তারিখ 19--12---2016
প্রথম কবিতা।
আমার আদরের খুকু
শ্যামল সোম
আমার সাধের বাড়ী নাই
কীর্তন খোলা নদীর ধারে
ছিল আমার পৈত্রিক বাড়ীর
ভিতর পানে পুকুর পুকুরের
জলে হাঁস,লাল শালুক ফুলের
পদ্ম পাতায় শিশির বিনিদ্র রাতে
টুপটাপবাড়ীর সামনে বাগান
নারকেল গাছের ঘেরা ফুলের
পরে প্রজাপতি সব রঙ বেরঙের
রাঙা গোলাপ ফুলে ভ্রমরের
চুম্বনে মধুপান মৌমাছির গুঞ্জন।
ময়না দোয়েল পাখীর সে গান
টিয়া, শত চড়ুই পাখীর ঐ কলতান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিফলনে
বহুযুগ পরেওশআলোড়িত আমার
এই হৃদয়ে আনন্দে অশ্রু ঝরে।
হঠাৎই সত্তর বছর আগে এক
দামকা ঝরে এলো মেলো প্রাণ
যম দূত কালো মেঘের হানাদার
লন্ড ভন্ড, লুঠ হয়ে গেল কন্যা,
ভগ্নী জননী ভয়াবহ আর্তনাদ।
কীর্তন খোলা নদীর বন্যায় গেল
ধ্বসে সাজানো সংসার ছারখার
নদীর আগ্রাসন সর্বস্ব লুঠ পাঠ
নদীর ভাঙনের সে কলঙ্কিত
ইতিহাসের সাক্ষী ঐ বটবৃক্ষের
নীচে স্থান পাই যদি মরনের সাথেই
বসবাসের বাসনা ও মেয়ে তুই বল না
বৃষ্টিস্নাত গোধূলির রঙে রাঙানো ঐ
আকাশের তলায় কি আমার ঠাঁই হবে
না ? মরণের আগে শরণার্থী শিবিরের
পরবাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ বাসনা নেই
আমার বাড়ী নেই বাংলাদেশ ঠাঁই পাই কৈ?
2)
প্রশ্ন করে মন
বাঁশিওয়ালা
হঠাৎই বাঁশি গেলো থেমে
অচমকা তোকে দেখে মুগ্ধ
চোখে তাকিয়েই মনে প্রশ্ন
জাগলো পাশাপাশি রয়েছি
বহু কাল দুটি বৃক্ষের মতন।
মিতালী সত্যিই বুকে রেখে
হাত বল, শরীরের পাশাপাশি
শারিরীক তাৎক্ষনিক অ-- সুখ?
শারিরীক ও মানসিক অবসাদ
পাশাপাশি বসিবার তরে কেউ
আছে, পাশাপাশি একই ঘরে
থাকা মানেই তো মনের গহ্বরে
প্রতিনিয়ত এ রক্তক্ষরণ কেন?
সেই কি আত্মা কাছাকাছি নয়
বলেই বিষাদে বিপন্ন প্রজাতির
একবিংশ শতাব্দীর আমরা সবাই
প্রেম ভালোবাসা আশা করেই আসা?
তবু কেন সে ভালোবাসার এতই ছল?
3)
অভিমানী প্রেমিকা আমার
শ্যামল সোম
অভিমানীর অভিমানে বিষন্ন মনে
কখন যদি স্মরণে হিংস্র অপমানে।
সাকি প্রেমের ভান করেই নাহয়
ভালোবেসে বিষের পেয়ালা তুলো
সুখচুম্বনের অছিলায় অভিলাসে
উষ্ণদেহ শীতল হবে মৃত্যুর প্রয়াসে।
ভালোবাসার পরম প্রাপ্তি বাংলাদেশে
শ্যামল সোম আমার সুদীর্ঘ দিনের বন্ধু M S Islam Rubel
উনি লিখছেন আমার হৃদয়ের কথা
আগামী বছরের বার ফেব্রুয়ারী মাসে
ষা শহীদ স্মরণে ঐ একুশের অনুষ্ঠানে
ঢাকাতে পৌঁছে সাক্ষাত করার জন্য যেতে ওঁর কাছে।
M S Islam Rubel লেখা---:
কবি শ্যামল দাদা
কবি:এম এস ইসলাম রুবেল
আদাব প্রিয় কবি,কেমন আছেন?
আবার বাংলাদেশে ঘুরতে আসেন?
স্নেহভরে কবি লেখকদের দর্শন দিন
আপনার আশায় গুনতেছি দিন,
আপনি বাস করেন কলিকাতায়
দেখতে গল্পগুজব করতে মন চায়,
আপনার আর্শিবাদ নিতে চাই
আপনার লেখায় বেশি উৎসাহ পাই,
প্রিয় বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়
জম্মভুমিতে আসতে স্বাগত জানাই,
শ্যামল সোম দাদা আসবেন কি হাই?
ইতি আপনার স্নেহাশিস ছোট ভাই.
