কল্লোলিনী কোলকাতা প্রেমে
বৃদ্ধ প্রেমিক শ্যামল সোম।
তুমি মেঘ বালিকা
কখন মন চাইলেই
চলে এসো খুব কাছাকাছি,
আসতে
চোখে- রেখে চোখ
অপলক দৃষ্টি।
সুর্মা চোখে আলোয়
ভালো যদি লাগে,
কল্লোলিনী লাগা থেকে
শরীরে তোমার
ভালোবেসে রক্তে
শিহরণ যদি জাগে।
হৃদয়ের গহীন
অরণ্যের বিথী কাননে
বহমান গঙ্গা নদীর ধারে
কখন দেখা হলে
তুমি তিলোত্তমা
বাড়িতে দিও স্নিগ্ধ হাত
সে তোমার সুগন্ধ
হাতে থাকে যেন স্পর্শে
সুপ্রসন্ন ভালোবেসে
তুমি সপ্রতিভ এসে।
সুপ্ত গভীর সে প্রেমের
কোলকাতা ভালো
বাসার খোঁজে ঘুরেছি
শ্যামবাজার থেকে
হালতু হেঁটে হেঁটে ছিঁড়ে
গেল চটি, হতাশা।
বাসার অভাবে পথের
ভিখারী ব্যর্থ প্রেমিক
আমার প্রিয়া আদরের
তুমি কোলকাতা।
চির স্মরণীয় লায়লা
মজনুর অমর প্রেম
না না রোমিও জুলিয়েট
বা শেষের কবিতার
লাবণ্য কিংবা
বনলতা সেন,
সুচিত্রা সেন মত
আমার হৃদয়ে
আকাশে চাঁদের
ছবি হয়ে ঝুলছো।
ওগো আমি যে
তোমার সেই
চিরসাথী, জানি
কল্লোলিনী
কোলকাতা
তিলোত্তমা
একদিন হবে।
কোলকাতা স্নিগ্ধ
ভালোবাসা বাঙাল
কাঙাল আমি।
ভালোবাসার জন্য
হাজার বছর ধরে
হাঁটছি হাঁটছি পথে,
তিলোত্তমা
কোলকাতা
" বাড়িতে দাও
তোমার হাত "
হৃদয়ে এ হাত
ছুঁয়ে থাক রবীন্দ্র
সদনের রেলিং
ভিক্টোরিয়া
মাঠে সবুজ ঘাসে
পাশাপাশি
বসিবার বহু
দিনের সাধ।
No comments:
Post a Comment