ্যোতি
আলোতে আমার চোখ, কান, মুখ ধৌত করুন, যেন আমি কোন অপ্রিয় অসত্য তথ্য অসুন্দর কিছু দেখতে
শুনতে, বা আমাকে বলতে না, না হয়।
আমাকে এই তমসাচ্ছন্ন অন্ধকার থেকে প্রাণের প্রভু আপনি আমাকে জ্ঞানের আলোকে নিয়ে চলুন।
" LET THEIR LIVES TO BE OR THERE PLACE TO BE LIGHTED "
অদৃষ্ট ভাগ্যের নির্মম পরিহাস মনুষ্য জন্ম বৃথা গেল, আমার জন্ম ক্ষণে প্রতিক্ষণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন
বিভিন্ন রণাঙ্গনে চলছিল বোমারু বিমানের বোমা বিস্ফোরণ জ্বলে উঠছিল আগুন সে আগুনে ভস্মীভূত
ইমারত উপাসনা আলয়ে আজও যেমন হয়- চিরদিন শক্তিমান কাছে সর্বদাই দূর্বলেরা পরাস্ত বিব্রত
সন্ত্রস্ত উদ্বিগ্ন পলায়ন রত প্রাণের ভয় মানুষ ইজ্জত মান নারীদের নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করতে আবাহন
কাল থেকে আজ পর্যন্ত।
ভয়ার্ত পলাতক শরণার্থী এই মুহূর্তেই পালাচ্ছেন স্বদেশ থেকে বিদেশে।
চলছেই--- চরৈ বতে
No comments:
Post a Comment