Wednesday, 28 December 2016

আড়াল থেকে ভালোবাসি

আমাকে মাফ করবেন কবি মুগ্ধ  ও
আপনার  কাব্যের অনুপ্রেরণায় অনুরোরণ এ লেখা।

আড়াল থেকে ভালোবাসি

বাঁশিওয়ালা শ্যামল  সোম

যদি কখনও গাছের আড়াল থেকে দেখে
ঝলসে যায়  চোখ, চোখ বুজে থাকি  আমি।
হঠাৎই যদি  ঝাঁপিয়ে আসে বৃষ্টি, বৃষ্টিস্নাত
সিক্ত  মনে ভেজা দেহে  শীতার্ত রাতে একটু
উষ্ণদেহ সান্নিধ্য লাভের জন্য উন্মুক্ত করেছি।
আকাশে বিদূৎপর্ণা অট্টহাস্য,প্রচন্ড শব্দে  জ্বলে 
উঠল বাজ এ গাছে আমিও গাছে সাথে জ্বলছি ।
আচমকাই  আগুন দেখে তাকালে আমার দিকে
জ্বলন্ত  শরীরে  ধুকপুক  করছে মুমূর্ষু  প্রাণ,  এই
প্রাণিত প্রাণের  শেষ মূহুর্তে চোখে রেখে চোখ
অপলক দৃষ্টির ভাষায় সলজ্জ চোখে চোখে প্রেম
শঙ্কিত ব্যথিত তোমার দু চোখে জল এই প্রথম জলে
ভরা চোখে আবার চোখ  পড়তেই ভূমিকম্প স্পন্দনে
আলোড়িত দুজনার  মন , কেউ কাউকে চিনি না তবুও
উষ্ণ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ভয় নেই তোমার
এ মৃত্যুর  শয্যায়  মিলন  বাসরের  সময় নাই আমার ।
জীবনের শেষ যাত্রায় , তাই  চির কালই  ঐ তোমার
আড়ালে থেকে আমি বৌদ্ধ  শ্রমণ শিল্পীরা  অজন্তা,
ইলোরার বা খাজুরাহ বিমূর্ত  প্রেমের  প্রতীক  শিল্পের 
অন্যন্য নিদর্শন  অসাধ্য  আমি স্থপতি নই,  ভাস্কর্য
শিল্পে ও  অধিকারি নই।
শব্দের অলংকরণে চিত্রকল্পে অঙ্কিত চিত্র তোমার
লিখন শৈলী শৈল্পিক নান্দনিক কাব্যিক অপূর্ব বিন্যাসে
ছন্দে ছন্দে ধ্বনিত গুঞ্জন  এই  আমার কাব্য গ্রন্থে
সে গ্রন্থের নাম উল্লেখ  নাই বা করে গেলাম বেলা শেষে।
ধরা পড়ে যাই যদি প্রেমের  অপরাধে মৃত অভিযুক্ত
এক প্রেমিক দূর দেশী সেই রাখাল ছেলে এই বাঁশিওয়ালা
এই আমার  চুয়াত্তর বছরের সদ্য মৃত  যুবকের কী সত্যিই
মৃতের ফাঁসি হবে, না কোতল  জবাই হতে হবে মৃত্যুর প্রেমিকের  ?

দূরে কোথাও দূরে দূরে

দূর  কোথায় দূরে দূরে

শ্যামল সোম

মিতা সে তো তুমিই জানোই
হৃদয়ে কত খানি জুড়ে আছো
ছদ্মনাম বলি আমাদের সহস্র
স্বপ্নের শাশ্বত প্রেম  অন্যদের
কাছে না হয়, অন্তরে গোপনে
থাক, আপনে মনে যখন স্বরে
গুন গুনিয়ে গাও, " আমার
হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে ! "
ভিডিও চ্যাটে আমি শুনি এক
বিমোহিত,বিমুগ্ধ মনে ট্যাবের
স্ক্রিনে বিমুগ্ধ  চোখে চেয়ে আছি।
অপলক দৃষ্টি, কত কাছাকাছি
বিশাল আকাশে মেঘ বলকা ও
তুমি মেঘ বালিকা চলি ভেসে
দুই জনে দুদিক, তুমি  ঢাকায়,
আমি বিনিদ্র নির্জন এ রাতে
এই তিলোত্তমা কোলকাতায়।

আনমনা তুই

আমার ভীষণ পছন্দের লেখিকাকে  নিয়ে লেখা

আনমনা তুই

তোর বাঁশিওয়ালা শ্যামল সোম

অনু আছিস কেমন ভালো তো
এই তোর দাম্পত্য জীবন যাপন
দেখ, অনু ভালো থাকাটাই সব।
জানিস তো  কোলকাতায় এত
ভীষন কলরব, বড় ক্লানিকর।
তৃষিত প্রাণের অস্তিত্ব নেই আজ,
কল্লোলিনী নাচে গানে উন্মাদিনী।
কোলকাতা আসন্ন দুর্গা পুজোয়
আলোর চোখ ধাঁধানো রোশনাই
জানিস বাজবে চারদিকে সানাই ।
সে সানাই  এর সুরে মন পালাই
পালাই করে, পাগলি তোর জন্যেই
উদাসী মন মেঘের ঐ খেয়া বেয়েই
পৌঁছে যাই শেকড়ের সন্ধানে তোর
বাংলাদেশের কুমিল্লায়, গিয়ে শুনি
তুই চলে গেছিস অনেক বহুদূরে সে
অচিনপুরে, জানিস অনু কষ্ট হচ্ছে রে,
চোখে দেখা তাও দেখতে পেলাম না ?
কষ্ট পাই খুব কষ্ট পাই রে, সেদিন ঐ
শেষ সাক্ষাৎ চলে যাচ্ছি চিরদিনের
মতোন হারিয়ে যাবো কোলকাতার
প্রচন্ড ভীড়ে, সেদিন ঠিক এভাবেই
মুখ ফিরিয়ে রইলি অভিমানে না প্রেমের
বিরহে দূর ! কী আবোল তাবোল ভাবছি
ভালোবাসা কবে সেই কত যুগ আগে
মারা গেছে, ভালোবাসা হারিয়ে গেছে রে।
ভারাকান্ত হৃদয়ে ফিরি পথে পথে আনমনে।

