Sunday, 22 January 2017

বটবৃক্ষের বিচ্ছেদের গল্প

বটবৃক্ষের বিচ্ছেদের গল্প   ( অল্প অল্প  গল্প  লেখার প্রয়াস কল্পনায় লেখা )

শ্যামল  সোম

আমি এক সুপ্রাচীন বৃদ্ধ  বটবৃক্ষ  হে সনামধন্য বিখ্যাত বাংলা ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদ  পরিবারের সদস্যদের
আধুনিক এ প্রজন্মের পরিজন পরিচিতদের  আত্মীয় স্বজনদের বাংলা ভাষার ঐতিহ্য  এর ধারক বাহক বিশ্ব
সাহিত্যের  বাংলা ভাষা আশা ভরসা ঐ বিশ্ব দরবারে অনলস লেখার পরিশ্রমে এই ফেসবুকের মাধ্যমেই
আপনাদের  অসামান্য লিখন শৈলীর জন্য মুগ্ধ হয়ে থাকি, প্রতিদিন  প্রতিনিয়ত শ্রদ্ধার সম্মানের সাথে মন্তব্য
করে থাকি, সংকুচিত হই, আপনাদের সাবলীল শব্দের  অলংকরণে চিত্রকল্প ছন্দের বিমূর্ত প্রতীক স্বরূপ উন্মোচিত
আলোকিত  বাংলা সাহিত্যের  প্রাঙ্গণে শতসহস্র গোলাপ ফুলের সৌরভে সুবাসিত বিভিন্ন গ্রুপের জননী ভগ্নী কন্যা নাতনীদের এবং ভাইয়েদের  লেখা পড়ে বিমোহিত মুগ্ধ হয়ে থাকি।
আপনাদের  উষ্ণ অভিনন্দন ও শতসহস্র গোলাপ ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই।

জননী গো আমার  শৈশবে যখন তুমি  এক পরপুরুষ পরকীয় প্রেমে পড়ে, রাতের রাত  মৈথুনে মশগুল মাঝে মাঝে শুনতাম  শীৎকার ধ্বনি উচ্চারিত নানা অভিব্যক্তি  পরম আহ্লাদে শিহরিত শরীরে  শারিরীক সুখ গলে গলে চুইয়ে
পড়তো উত্তপ্ত দেহ বেয়ে, বহমান নদীর কুলকুল স্রোতে তোমরা ভেসে যেতে দুজনে।
আমি  পাশের ঐ ছিটে বেড়ার ঘরে বিস্ময়ে হতবাক  নৈঃশব্দে স্তব্ধ আঁধারে সম্পূর্ণ একা একাই  কাঁদতাম।

সে পুরুষের  আকর্ষণে, পরে বিবাহের  প্রতিশ্রুতি পালনে, যেদিন আমার বৃদ্ধা  দিদিমা কাছে একা রেখে
চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছ বিদেশে হাবিব নূতন স্বামী  সাথে, তোমার পরণে মেরুন রঙের বেনারসী
কপালে টিকলি, কানে ঝুমকো, নাকে নোলক,  মাথায়  সিঁথিতে নূতন লাল সিঁদুর, সত্যিই খুব সুন্দর লাগছিল।
আমাকে ডাকলে কাছে আসতে, পাঁচ বছরের  আমি অভিমানে বিষন্ন মনে দৌড়ে  ছুটছি ছুটছিলাম এই প্রাচীন
বটবৃক্ষের কাছেই, বিষাক্ত হুলের কামড় এ জ্বলছিল ভীষন জ্বলছিল।

আপনারা জ্ঞানীগুনী কবি  সাহিত্যিক আমার মত শিশুর মনের কষ্ট  বুঝবেন, যার নিজের বাপ পালিয়েছেন
আমার তিন বছর বয়সে, জননী চলে যাচ্ছেন  অন্য কোন দেশে অন্য কোন পুরুষের সাথে।
বিবাহ বিচ্ছিন্ন  মাতা পিতামাতার  নিঃসঙ্গ শিশুর মানসিক যন্ত্রনা কষ্ট  আপনারা তো বুঝবেন।

No comments:

Post a Comment