তোমার ঐ হাত
শ্যামল সোম
এই হাতের ছোঁয়ায় ফোটে রক্ত গোলাপ
ফুলের মত পবিত্র তুমিই জীবন্ত কবিতা
আমার আদরের আলোক রতন সবিতা।
শিশির শব্দে ঘুমের মধ্যেই হয় আলাপ,
সূর্যোদ্বয়ের নূতন ভোরে গানে বিলাপ
শুনে কেন কাঁদে মন তোমাকেই খুঁজি
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে
শেষে কান্তা জী মন্দিরের কাছে দেখি
তোমাকে পরস্পরের অনন্তকাল আছি
চেয়ে নিষ্পলক চোখে রেখে চোখ সাথী।
আমার এক এক সময়ে
কান্না পায় এত ভালোবাসিস
আমাকে পাগলি তোর জন্যই
ফাল্গুনের কৃষ্ণচূড়ার ডাল ফুটে
উঠবে লালে লাল প্রেমের রঙ।
ক্লান্ত বাঁশিওয়ালা বট গাছের
তলায় প্রচন্ড ক্ষুধার্ত হয়ে শুয়ে
ছিলাম, হঠাৎই ডেকে এক পরী
অপূর্ব সুন্দরী আর সুন্দর তাঁর
কন্ঠস্বর, ওগো ও বাঁশিওয়ালা
চোখ মুখ দেখে মনে হয় পেটে
কিছুই জোটে নি?
এনি কে সাক্ষাৎ দেবী সুলভ
পবিত্র চোখ মুখের গড়ন অনেকটাই
একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধে হারিয়ে অন্ধকারে
গিয়েছিল আয়েশের মতন মিষ্টি দেখতে।
ঘাসের শয্যা থেকে উঠতে সে মেয়ে
বাড়িয়ে দিল হাত সেই উষ্ণ হাতের স্পর্শ
মনে সে যেন কতদিনের সে পরিচিতা এ
বৃদ্ধ বাঁশিওয়ালার?
" কে তুমি গো?
" বোন তোমারই ঝর্না চিনতে পারছো না ?
দাদাভাই তুমি কত রোগা হয়ে গেছো, এসো
হাত ধরে হঠাৎই ঝাঁপিয়ে আসা বৃষ্টির জলে
নিয়ে এলো ওর বাড়িতে পরম আদর যত্নে
বোনের কথা শুনছি ওর ছোট মেয়ে বেলা।
আশ্চর্য স্রষ্টার সৃষ্টি কাব্য গ্রন্থ অসামান্য
লিখন শৈলী চিত্রকল্পে শব্দ যেন পুষ্প চয়নের
মতন কবিতা যেন শব্দমালা গেঁথেছে অপূর্ব।
দাদাভাইয়ের স্নেহাশিস, ভালোবাসা নিও বোন।
বিশ্বাসের কাছে মানুষ হেরে যায়
যদি ফিরে পাই আত্মবিশ্বাস
বিস্মিত হই না আর, আশায়
আশায় রইলাম, যদি কোন দিন
ফেরো এ বিশ্বাসে দাদুভাই সত্যই
খুব ভালবেসে ছিলো কোলকাতা থেকে।
তোমার ঐ হাত
শ্যামল সোম
এই হাতের ছোঁয়ায় ফোটে রক্ত গোলাপ
ফুলের মত পবিত্র তুমিই জীবন্ত কবিতা
আমার আদরের আলোক রতন সবিতা।
শিশির শব্দে ঘুমের মধ্যেই হয় আলাপ,
সূর্যোদ্বয়ের নূতন ভোরে গানে বিলাপ
শুনে কেন কাঁদে মন তোমাকেই খুঁজি
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে
শেষে কান্তা জী মন্দিরের কাছে দেখি
তোমাকে পরস্পরের অনন্তকাল আছি
চেয়ে নিষ্পলক চোখে রেখে চোখ সাথী।
জন্মদিনে শুনি মৃত্যুর পদধ্বনি
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা
আজ জন্মদিনে বার্ধক্যে নূপুরের ধ্বনি
শ্যামের কৃষ্ণ বাঁশিতে বিদায়ের বেহাগ
বাজাচ্ছেন, " মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান "
রবীন্দ্রনাথের গানে মৃত্যু চিন্তন বিষন্ন মন
" মরি লো মরি, আমার বাঁশিতে ডেকেছে"
কাজী নজরুলএর, " আমারও যাওয়ার
সময় হলো দাও বিদায়, " বিদায় করেছো
যারে নিন জলে," তবু ডাক দিয়ে সে যায়।
মনের জানালা ধরে উঁকি দিয়ে গেছে --"
কেন মন পিছু ফিরে ফিরে চায় এ যাওয়ার
বেলায়, প্রেম কী মৃত্যু, কেন তবে হয় উচাটন
আমার যে দিন গেছে চোখের জলে, মৃত্যু এক
নূতন জন্মের ক্ষণ, তাই সে শোনায়, " ক্ষণিকের
অতিথি, জেবন এতো ছোট ক্যানে মাইনষের মন
এত মায়া তোমার প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে উতল
কেন গো হয় মন, তুমি প্রেমাচ্ছন্ন রাখো তোমার
ফিরে যেতে তাকাই, দু জোড়া চোখ ছলছল, পোড়া
মনে শুধু পোড়া মুখখানি জাগে রে, হে প্রিয় মুখাগ্নি
তুমিই করো, একটুকু ছোঁয়া লাগে একটুকু কথা শুনি।
" মনে রবে কি না রবে আমারে সে আমার মনে নাই গো।
ক্ষণে ক্ষণে আসি তব দুয়ারে, অকারণে গান গাই গো।
তোমার মুখের চকিত সুখের হাসি দেখিতে যে চাই গো --!
তবু যেতে মন নাহি চায়, জ্বলে তার চোখ, গাছ তুমিই
আমার প্রথম ও শেষ প্রেম যাওয়ার বেলা জড়ায়ে আছি।
আপ্লুত হলাম কৃতজ্ঞ রইলাম আপনাদের কাছে
আমার জন্মদিনে জাপানে বোমারু বিমানের
বোমা বিস্ফোরণ দিন 17 জানুয়ারী 1945 সালে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন পরাধীন অখন্ড ভারতবর্ষে,
আজ আমার ফিরে যাওয়ার এসেছে সময় কি হতভাগ্য
আমি এখনই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের আয়োজন।
ভাইজান আপনাদের
আমার বোনদের পবিত্র
ফুল শেফালি ছোঁয়ায় কাঁদালে
ভালোবাসার ঘায়ে, কল্যান হোক
এ মঙল আলোকে স্নেহাশিস ও
এক ভালোবাসা যে গঙ্গা পদ্মা
বহমান স্রোতে বন্ধুত্ব, ভাইবোনের
রাখীর বন্ধন, আহ্লাদি নাতনীদের
জন্য পরম পিতা স্রষ্টার প্রার্থনা
হে প্রভু কল্যাণ মঙল করুন সবার।
পাগলি তোকে খুব খুব মনে পড়ছে মা
তোর কল্যাণ হোক নাতনীদের তোকে
সুখী দেখে যে আমার চলে যাওয়ার
একান্তই ব্যক্তিগত বাসনা হে মহান
স্রষ্টা আমার মুনাজাত প্রার্থনা গ্রহন করেন প্রভু।
No comments:
Post a Comment