POSTED BY JOURNEY OF SHYAMAL AT 8:06 PM NO COMMENT

আজ আমার মায়ের সাথে আড়ি

বিভাগ  কাব্য
তাং: 27--12--2016
আজ আমার মায়ের সাথে আড়ি

শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা

রথের মেলায় মা দিয়েছেন কিনে
সে বাঁশিতে বাজচ্ছিলাম সারাদিনে
সকাল সাঁঝে দিন দুপুরে নিশীথে।
মাঝে মাঝে সকল কাজের ফাঁকে
গেয়ে উঠতেন মা, " কোথাও আমার
হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা (মনে মনে,)
আমার বাঁশি সুরে সুর মিলিয়ে," আমার
সাঁঝ বেলাতে সুরে সুরে সুর মেলাতে "
আমার বাঁশির সুরের ধারা পড়ে যেথায়
সেই সে অচীন পুরে, নেই কো মন লেখা
পড়ায়
মন চায় সুরের নেশায় বাজাই বাঁশি পাড়ায়
পাড়ায়।
হঠাৎই সেদিন বৃষ্টির জলে ভিজে বাঁশি বাজিয়ে
যেই ফিরেছি ঘরে, ক্ষেপে মা আমাকে দেখে ভয়ার্ত
শিউরে উঠলেন, হেঁচকা কাছে টেনে জড়িয়ে ধরেই
কেঁদে ফেললেন, " ওরে আমার ছোট্ট খোকা  কেন
বন বাঁধারে নদীর ঘাটে জঙ্গলে ঝড়  জলে শ্রাবণের
ধারায় এই বাঁশি বাজিয়ে এখন তোর যে খোকা জ্বর
পুড়ে যাচ্ছে গা, কি হবে  ?
সারা রাতদিন  মা আমাকে সুস্থ করার জন্য অক্লান্ত
পরিশ্রম  সেবা শুশ্রূষা করছেন, কপালে জলের পটি,
কখন গরম দুধ ঔষধ ডাক্তার ডাকা চিকিৎসা করে
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন, কত যত্ন করে।
আমি ভালো হয়েই সমূর্তি ধারণ করে স্কুল পালানো
বাউলের দলে ভিড়ে গিয়েছিলাম কিছুদিন পর বাড়ি
ফেরার পর থেকেই  দেখছি মা কথা বলছেন না কেন
নির্বিকার নিশ্চুপ নিরুত্তর  অচেনা ভান এড়িয়ে যান
পা ধরে কত কাঁদলাম কিন্তু আমার ভীষণ কঠিন কঠোর।
তাই একদিন ভোর রাতে ঝুলি আর বাঁশি বাজাতে বাজাতে
গান গাইতে গাইতে আজও  পথে পথেই ঘুরছি এই গান গেয়ে,
" কেন চেয়ে আছো গো মা মুখ পানে, ওরা জানে না জানে না যে।"

মাকে আমার ভীষণ মনে পড়ে

মাগো তোমায় ভীষণ মনে পড়ে

শ্যামল সোম

আমার সুখের ঘরে দোর
দুঃখ আমায় জড়িয়ে ধরে।
এত ভালোবাসায় বোন তোর
দাদাভাইয়ের প্রতি  এত মায়া
এই  বোন তুই আমার মা হবি?
মেলার ভীড়ে আমার হৃদয় পুরে
মা জননী গেছেন হারিয়ে, পুড়ে
যাচ্ছে বুক পাঁজরে আজ ক্ষণে
ক্ষণে প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণ !
দুই চোখে শুধুই অশ্রু ঝরে।
হঠাৎই সত্তর বছরের পরে
স্মৃতি ! হৃদয়ের বেদনা খোঁড়ে।

বৃষ্টি ভেজা গোধূলির রঙ এর সবাইকে,
আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও অফুরন্ত
ভালোবাসা স্নেহাশিস নিও বোন ও ভাই।

