একুশের স্মৃতি মিনার ভেঙেছিল যারা
" রাজার দোহাই দিয়ে, ঘাতক সৈন্য ডাকি
মারো মারো' ওঠে হাঁকি। " ( রবীন্দ্রনাথ)
লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ের, লক্ষ
নারী জননী ভগ্নী কন্যার অশ্রু জলে
নূতন করে সে ভাষা শহীদের স্মরণে
শহীদ মিনার নবকলবরে শিল্প স্থাপত্য
গড়েছি আমরা পরস্পরের সাথেই
আছি ভালোবাসার গভীর বন্ধনে, তারই
প্রতিফলন দুই বাংলার যত ভাই বোন।
এপারে ওপারে শুধুই দীর্ঘশ্বাস
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা
এ পারে যে বাংলাদেশ শস্য শ্যামলা
ও পারে সে বাংলা, শাস্তির মামলা
মাঝখানে নাক উচিয়ে হাতে বন্দুক
পাহারা দেয় কাঁটাতারের বেড়া।
বেড়ার ওপারে তুমি কাঁদলে সত্যই
আমার পায় কান্না বিশ্বাস করো,
এতটুক মিথ্যা বলছি না, বুকে হাত
দিয়ে দেখো থড় পড় করছে বুক।
ভালোবাসার যে এত কষ্ট কে কে
আগে জানতো আর ভালোবাসা
হঠাৎই দমকা ঝড়ের মতনই আসে?
অবশ্য বোন তোকে ভালো না বেসে
আমি কিভাবে বুঝতাম এই অপার
আনন্দ, বোন তোকে ভালোবেসে
আমি ধন্য, ভাইবোনের রাখীর বন্ধন
পাখী, এ প্রেম নৈসর্গিক , ঐশ্বরিক
পবিত্র অমলিন শাশ্বত সুন্দর।
ঢাকায় গেলে তুই উৎফুল্লে নয়নে
ঝরে পানি, আমায় এত ভালোবাসিস
সে ভালোবাসার ঋণে ঋণী আমি।
এত পারে কোলকাতায় তোরই জন্য
তোর আসার অপেক্ষায় আছি, তুই যখন
ওপার থেকে ঘুরে বেড়াবো জন্য
আমার কাছে দুদিনের জন্য আসবি
আমি কোলকাতার শহরে বিখ্যাত
দোকানে গিয়ে কিনে তোর পছন্দের
মনের মতো সাজ সাজিয়ে দেব তোকে।
দেখবো, রবীন্দ্রনাথের বাড়ি, উৎসবের
শহর কোলকাতা, গঙ্গায় নৌকো করে
তোকে সাথে নিয়ে কত জায়গায় বেড়াবো।
শান্তি নিকেতনে গিয়ে দেখবি প্রকৃতি অপার
সৌন্দর্যে ঢালি সাজিয়ে তোর জন্য অপেক্ষায়!
দার্জিলিঙে টাইগার হিল থেকে কাঞ্চন জঙগা
পর্বতের সূর্যোদ্বয়ের রাঙা আলোয় তোকে
দু চোখ ভরে তাকিয়ে দেখবো সোনার মুকুট
হিমালয়ে পাকদণ্ডী উঠে যাওয়া সূর্যের সন্তান ।
অবশেষে বিদায় মূহুর্তে তুই যখন আমার
সব কিছু নিয়ে নিজেকে কাঁদিয়ে বোন তুই যখন
ফিরে যাবি ওপারে বাংলাদেশে ময়মনসিংহ এ
আমি সজল নয়নে , বুকের খুব কষ্ট চেপে মুখে
কান্না হাসি ছড়িয়ে,তোর ওপারের ফিরে যাওয়ার
দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তোর আমার চোখ
আমার ঝাপসা হয়ে আসছে বোন।
No comments:
Post a Comment