তারিখ ১৮.১২.২০১৬
শ্যামল সোমের প্রতিক্রিয়া
" কাঁদালে আমারে তোমার
ভালোবাসারই ঘায়ে "
কেমনে জানাই আমার
ভাইয়ের অনুপ্রেরণার সায়ে।
ম্যাক্সিম গোর্কি বিখ্যাত
উপন্যাস " মাদার " নায়কের
নাম ছিল রুবেল,
ঐ ভুমিকা বিপ্লবী চরিত্রে
ভূমিকায় বহুবার
বহু জায়গাতেই অভিনয়
করেছি পঁয়তাল্লিশ বছর আগে।
ঢাকাতে নানা নাট্য উৎসবের
আয়োজনে নাগরিক নাট্য
উৎসবে সবই আজ স্মৃতি
তাড়িত বিষন্ন মনে তোমার
হঠাৎই রুবেল এর লেখা পড়ে
আনন্দের ধারা বয়ে গেল।
অভাবনীয় অসামান্য অপূর্ব
লিখন শৈলী শৈল্পিক নান্দনিক
কাব্যিক এই লিখন প্রয়াস
" কেন চোখে জলে ভাসিয়ে দিলেম
শুকনো ধুলো যত-
কেন জানিত আসবে তুমি গো-"
--ভেঙে মোর গানের তরী
ভাসিয়ে ছিলেম নয়ন জলে--! অতুল প্রসাদ সেন
"বসে আছি পথ চেয়ে ( ঢাকার ধানমন্ডি লেকের ধারে )
ফাগুনের গান গেয়ে
যত ভাবি ভুলে যাব
প্রেমের গান গেয়ে !
তবু কেন, - তবু কেন
এ মন মানে না।
তোমাদের ভালোবাসায়
জনম জনম যেন গো
পাই তোমাদের- -
তাই ফিরে ফিরে আসি
বারে বারে--- !
4)
"ভালোবাসে বাংলাদেশে
শ্যামল সোম
ভালো মানুষের খোঁজে
আসি বারে বারে
এই বাংলায় বাংলাদেশে,
ফিরে চলে যেতে হয়,
কাঁটাতারের বেড়ার
ওপারে, বেদানার্ত
হৃদয়ে কেন এত বেদনা
অবাধ্য সময়ে, মানে মন।
চট্টগ্রামে ভালো মানুষ
এডভোকেট মুজিবুল হক
মুজিব তাঁর আধ্যাত্মিক
খুবই উচ্চ চিন্তন মননের
বহিঃপ্রকাশ মুগ্ধ হয়েছিলাম।
তাঁর পরিবারের আতিথেয়তা
সৌজন্য বোধ সাক্ষাত করে
পরাণের টানে আমার এই
ভালো মানুষের খোঁজেই
কখন ফিরে ফিরে আসা,
ভেসে ভেসে গঙ্গা থেকে
রূপবতী পদ্মায়।
ভালো মানুষের খোঁজে
কখন পাবনায় দিলু,
ঢাকায় ইতি, শায়লা,
কুষ্ঠিয়ায় মা ফারহানা,
শাহাজাদ পুরে জননী
হালিমার স্নেহ ছায়া,
মুসাফির মতো কখন
রংপুরে নাবিলা কাছে
সিলেটে জননী সুফিয়ার
আদর যত্নে অতিষ্ঠ,
বাবা ডাক শোনার
অপেক্ষায় কন্যাহীন
পিতা আমার হৃদয়ে।
ঢাকায় বদরুল ভাই
আপন ভাইয়ের
চেয়ে কাছে এক
ভালো মানুষের কাছে
আসা, ঠিক এ ভাবে
ভালোবাসার অমোক টানে
সালেক ভাইয়ের কাছে
থেকে অযাচিত দান
গ্রহন অনীহায়
প্রেমের ধমকে চোখে
জল টল টল করে।
অতিথি দেব ভব,
ভারতে শুনেছি সকর্ণে
প্যাকটিকাল বেদান্ত
কন্যাহীন বিদ্যা নয়।
দৈনন্দিন ব্যবহারিক
জীবনে প্রতিফলন
অতিথি রূপে পঞ্চাশ
বছর আসা যাওয়ায়
হাজার মা, জননী
বোনেদের এবং
ভাইয়েদের নিমন্ত্রণে
দু চার আত্মার
কাছাকাছি থেকে
অভিজ্ঞতা হৃদয়ের
স্থায়ী বাস করছেন
দিলদার বিনদাস
ভালো শত মানুষের
এক এক জন
প্রতিক, প্রেমের
কাব্যের প্রতিক এঁরৃ
মনজুর মুরসেদ ভাই,
অখন ভাই করণ কি ?