জারজ সন্তান আমি

জারজ আমি

শ্যামল সোম

আমার বাপে নাম নেইকো জানা
প্রেম চাঁদ বড়াল স্ট্রিটে  আস্তানা
117 নম্বর বাড়ির ছোট্ট খুপরি ঘরে
রোজ রাতে রাস্তার গ্যাসের বাতির
নীচে গাড়িওয়ালা বারান্দার রকে
জোরে জোরে  পড়ি ইতিহাস 1946
সালের কেন বলে ভাতৃঘাতি দাঙ্গা?
দেশভাগের দাঙ্গায় নোয়াখালী থেকে
সপরিবারে কিশোরী জননী ময়না দুই
দাদা, দাদুর অপঘাত মৃত্যু দন্ডিত শাপে।
এক বৌদি এক দিদি মা বাপের সাথে
কিশোরী মা ভয়ার্ত ভীত সন্ত্রস্ত  উদ্বিগ্ন।
প্রাণের ভয়ে দাঙ্গাবাজদের দৌরাত্ম্য এ
পালাচ্ছিলেন জ্বলন্ত গ্রামের বাড়ি ছেড়ে।
পথেই তাঁর পিতা নিষ্ঠাবান ব্রক্ষ্মান্ড পিতা
পরনের লুঙ্গি খুলে দেখেই আড়াই প্যাচে
জবাই, একে একে দুই ভাইয়ের বাপের
রক্তে রঞ্জিত গঙ্গার তীরে, গাছ গাছালির
আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন কিশোরী মা, মুক
বধির নিষ্ঠুর এ হত্যা দেখেই জ্ঞান হারানোর
আগে শুনলেন দিদি বৌদি মায়ের আর্তনাদ,
অচৈতন্য কিশোরী মা শুয়ে জঙ্গলে গাছপালায়।
পদ্মা গঙ্গার জলে বহমান স্রোতে সময়ের সাথে
কিশোরী মা আমার কোলকাতার রাজপথে
জনৈক দালালের খপ্পরে খুবই  অল্প দামে
সোনাগাছির ঐ শিব মন্দিরের পাশের গলিতে
117 নম্বর প্রেম চাঁদ বড়াল স্ট্রিটে ঠাঁই হলো।
প্রতি রাতেই ওই ঘরে নিত্য নতুন ধর্ষণে উদ্যম
উৎশৃঙখল অমানবিক যৌন নির্যাতন অত্যাচারে
রক্তাক্ত দেহে আঘাতে আঘাতে পাশবিক যৌন
সঙ্গমে আশ্চর্য  এ ব্যাপার হিন্দু মুসলিম কোন
ভেদাভেদ নেই পৃথিবীর সব দেশে বেশ্যা রা পন্য।
1950 সালে পয়লা জানুয়ারী ষোল বছরের মা
প্রসব করলেন আমাকে, কৃষ্ণ কালো রঙ শ্যামল
নাম রাখলেন মা, কখন কেষ্ট বলে ডাকতেন মা।
আমার মায়ের " সকল  দুখের প্রদীপ জ্বেলে করবো
আয়োজন মায়ের ব্যথার পুজা হয়নি গো সমাপন।"

যৌবনে কলেজের পিকনিক

যৌবনে কলেজে পিকনিকে

শ্যামল সোম

দামী লাকসারী বাসে ফলতায় গঙ্গার পারে যাওয়ার জন্য কে কার পাশে বসবে হুড়াহুড়ি।
আমি ইংলিশ মিডিয়াম এই কলেজে ছাত্র একটু গোবেচারা ইংলিশে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ ।
টেনশন নেই, সবাই ব্যস্ত বসার জন্য হৈ হুল্লোড় ভাবছি পালাই পিকনিকে যাবো না, হঠাৎই সুস্মিতা
ফিজিক্স  অনার্স সেকেন্ড  ইয়ার প্রেসিডেনসি এই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ছাত্র ছাত্রীদের প্রিয় পাত্রী। 
অপরূপা অথচ নিজের দেহ সৌন্দর্য অচেতন মেধাবিনীর ডাক, " এই সোম এখানে এসো --
" চোখে কৌতুক হাস্য উচ্ছল জ্বল জ্বল দৃষ্টিপাত আমি কুপোকাত।
বাসার দ্রুত গতিতে ছুটছে।
আমি গুটি  গুটি পায়ে সকলের ঈর্ষান্বিত চোখে সামনে একটু সাহস সঞ্চার বলি, hi সুমি thanks !

সুস্মিতা কৃষ্ণ কালো বড় বড় চোখের পাতা নাচিয়ে ইশারায় পাশে বসতে বলে।

জেকেটের পকেট থেকে বিশাল চকলেট বার এগিয়ে দিলাম, হাতে পিঞ্জ প্রেমের চিমটি।
জলের বোতল  চিপসের প্যাকেট নিয়ে পাশে বসে  সুস্মিতার দেহে  loveme perfume স্নিগ্ধ গন্ধে আকুল।
কলা পাউরুটি ডিম সেদ্ধ মোওয়া নিয়েও কারাকারি।

সুমি ওদিকে তাকিয়েই হেসে ওঠে  জ্যোৎস্না  আলোর জ্বলে উঠল, বাজ পড়ার শব্দে সবাই হেসে উঠল,
আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা সবাই  জানে।

সুমি চিকেন স্যান্ডি বের করে নিজের হাতে খাওয়াচ্ছে নিজেও খাচ্ছে আবার ,হাসির  রোল উঠল আশিকীর
গান গাইছে গীটার বাজিয়ে।

পরস্পরের কাছাকাছি বসে সুমি হেলান দিয়ে আমার কাঁধে মাথা রেখে ফিস ফিস করে বলে, "সোম তুই অক্সফোর্ড পড়তে যাবি---
আমি একা একা থাকবো কী করে সোম ?"

মেয়েদের ছল ছল চোখে কান্না টল টল করছে কষ্ট হয় মনে, সুমি মাথা হাত বুলিয়ে বলি,  " পাগলী চল আমার সঙ্গে
Acsro  physic  লন্ডনে  না হলে  USA চল দুজনে যাই আমি MASS COMMUNICATION নিয়ে  পড়বো।

ফলতাতে গঙ্গার পারে বাগান বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।

এবার যে  যার রসে বসে সে  তারের মতন জমে জমে একেবারে কাঁঠালের আটা।
অন্তরীক্ষ  এ অন্তরক্ষরী খেলা, চাদর বিছিয়ে কোথাও  তিন পাততি, লাল জল টলটল দেহ।
দূরে বসে যৌবনের দূত দূতিরা বসে গানের কথা খেই ধরেই গান, মেমরি গেম, ক্রিকেট খেলছে কেউ কেউ ।

আমাদের গানের ফাঁকে চোখে চোখ রেখে মৃদু হাসি,
ফলতার গঙ্গার ধারে সুমির  হাত ধরে এক সাথে হাঁটা
গাছের আড়ালে
পরস্পরের ঠোঁট, প্রথম প্রেমে পড়ার কলেজের পিকনিকে,
দুর থেকেই  সুমিষ্ট স্বরে সুমির কন্ঠে--
" আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাইনে",

