Monday, 23 January 2017

উড়িয়ে দিলেম পাখি

তারিখ- -: 23--1--2017  গদ্য কবিতা

আজ মৃত্যুর পদধ্বনি শুনে বারবার রবীন্দ্রনাথের গান এল মোর প্রাণে
" হম যব না  রব, সজনী
নিভৃত বসন্ত  নিকুঞ্জ  বিতানে আসবে  নির্মল রজনী। " ভানুসিংহ পদাবলী
" সখী, আর কত দিন  সুখ হীন শান্তি হীন
হাহা করে বেড়াইব নিরাশ্রয় মন লয়ে।"
" ক্ষমা  করো মোরে সখী, শুধায়ো  না আর
মরমে লুকানো থাক মরমের ভার।"
" ক্লান্তি  আমার ক্ষমা কর  প্রভু।"
" কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও
হে বন্ধু  বিদায়।" রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা।

বেলা শেষে গান শোনা  হলো না আমার

উড়িয়ে দিলেম পাখি

শ্যামল  সোম

যাও মুক্ত  পাখি বলো তারে এ হৃদয়ের আকাশে আজও
অরুন্ধতী নক্ষত্র সে, ঝাপসা আমার দু চোখে এখন ভাসে।
তার মায়াবী দৃষ্টিতে জ্বলে গেছি এই  অন্ধ চোখ তাঁর রূপে
বিমুগ্ধ সারারাত ছিলো নাকো ঘুম, শুধুই অন্ধকারে ভূতের
মতন নিমজ্জিত ছিলাম তাঁর স্বপ্নে বিভোর মোহাচ্ছন্ন পোড়ে
এখন বিমোহিত মন, নিরবে ভালোবেসে নয়নে অশ্রু বিসর্জন
ছিলো না কোন অধিকার শোনার এ বৃদ্ধের সে সুরের গুঞ্জন।
আজও মোর বুকের কান পাতলেই শুনি গানে গানে রক্তক্ষরণ
হায়রে হতভাগ্য মন, পোড়া গন্ধ পাস  না আপন দগ্ধ দেহের ঘ্রাণ
এখন মরণের হাত ধরে যেতে যেতে কেন কেন পিছু ফেরে প্রাণ
ওরে মন প্রাণের আশা ছেড়ে উন্মাদ, ভালোবাসে অসহ্য দহন।
এ সুতীব্র ভালোবাসার ছিন্ন পাতা ঝরে ঝরে যাক সকল বন্ধন
ছিন্ন মূল  ঐ টবের রাখা ফুল গাছ নির্মম চরম আঘাতে মরে,
যাও পাখি বলো তাঁরে সে যেন বুড়োকে মাফ করে মিষ্ট স্বরে।
মৃত্যু পথচারী জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ অসুস্থ বৃদ্ধ  আজ মৃত্যু এ
শয্যায় সারিসারি গাছ গাছালির বাগানে ফেলবে সে শেষ শ্বাস।
হে ঈশ্বরী ফেরাও চিরশান্তি শীতল বৃষ্টির বর্ষন এ লাশের পরে
চির শান্ত পাক এই  হৃদয়ের যত গোপন জ্বলন্ত অগ্নি কৃষ্ণ অঙ্গারে।
হে আমার নৈসর্গিক প্রেম  শৈল্পিক নান্দনিক চিত্রকল্প ছন্দের দেবী
বিমূর্ত  কাব্যিক স্বপ্নের সাধ,  এ জন্মে থাক, বিদায় বিদায়, বিদায়
চির বিদায় দাও কবিতা, প্রার্থনা করি হে প্রেম তুমি চির সুখী হও মা।

No comments:

Post a Comment