ব্রেক আপ গল্প
শ্যামল সোম
কোলকাতার এয়ারপোর্টকে নেতাজীর নামে কেউ ডাকে?
এয়ারপোর্ট এল লাউঞ্জ বসে দুজনে রজত আর সুস্মিতা পরস্পরের দিকে তাকিয়েই রয়েছে, পাঁচ বছরের সম্পর্ক
আজ ভেঙে চুরমার, তিন বছরেও উপরে কোর্টসিপ প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ থাকার পর এক শ্রাবণের বৃষ্টির ঝরা
পূর্ণিমার রাত বিনিদ্র ফুলশয্যা, ফুলে ফুলে সাজানো বাসর শয্যা রাতে আপ্যায়ন এই বিশাল পাঁচতলা এপারটমেনট
সুস্মিতার পছন্দে সাজানো pink colour বেডরুমের জানলা দরজার পর্দা আসবাব সৌখিন তেরাকোঠার কারুকার্য
প্রাচুর্য সম্পদের বাহুল্য বিলাসিতার ঢালাও মনোরম পরিবেশে সুস্মিতাকে রানি রঙের বেনারসী সোনা আর যূঁই ফুলের
গহনা পরিহিতা কনেবউ সাজে সুমির ঈষৎ লাজে রাঙা হাস্য উচ্ছল জ্বল জ্বল দৃষ্টিপাতে রজতে বুকে ভূমিকম্প কম্পন
অনুভূত হল, বিমোহিত নিষ্পলক তাকিয়েছিলো এ কে তার তিন বছরের প্রেমিকা সুমি, নারীর নানা রূপে মুগ্ধ করে
পুরুষদের এ এক আশ্চর্য ক্ষমতা।
সে রাতে বন্য দাঁতাল শুয়োরের মতন সুমির দেহের অভ্যন্তরীণ কোষে তন্ন তন্ন করে রজত ঘর্মাক্ত শরীরে সরীসৃপের মত
খুঁজছিল ভালোবাসা প্রেম নারীর মন।
হতভাগ্য পুরুষ কোন সন্ধান পায় তন্ন তন্ন খুঁজেও নারীর মন?
সুস্মিতার নিজে software Engineer আই বি এম কোম্পানির উচ্চ পদস্থ অফিসার সারাদিনের পর ও সংসারে একনিষ্ঠ
কর্মী, রজতের সাংবাদিক জীবন একটি সংবাদ চ্যানেলে দায়িত্বশীল সি এ ও গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে সুমি চিকেন গরম
করতে গিয়ে শুনলো রাতে মদ্যপ গলা, " leave it darling I had took my dinner with someone, come to me
Let enjoy night is to young too--" সারারাত চলতো দেহের মধ্যেই মন খোঁজার পালা, ঝালাপালা sex maniac
সেটা বুঝেছিলো সুস্মিতা মরিশাস হনি মুনে গিয়ে।
অসহায়ায় পরিস্থিতির শিকার হয়েছে সুস্মিতা, যে ফিজিক্স অনার্স সেকেন্ড হয়েছিল যাদবপুর University তে,
Chips নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে, হঠাৎই ধূমকেতু এলো রজত চক্রবর্তী সুদর্শন যুবক প্রাণ উৎফুল্ল উচ্ছল
স্বাস্থ্যবান সুঠাম চেহারা দেখেই সুস্মিতার গান শুনে পরস্পরের প্রেমে পড়েছিলো।
কোর্টের নির্দেশে এখন বিবাহ বিচ্ছিন্ন যেন কত অচেনা নারী পুরুষ ভাবছে সুস্মিতা, সুমি ফিরে যাচ্ছে নিউইয়র্ক ওর মা বাপির কাছে, ইচ্ছে করেই সব ব্যবস্থা নিজেই করেছে এক University scholarship পেয়েছে, নারী হয়ে স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায়, announced হলো সুস্মিতার লাগেজ আগেই রজতের সাংবাদিক পরিচিতিতে উঠে গেছে।
দুজনে উঠে দাঁড়াল পরস্পরের দিকে চেয়ে রয়েছে, হঠাৎই একটা খাম বেশ করে রজত দেয়।
সুস্মিতা জানে, এগিয়ে দুহাতে রজতে গভীর আলিঙ্গনে শেষ বিদায়ের চুম্বনের পর সুস্মিতা কাঁদতে কাঁদতে দ্রুত
চলে যায়, চোখের আড়ালে রজত হৃদয়ে শূন্যতা অনুভব করে।
গভীর দীর্ঘশ্বাস বের হবার পর এয়ারপোর্ট রোড ধরে গাড়ি চালাচ্ছে রজত, সিগারেট মুখে সামান্য মদ্য সেবনে আত্মগ্লানির ঘোরে আছে সে।
হঠাৎই বৃষ্টি পড়ছে আজই বাইশে শ্রাবণ এক পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় শুভদৃষ্টি হয়েছিল।
গাড়ির প্রায় সামনে এসে পড়ে ছিলেন একজন অপূর্ব সুন্দরী যৌনবতী শিকারের সন্ধানে।
গাড়িতে তুলে নেয়, লাস্যময়ীর ছলাকলা উত্তপ্ত চুম্বন শরীরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অঙ্গে লাবণ্য আর লালসায়
লাম্পট্য রজত কে সব হারানো ব্যাথা বেদনা কী পারবে ঐ দেহ পসারিনী স্বৈরিণী নারী ?
সেটা জানতে হলে সিনেমা হল গিয়ে দেখতে হবেই ভবিষ্যতের পরিণতির জন্য । ধন্যবাদ জানাই
No comments:
Post a Comment