সেলফি তোলা পরস্পর জড়িয়ে।

গঙ্গার জলে আমরা দুজনে নৌকায়বিহার।

প্রতীক্ষিত প্রেমের গল্প সল্প  এ বাড়ে আমাদের প্রেম।
অন্যরা  পরস্পরের মোবাইল ফোনের নম্বরের আদান প্রদান করছে।

" আমার পরান যাহা চায় তুমি  তাই গো"।
শেষে ঐ সুস্মিতার গানের রেশ নিয়ে ঘরে ফেরা।

আবৃত্তিকার বদরুল আহসান খান ভাই শ্যামল সোম

৬বছরে আপনাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।তাছাড়া আমি নগন্য আবৃত্তি শিল্পী হওয়া সত্বেও আমার বাসায় রেকর্ডিং কবিতা বৈশাখী টিভিতে ১৫ দিন ব্যপি বাজিয়েছে ।এছাড়াও বৈশাখী টিভিতে ২০১৪ তে১৫ আগস্টে প্রচারিত বৈশাখী টেলিভিশন আয়োজিত শোক দিবসের বিশেষ লাইভ অনুষ্ঠানের প্রচারিত বিখ্যাত শিল্পী তিমির নন্দীর গান ও আমার কন্ঠে কবিতা আবৃতি করি ৭ টা।
কবিতার সিরিয়াল ও অবস্থান
১) আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি- কবিতাটি নির্মলেন্দু গুণ
২) মহামান্য শেখ মুজিব হে প্রমিথিউস বাংলার- মর্তুজা হাসান সৈকত
৩) তোমার হত্যাকারী- মহাদেব সাহা
৪) এ লাশ আমার রাখবো কোথায় ?সামসুর রহমান
৫) শেখ মুজিব আমার নতুন কবিতা-মহাদেব সাহা
৬) হে স্বাপ্নিক তোমাকে নিবেদিত পংক্তিমালা’ মর্তুজা হাসান সৈকত
৭) সেই রাতের কল্পকাহিনী- নির্মলেন্দু গুণ
এছাড়াও ১৪ই আগস্ট এসএ টেলিভিশনের বিকেল সাড়ে পাঁচটার বেলাশেষের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলাম। জীবনের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ স্মৃতিচারণের পাশাপাশি আমার প্রকাশিত সিডি এ্যালবাম ‘মহাদেব সাহার প্রতিবাদের কবিতা’ এবং মর্তুজা হাসান সৈকত’র লিখা কবিতা নিয়ে প্রকাশিত এ্যালবাম ‘দুঃস্বপ্নের বন্দরে দাঁড়িয়ে’ থেকে আবৃত্তি করেছি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখা তিনটি কবিতা।
মনে পড়ে এ্যডভোকেট আয়াত আলী পাটাওয়ারীর কবিতা
রাসেলের মর্মন্তদ কান্না আজও কানে বাজে
বএিশে যাই,প্রশ্নবিদ্ধ হই।
রেসকোর্স ময়দানের পাশ ঘেঁষে যাই প্রশ্নবিদ্ধ হই।
বনানীর কবর পাড়ায় চিরনিদ্রালয়ের কাছে যাই ,প্রশ্নবিদ্ধ হই ।
টুঈিপাড়ায় যাই,প্রশ্নবিদ্ধ হই।
প্রশ্নবিদ্ধ আমি নিশ্চুপ পাথর হয়ে থাকি পনেরই আগস্টের মতো।
শুধু প্রতি পনেরই আগস্টে নয়
প্রতি নিয়তই
রাসেলের কান্না আজও কানেবাজে
বাংলার আকাশেবাতাসে ইথারে ইথারে ভাসে
সেই
মর্মন্তদ কান্না ।
এটা মন্চে পাঠ করার পর কবি চোখের জল ভিজিয়ে আমাকে মন্চে জড়িয়ে ধরলো। উনি ঐ মন্চে বিশেষ অতিথী ছিলেন। বয়স্ক কবিরা চোখের পানি ফেলেছিল।আমি কোনদিন ভুলবো না।ভালোবাসা ছিলো বলেইতো এখনো আছি আপনাদের মাঝে।আমি নবীনদের কবিতা বেশী পড়েছি ঠিক ।১৫৯০ ভিতর ১৩০০কবিতাই নবনদের কবিতা ইউ টিউব করেছি আমার ইচ্ছামতো কোন অর্থ ছাড়া।আমি চাই কবিদের কবিতায় দেশপ্রেম জাগ্রত হউক।

Tuesday, 20 December 2016

মুক্তি যুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস শ্যামল সোম

বুজি গঙ্গা নদীর বহমান স্রোতে (  হুমায়ুন আহমেদ এর  আলোর পরশ মণি
                                                  চলচ্চিত্র  দেখার পরে অনুপ্রাণিত হয়ে এই লেখা )

শ্যামল  সোম   ( গল্প লেখার চেষ্টা)

উনিশো আটষষ্টি সালে যমুনা আকতার আর রফিক
পাশাপাশি বাড়ীর থাকে ষোল বছরের কিশোরীর সাথে
রফিক আজাদ গভীর  বন্ধুত্বের সম্পর্ক যদিও তৎকালীন
লোকাচারে খুব সোচ্চার নয়, মাটির  সাথে গাছের যে নীচে
প্রথিত  এই কৈশোরের প্রেম, যমুনার সলজ্জ চোখেচোখ
পড়তেই ভূমিকম্প স্পন্দনে আলোড়িত দুজনার উষ্ণ মন।
পুরোনো ধানমন্ডির লেকের ধারে পরস্পরের স্নিগ্ধ সন্ধ্যা
সান্নিধ্যে নির্জন পরিবেশে বাক্য হারা প্রেমে আত্মহারা।
হঠাৎই বৃষ্টির পানি ঝরতেই বৃষ্টিস্নাত পরস্পরের কাছাকাছি।

