Friday, 9 December 2016

রুমকি

কাব্যের স্ফুলিঙ্গ তুমি

শ্যামল সোম  বাঁশিওয়ালা

আজ জরাজীর্ণ হৃদয়ে এক জরাগ্রস্ত
বৃদ্ধের জীবনের শেষ লগ্নে মন পৌঁছে
উচাটন, থেমে আসছে স্পন্দন,দীর্ঘশ্বাস
ফিরে চলে যাওয়ার আগে এ উদঘাটন
কল্পনার  আশ্রয় করে এ লেখা দোহাই
কেউ উজবুক মতন সত্য না খোঁজেন?
সে শ্রাবণের মেলায় সীতাকুণ্ড এ ভীড়ে
চট্টগ্রামে পথে আজও  খুঁজে ফিরি প্রাণের
রতন সে আমার আদরের ছোট বোন।
হঠাৎই পঞ্চাশ বছর পরে সেবার ঢাকায়
গ্রন্থ মেলায় একাডেমির প্রাঙ্গনে এই মুখ
খোলা চুলে স্বপ্নের মায়াচ্ছন্ন দুচোখ।
বোনকে ফিরে পেয়ে দেখে বিস্ময়ে সম্ভিত
আত্মবিস্মৃত হই, নির্লজ্জের মত তাকিয়ে।
বিমোহিত অচৈতন্য থেকে চৈতন্য ফিরি
স্বপ্নের জগত থেকে সম্বিত সম্মোহনে শুনি
ডাক, " দাদাভাই  আপনি কোলকাতার কবি?
ওর দিকে তাকিয়ে হাসির আড়ালে মৃদু হেসে
মাথা নেড়ে জানাই " না না না বোন না !"
নজরুল মঞ্চে আমার কাব্য গ্রন্থ, বন্ধুদের
প্ররোচনা ছাপা হয়েছে ঢাকায়, তার উন্মোচন।
ফিরে যাচ্ছি বন্ধুদের আমোদের আয়জনে,
দ্রুত  এগিয়ে এলেন স্বপ্নের বোন, তীব্র দহনে
বিব্রত তবু আপ্রাণ চেষ্টা করছি অশ্রু সম্বরণে
সহজ সরল স্বাভাবিক ভাবেই ধরে হাত উন্মূখ
চোখে তাকিয়ে বলে সে মেয়ে, " আমার কাব্য
গ্রন্থ, " 'নির্বাসিত আঁধারে' তোমাকে দিলাম! "
নির্বিকার চিত্ত, দ্বিধাহীন নয়নের লোনা জল
বন্যা গঙ্গা পদ্মা নদীর সেতুর বন্ধন সৃষ্টি হল,
বন্ধু রুদ্রের চোখে মুখে চাপা কৌতুক হাস্য,বলে
" কবিকে কোন সম্পর্কে সম্বন্ধণ করে উপহার?
সারল্য স্নিগ্ধ ভোরের রাঙা আলোয় উজ্জ্বল
হয়ে উঠলো তরুনী শ্রান্ত শ্রাবণের বৃষ্টির মতন
হাসি ঝরিয়ে  ঝর্না হো হো হেসে,"কেন লিখেছি
'প্রিয় দাদাভাইকে
রুমকি আনোয়ার "

পরবর্তী পর্বের জন্য  অপেক্ষা করতে হবে।

No comments:

Post a Comment