অকৃত্রিম ভালবাসা
এঋণ রয়ে যায়।
প্রাক্তন অবসর প্রাপ্ত
পুলিশ অফিসার
তাঁর নাসির সাহেব
সংস্কৃতভাষা
শিখে সনাতনে
ধর্ম তত্ত্ব অনুসন্ধানে
দেশ বিদেশের
অনুষ্ঠানে বক্তব্য
পেশ করে আনন্দে
সদা হাস্য মুখ।
ঐ মীরপুরে শিলুর
কন্ঠে স্বরচিত
কবিতা পাঠ
ছন্দের আনন্দে
অপেক্ষায় থাকে মন,
ভাবে সে কখন তাঁর
বাহাত্তর বছরের পাগলা
খোকা ফিরবে, গোবিন্দ গঞ্জে
শান্তা ও ডলির স্নেহের পরশে,
স্নেহময়ী জননীর ছোঁয়া পাই,
বাংলাদেশ ছাইড়া হোথা পাই গো।
5)
দাদাভাইয়ের স্নেহের বোনই
আমার বাংলাদেশ
কথোপকথন
শ্যামল সোম ও ঝর্ণা
আমার বোন ঝর্ণা
দাদা ভাই আমি তোমার স্নেহময়ী হয়ে
আজীবন থাকতে চাই।
প্রার্থনা করো সৃষ্টি কর্তার কাছে
আমি যেনো সবার
আদর স্নেহের মাঝে ভালবাসা দিয়ে
আমার সকল কাব্য প্রকাশ করে যেতে পারি।
বিলিয়ে দিতে চায় এই নিবেদিত প্রাণ
তোমাদের ভালবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়।
বৃদ্ধ দাদাভাইয়ের
এ বৃদ্ধের ভালবাসা
পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়
শঙ্খ চিল হয়ে আকাশের
উড়ে যেতে চায়,
বাংলাদেশের আমার
ভীষণ পছন্দের কবি
সনামধন্যা, অবলীলায়
যিনি সৃষ্টি করেন কাব্য।
বোন তুমিই আমার ভোরের
আকাশে শুকতারা
" দেখ দেখ চেয়ে,
শুকতারা নয়ন মেলে চেয়ে রয়
প্রভাবের কিনারায়,
শুকতারা চেয়ে রয় ইশারায়।"
এ বৃদ্ধ দাদাভাইয়ের পক্ষে
কবি বোন তোমার ঋণ
পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই
আমার এই শেষের জীবন।
কাব্যের উল্কাবেগে বোন
তুমি এসেছ নূপুরের ছন্দের
তালে তালে শব্দের ঢেউ তুলে,
দুহাতে জড়িয়ে ধরলে
দাদাভাই বলে,
"কাঁদালে আমারে তোমার
ভালোবাসারই ঘায়ে !"
আমি ক্যামনে জানাই আমার
বোনের অনুপ্রেরণার সায়ে।
লিখন আমার বাঁশির সুরে
তোমার গানের সুরে সুর মেলাতে
আমার মাঝে সে সুর বাজে সে
তোমার কাব্য অলংকরণে সাঁজে।
চিত্রকল্প ছন্দের বিমূর্ত প্রতীক
স্বরূপ সবুজ লালের নিশান
এই আমাদের বাংলাদেশ।
এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস শিল্প
সাহিত্যে তুমিই আমার ফেলে
আসা মেঘনা নদী, কুয়াকাটা,
ময়মনসিংহ এর ত্রিশাল
সবুজের সমারোহে বনানী
ফাঁকে লালে লাল রক্তিম সূর্য।
6)
পাগলী তুই আমার কীর্তন খোলা নদী
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা
স্রোতে বহমান নয়
আমি সেই মজা নদী
তবুও হৃদয়ে পূর্ণ প্রেম।
পাগলী তুই স্বপ্নে আয়
তুই আমার কীর্তন খোলা
জোয়ার ভাসিয়ে দে পাগলী।
আমার চোরা স্রোতে প্রেম
তোর ঐ সলজ্জ চোখেচোখ,
পড়তেই হঠাৎই ভূমিকম্প
ঐ ভূমিকম্প মাঝে কক্ষচ্যুত
মীম যমুনা না মেঘনা প্রচন্ড
বেগে বন্যা বন্য প্রেমে ঝাঁপিয়ে
উর্মি তোর আমার জোড়া স্রোতে
সে একুল ভেঙে ওকুল গড়ছে।
আমার স্পন্দন হয় আলোড়িত
ত্রিকোণ প্রেমে তিনজনের মন
পরস্পরকে ভালোবেসে ধন্য
ধন্য ধন্য ধন্য ধন্য ধন্য হলাম।
ভালোবাসা যত করবি দান
অনায়াসে অনিন্দ্য অনন্ত প্রেম
অমলিন পবিত্র পদ্মের মতন তুই।
আমার তোমার মীমের কাব্য
অলংকরণে চিত্রকল্পে ছন্দের
বিমূর্ত প্রতীক স্বরূপ গঙ্গা আমি
পদ্মা নদী আমার পদ্মাবতী তুই
সে মীম যমুনা না ইছামতীনদী ?
তুমি সে আমি তিন নদীর মিলন সঙ্গম
শ্যামল সোম
No comments:
Post a Comment