দেশের তখন বিদেশী শাসন শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
উর্দূ ভাষার জাতীয় ভাষার ব্যবহারে সুতীব্র ক্ষোভ প্রকাশ
অধুনা বাংলাদেশের বিভিন্ন নেতা নেত্রীর জন্য সংযোগের
উনিশ বাহান্ন সালের ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের
জমায়েত মিছিলে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন পদ যাত্রায়
পূর্ব পাকিস্তানে পুলিশের লাঠি চার্জ শেষে গুলি বর্ষণে
প্রাণ হারান  তিন ভাষা আন্দোলনের শহীদ

বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা মাতৃ দুগ্ধ মত বাংলা ভাষা
অস্বীকৃতি দিকে দিকে বিভিন্ন জেলায়  আপামর সব ধর্মের
মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর শপথ গ্রহণের  ইতিহাসে।
ভাষা সৈনিক মাতিন সাহেবের  ও মৌলনা ভাসানী বহু ব্যক্তিত্ব
সেদিন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশেই
ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা
গণ ভোটে সাফল্যে গণ পরিষদে সংখ্যা গরিষ্ঠ  হওয়া সত্বেও
শাসকদের চোখে দেশদ্রোহী ভোট বাতিল করে চললো ফের
ধর পাক, বঙ্গবন্ধুর  ছয়দফা দাবীর বিরুদ্ধেই প্রতিরোধে গর্জে
উঠল বিদেশী শাসকের কামান  একদিনে ছয় তাড়িত পশুর মত
টেনে হিঁচড়ে এনে গণ হত্যা করেছিল সৈনিক ও পুলিশের সন্দেহে
যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার এখানে সেখানে, বঙ্গবন্ধুর রেস কোর্স
ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষনে অনুপ্রাণিত বহু যুবকের সাথে রফিক
রফিক আজাদ আব্বু আম্মুর কাছ থেকে গোপনে পলায়নের
রাতে যমুনার কাছেই  ধরা পড়েছিল সে, অনুনয় অনুরাগে তৃষ্ণার্ত
চোখে জল টল টল করে, দেশের জননী  শৃঙ্খল মোচন এর দায়িত্ব
পালনের অঙ্গীকার যমুনা কে বোঝাতে,  আমার মায়ের সোনার নোলক
না নিয়ে ঘরে ফিরবো না।
পথেই এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা, যমুনার হাত ধরেই
বাংলা মায়ের ঢলঢল মুখে হাসি ফোটাতে, " জনতার সংগ্রাম চলছে
আমাদের  সংগ্রাম চলছে - প্রয়োজন হলে দেবো এক নদী রক্ত ! "
তিরিশ লক্ষ মানুষের আত্মবলিদান আর  এক লক্ষ জননীর ভগ্নী
কন্যার গণ ধর্ষনের শিকার সৈনিকদের ব্যারাকে অস্থায়ী ঝাউনিতে।
সেই গগন ভেদি আর্তনাদ জবাই করেছিল বিদেশী পশুরা পাশবিক
নির্যাতনে সহস্র নারীর অভিশাপে অভিশপ্ত আজ তাদের জীবন পশুর
মতন মৃত্যুর খবর পরবর্তী কালে পেয়েছিলাম।
কিছু রাষ্ট্র  এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই
মুক্তি  যোদ্ধা রফিক আজাদ ও নার্স যমুনার খোঁজে আজও প্রতীক্ষিত
আমার তোমার মনের  অলিন্দে বৃষ্টি ঝরে অশ্রু বিসর্জন জানাই সালাম।

মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস এক

বুজি গঙ্গা নদীর বহমান স্রোতে (  হুমায়ুন আহমেদ এর  আলোর পরশ মণি
                                                  চলচ্চিত্র  দেখার পরে অনুপ্রাণিত হয়ে এই লেখা )

শ্যামল  সোম

উনিশো আটষষ্টি সালে যমুনা আকতার আর রফিক
পাশাপাশি বাড়ীর থাকে ষোল বছরের কিশোরীর সাথে
রফিক আজাদ গভীর  বন্ধুত্বের সম্পর্ক যদিও তৎকালীন
লোকাচারে খুব সোচ্চার নয়, মাটির  সাথে গাছের যে নীচে
প্রথিত  এই কৈশোরের প্রেম, যমুনার সলজ্জ চোখেচোখ
পড়তেই ভূমিকম্প স্পন্দনে আলোড়িত দুজনার উষ্ণ মন।
পুরোনো ধানমন্ডির লেকের ধারে পরস্পরের স্নিগ্ধ সন্ধ্যা
সান্নিধ্যে নির্জন পরিবেশে বাক্য হারা প্রেমে আত্মহারা।
হঠাৎই বৃষ্টির পানি ঝরতেই বৃষ্টিস্নাত পরস্পরের কাছাকাছি।

দেশের তখন বিদেশী শাসন শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
উর্দূ ভাষার জাতীয় ভাষার ব্যবহারে সুতীব্র ক্ষোভ প্রকাশ
অধুনা বাংলাদেশের বিভিন্ন নেতা নেত্রীর জন্য সংযোগের
উনিশ বাহান্ন সালের ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের
জমায়েত মিছিলে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন পদ যাত্রায়
পূর্ব পাকিস্তানে পুলিশের লাঠি চার্জ শেষে গুলি বর্ষণে
প্রাণ হারান  তিন ভাষা আন্দোলনের শহীদ

বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা মাতৃ দুগ্ধ মত বাংলা ভাষা
অস্বীকৃতি দিকে দিকে বিভিন্ন জেলায়  আপামর সব ধর্মের
মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর শপথ গ্রহণের  ইতিহাসে।
ভাষা সৈনিক মাতিন সাহেবের  ও মৌলনা ভাসানী বহু ব্যক্তিত্ব
সেদিন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশেই
ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা
গণ ভোটে সাফল্যে গণ পরিষদে সংখ্যা গরিষ্ঠ  হওয়া সত্বেও
শাসকদের চোখে দেশদ্রোহী ভোট বাতিল করে চললো ফের
ধর পাক, বঙ্গবন্ধুর  ছয়দফা দাবীর বিরুদ্ধেই প্রতিরোধে গর্জে
উঠল বিদেশী শাসকের কামান  একদিনে ছয় তাড়িত পশুর মত
টেনে হিঁচড়ে এনে গণ হত্যা করেছিল সৈনিক ও পুলিশের সন্দেহে
যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার এখানে সেখানে, বঙ্গবন্ধুর রেস কোর্স
ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষনে অনুপ্রাণিত বহু যুবকের সাথে রফিক
রফিক আজাদ আব্বু আম্মুর কাছ থেকে গোপনে পলায়নের
রাতে যমুনার কাছেই  ধরা পড়েছিল সে, অনুনয় অনুরাগে তৃষ্ণার্ত
চোখে জল টল টল করে, দেশের জননী  শৃঙ্খল মোচন এর দায়িত্ব
পালনের অঙ্গীকার যমুনা কে বোঝাতে,  আমার মায়ের সোনার নোলক
না নিয়ে ঘরে ফিরবো না।
পথেই এবার নামো সাথী পথেই হবে পথ চেনা, যমুনার হাত ধরেই
বাংলা মায়ের ঢলঢল মুখে হাসি ফোটাতে, " জনতার সংগ্রাম চলছে
আমাদের  সংগ্রাম চলছে - প্রয়োজন হলে দেবো এক নদী রক্ত ! "
তিরিশ লক্ষ মানুষের আত্মবলিদান আর  এক লক্ষ জননীর ভগ্নী
কন্যার গণ ধর্ষনের শিকার সৈনিকদের ব্যারাকে অস্থায়ী ঝাউনিতে।
সেই গগন ভেদি আর্তনাদ জবাই করেছিল বিদেশী পশুরা পাশবিক
নির্যাতনে সহস্র নারীর অভিশাপে অভিশপ্ত আজ তাদের জীবন পশুর
মতন মৃত্যুর খবর পরবর্তী কালে পেয়েছিলাম।
কিছু রাষ্ট্র  এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই
মুক্তি  যোদ্ধা রফিক আজাদ ও নার্স যমুনার খোঁজে আজও প্রতীক্ষিত
আমার তোমার মনের  অলিন্দে বৃষ্টি ঝরে অশ্রু বিসর্জন জানাই সালাম।

Monday, 19 December 2016

ছবিটি আমার কবিতা।

তারিখ 19--12---2016
প্রথম   কবিতা।

আমার আদরের খুকু

শ্যামল  সোম

আমার সাধের বাড়ী নাই
কীর্তন খোলা নদীর ধারে
ছিল আমার পৈত্রিক বাড়ীর
ভিতর পানে পুকুর পুকুরের
জলে হাঁস,লাল শালুক ফুলের
পদ্ম পাতায় শিশির বিনিদ্র রাতে
টুপটাপবাড়ীর সামনে বাগান
নারকেল গাছের ঘেরা ফুলের
পরে প্রজাপতি সব রঙ বেরঙের
রাঙা গোলাপ ফুলে ভ্রমরের
চুম্বনে মধুপান মৌমাছির গুঞ্জন।
ময়না দোয়েল পাখীর সে গান
টিয়া, শত চড়ুই পাখীর ঐ কলতান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিফলনে
বহুযুগ পরেওশআলোড়িত আমার
এই  হৃদয়ে আনন্দে অশ্রু ঝরে।
হঠাৎই সত্তর বছর আগে এক
দামকা ঝরে এলো মেলো প্রাণ
যম দূত কালো মেঘের হানাদার
লন্ড ভন্ড, লুঠ হয়ে গেল কন্যা,
ভগ্নী জননী ভয়াবহ  আর্তনাদ।
কীর্তন খোলা নদীর বন্যায় গেল
ধ্বসে সাজানো সংসার ছারখার
নদীর আগ্রাসন সর্বস্ব লুঠ পাঠ
নদীর  ভাঙনের সে কলঙ্কিত
ইতিহাসের সাক্ষী ঐ বটবৃক্ষের
নীচে স্থান পাই যদি মরনের সাথেই
বসবাসের বাসনা ও মেয়ে তুই বল না
বৃষ্টিস্নাত গোধূলির রঙে রাঙানো ঐ
আকাশের তলায় কি আমার ঠাঁই হবে
না ? মরণের আগে শরণার্থী শিবিরের
পরবাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ বাসনা নেই
আমার বাড়ী নেই বাংলাদেশ ঠাঁই পাই কৈ?

2)
প্রশ্ন  করে মন

বাঁশিওয়ালা

হঠাৎই  বাঁশি গেলো থেমে
অচমকা তোকে দেখে মুগ্ধ
চোখে তাকিয়েই মনে প্রশ্ন
জাগলো পাশাপাশি রয়েছি
বহু কাল দুটি বৃক্ষের মতন।
মিতালী সত্যিই বুকে রেখে
হাত বল, শরীরের পাশাপাশি
শারিরীক তাৎক্ষনিক অ-- সুখ?
শারিরীক ও মানসিক অবসাদ
পাশাপাশি বসিবার তরে কেউ
আছে, পাশাপাশি একই ঘরে
থাকা মানেই তো মনের গহ্বরে
প্রতিনিয়ত এ রক্তক্ষরণ কেন?
সেই কি আত্মা কাছাকাছি নয়
বলেই বিষাদে বিপন্ন প্রজাতির
একবিংশ শতাব্দীর আমরা সবাই
প্রেম ভালোবাসা আশা করেই আসা?
তবু কেন সে  ভালোবাসার এতই ছল?

3)
অভিমানী প্রেমিকা আমার

শ্যামল  সোম

অভিমানীর অভিমানে বিষন্ন মনে
কখন যদি স্মরণে হিংস্র অপমানে।
সাকি প্রেমের  ভান করেই নাহয়
ভালোবেসে বিষের পেয়ালা তুলো
সুখচুম্বনের  অছিলায় অভিলাসে
উষ্ণদেহ শীতল হবে মৃত্যুর প্রয়াসে।

ভালোবাসার পরম প্রাপ্তি  বাংলাদেশে

শ্যামল সোম  আমার সুদীর্ঘ দিনের বন্ধু M S Islam Rubel

উনি লিখছেন আমার হৃদয়ের কথা
আগামী বছরের বার ফেব্রুয়ারী মাসে
ষা শহীদ স্মরণে ঐ একুশের অনুষ্ঠানে
ঢাকাতে পৌঁছে সাক্ষাত করার জন্য যেতে ওঁর কাছে।

M S Islam Rubel লেখা---:

কবি শ্যামল দাদা
              কবি:এম এস ইসলাম রুবেল

আদাব প্রিয় কবি,কেমন আছেন?
আবার বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন?
স্নেহভরে কবি লেখকদের দর্শন দিন
আপনার আশায় গুনতেছি দিন,
আপনি বাস করেন কলিকাতায়
দেখতে গল্পগুজব করতে মন চায়,
আপনার আর্শিবাদ নিতে চাই
আপনার লেখায় বেশি উৎসাহ পাই,
প্রিয় বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়
জম্মভুমিতে আসতে স্বাগত জানাই,
শ্যামল সোম দাদা আসবেন কি হাই?
ইতি আপনার স্নেহাশিস ছোট ভাই.
    তারিখ ১৮.১২.২০১৬

শ্যামল সোমের প্রতিক্রিয়া

" কাঁদালে আমারে তোমার
ভালোবাসারই ঘায়ে "
কেমনে জানাই আমার
ভাইয়ের অনুপ্রেরণার সায়ে।
ম্যাক্সিম গোর্কি বিখ্যাত 
উপন্যাস " মাদার " নায়কের
নাম ছিল  রুবেল,
ঐ ভুমিকা বিপ্লবী চরিত্রে
ভূমিকায় বহুবার
বহু জায়গাতেই  অভিনয়
করেছি পঁয়তাল্লিশ  বছর আগে।
ঢাকাতে   নানা নাট্য উৎসবের
আয়োজনে নাগরিক নাট্য
উৎসবে সবই আজ  স্মৃতি
তাড়িত বিষন্ন মনে তোমার
হঠাৎই রুবেল এর লেখা পড়ে
আনন্দের ধারা বয়ে গেল।
অভাবনীয় অসামান্য  অপূর্ব
লিখন শৈলী শৈল্পিক নান্দনিক
কাব্যিক এই লিখন প্রয়াস
" কেন চোখে জলে ভাসিয়ে দিলেম
শুকনো ধুলো যত- 
কেন জানিত  আসবে তুমি গো-"

--ভেঙে মোর গানের তরী
ভাসিয়ে ছিলেম নয়ন জলে--!  অতুল প্রসাদ সেন

"বসে আছি পথ চেয়ে  (  ঢাকার ধানমন্ডি লেকের ধারে )
ফাগুনের গান গেয়ে
যত ভাবি ভুলে যাব
প্রেমের গান গেয়ে !
তবু কেন,  - তবু কেন
এ  মন মানে না।
তোমাদের ভালোবাসায়
জনম জনম যেন গো
পাই তোমাদের- -
তাই ফিরে ফিরে আসি
বারে বারে--- !

4)

"ভালোবাসে বাংলাদেশে

শ্যামল  সোম

ভালো মানুষের  খোঁজে
আসি বারে বারে
এই বাংলায়  বাংলাদেশে,
ফিরে চলে যেতে হয়,
কাঁটাতারের বেড়ার
ওপারে, বেদানার্ত 
হৃদয়ে কেন এত বেদনা 
অবাধ্য সময়ে, মানে মন।
চট্টগ্রামে ভালো মানুষ
এডভোকেট মুজিবুল হক
মুজিব তাঁর আধ্যাত্মিক
খুবই উচ্চ চিন্তন মননের
বহিঃপ্রকাশ মুগ্ধ হয়েছিলাম।
তাঁর পরিবারের  আতিথেয়তা
সৌজন্য বোধ সাক্ষাত করে
পরাণের টানে আমার এই
ভালো মানুষের খোঁজেই
কখন ফিরে ফিরে  আসা, 
ভেসে ভেসে  গঙ্গা থেকে 
রূপবতী  পদ্মায়।
ভালো মানুষের  খোঁজে
কখন পাবনায় দিলু,
ঢাকায় ইতি, শায়লা,
কুষ্ঠিয়ায় মা ফারহানা,
শাহাজাদ পুরে জননী
হালিমার স্নেহ ছায়া,
মুসাফির  মতো কখন
রংপুরে নাবিলা কাছে
সিলেটে  জননী সুফিয়ার
আদর যত্নে অতিষ্ঠ,
বাবা ডাক শোনার
অপেক্ষায় কন্যাহীন
পিতা আমার হৃদয়ে।
ঢাকায় বদরুল ভাই 
আপন ভাইয়ের
চেয়ে কাছে এক
ভালো মানুষের কাছে
আসা, ঠিক  এ ভাবে
ভালোবাসার অমোক টানে
সালেক ভাইয়ের কাছে
থেকে অযাচিত দান
গ্রহন অনীহায়
প্রেমের  ধমকে চোখে
জল টল টল করে।
অতিথি  দেব ভব,
ভারতে শুনেছি সকর্ণে
প্যাকটিকাল বেদান্ত
কন্যাহীন বিদ্যা নয়।
দৈনন্দিন  ব্যবহারিক
জীবনে  প্রতিফলন
অতিথি রূপে পঞ্চাশ
বছর  আসা যাওয়ায়
হাজার মা, জননী
বোনেদের  এবং
ভাইয়েদের নিমন্ত্রণে
দু চার আত্মার
কাছাকাছি থেকে
অভিজ্ঞতা হৃদয়ের
স্থায়ী বাস করছেন
দিলদার বিনদাস
ভালো শত মানুষের 
এক এক জন
প্রতিক, প্রেমের
কাব্যের প্রতিক এঁরৃ
মনজুর মুরসেদ ভাই,
অখন ভাই করণ কি ?
অকৃত্রিম ভালবাসা 
এঋণ রয়ে যায়।
প্রাক্তন অবসর প্রাপ্ত
পুলিশ অফিসার
তাঁর  নাসির সাহেব
সংস্কৃতভাষা
শিখে সনাতনে
ধর্ম তত্ত্ব অনুসন্ধানে
দেশ বিদেশের 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য
পেশ করে আনন্দে
সদা হাস্য মুখ। 
ঐ মীরপুরে শিলুর
কন্ঠে স্বরচিত
কবিতা পাঠ
ছন্দের আনন্দে
অপেক্ষায়  থাকে মন,
ভাবে সে কখন তাঁর
বাহাত্তর বছরের পাগলা
খোকা ফিরবে, গোবিন্দ গঞ্জে
শান্তা ও ডলির স্নেহের পরশে,
স্নেহময়ী জননীর ছোঁয়া পাই,
বাংলাদেশ  ছাইড়া হোথা পাই গো।

5)

দাদাভাইয়ের স্নেহের বোনই
আমার বাংলাদেশ 
কথোপকথন

শ্যামল সোম  ও ঝর্ণা

আমার বোন ঝর্ণা

দাদা ভাই আমি তোমার স্নেহময়ী হয়ে
আজীবন থাকতে চাই।
প্রার্থনা করো সৃষ্টি কর্তার কাছে
আমি যেনো সবার
আদর স্নেহের মাঝে ভালবাসা দিয়ে
আমার সকল কাব্য প্রকাশ করে যেতে পারি।
বিলিয়ে দিতে চায় এই নিবেদিত প্রাণ
তোমাদের ভালবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়।

বৃদ্ধ দাদাভাইয়ের

এ বৃদ্ধের  ভালবাসা
পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়
শঙ্খ চিল হয়ে আকাশের 
উড়ে  যেতে চায়,
বাংলাদেশের আমার
ভীষণ পছন্দের কবি
সনামধন্যা, অবলীলায়
যিনি সৃষ্টি করেন কাব্য।
বোন তুমিই আমার ভোরের
আকাশে শুকতারা
" দেখ দেখ চেয়ে,
শুকতারা নয়ন মেলে চেয়ে রয়
প্রভাবের  কিনারায়,
শুকতারা চেয়ে রয় ইশারায়।"
এ বৃদ্ধ  দাদাভাইয়ের পক্ষে
কবি বোন তোমার ঋণ
পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই
আমার এই শেষের জীবন।
কাব্যের  উল্কাবেগে বোন
তুমি এসেছ নূপুরের ছন্দের
তালে তালে শব্দের ঢেউ তুলে,
দুহাতে জড়িয়ে ধরলে
দাদাভাই বলে,
"কাঁদালে আমারে তোমার
ভালোবাসারই ঘায়ে !"
আমি ক্যামনে জানাই আমার
বোনের অনুপ্রেরণার সায়ে।
লিখন আমার বাঁশির সুরে
তোমার গানের সুরে সুর মেলাতে
আমার মাঝে সে সুর বাজে সে
তোমার কাব্য অলংকরণে সাঁজে।
চিত্রকল্প ছন্দের বিমূর্ত প্রতীক
স্বরূপ সবুজ লালের নিশান
এই আমাদের বাংলাদেশ।
এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস শিল্প
সাহিত্যে তুমিই আমার ফেলে
আসা মেঘনা নদী, কুয়াকাটা,
ময়মনসিংহ  এর ত্রিশাল
সবুজের সমারোহে বনানী
ফাঁকে লালে লাল রক্তিম  সূর্য।

6)

পাগলী তুই  আমার কীর্তন খোলা নদী

শ্যামল  সোম  বাঁশিওয়ালা

স্রোতে বহমান নয়
আমি সেই মজা নদী
তবুও হৃদয়ে পূর্ণ প্রেম।
পাগলী তুই  স্বপ্নে আয়
তুই  আমার কীর্তন খোলা
জোয়ার ভাসিয়ে দে পাগলী।
আমার চোরা স্রোতে প্রেম
তোর ঐ সলজ্জ চোখেচোখ,
পড়তেই হঠাৎই  ভূমিকম্প
ঐ ভূমিকম্প মাঝে কক্ষচ্যুত
মীম যমুনা না মেঘনা প্রচন্ড
বেগে বন্যা বন্য প্রেমে ঝাঁপিয়ে
উর্মি তোর আমার জোড়া স্রোতে
সে একুল ভেঙে ওকুল গড়ছে।
আমার স্পন্দন হয় আলোড়িত
ত্রিকোণ প্রেমে  তিনজনের মন
পরস্পরকে ভালোবেসে ধন্য
ধন্য ধন্য ধন্য ধন্য ধন্য হলাম।
ভালোবাসা যত করবি দান
অনায়াসে অনিন্দ্য  অনন্ত প্রেম
অমলিন পবিত্র পদ্মের মতন তুই।
আমার তোমার মীমের কাব্য
অলংকরণে চিত্রকল্পে ছন্দের
বিমূর্ত প্রতীক স্বরূপ গঙ্গা আমি
পদ্মা নদী আমার পদ্মাবতী তুই
সে মীম  যমুনা না ইছামতীনদী ?

তুমি সে আমি তিন নদীর মিলন সঙ্গম

শ্যামল সোম