Friday, 2 December 2016

সই তুই ঈশ্বরকে ডাক

সই  তুই  ঈশ্বরকে  ডাক

শ্যামল সোম

ফুলের বাসর
ছেড়ে কাল রাতে
তোর দোসর
গেছে চলে--
সই ভালোবাসার
যাতনা
একা সহিবি
কেমন করে ?
এখন সবাই হাতে
হাত মিলিয়ে
কেমন হাতে হাতে
দিচ্ছে তালি।
পোড়ারমুখী
প্রেমে পড়ে তুই
সৈয়দ বংশের
নাম ডোবালি ?
হতভাগী !
গোপনে ভালোবেসে
ডুবে ডুবে
এত গিললী পানি ?
ঐ দেখ, আড়ালে
একা ঘরে অন্ধকারে
তোর কাঁদেন বসে নানী-।
যাও !
এবার তুমি -
গলায় কলষ বেঁধে
ঐ কাজরী দিঘির
পাড়ে যাও।
এই দুপুরে গাছের
ডালে পাতার ফাঁকে
কে ডাকে ?
বউ কথা কও !
হারিয়ে গেলো তোর
সেই আপনজন,
তাকে হলো না
আর পাওয়া--!
নদীর পাড়ে গাছ
গাছালি, দোতলায়
এই গাঁয়ের ঘর
সন দিয়ে ছাওয়া।
এক পলকেই হবে ছাই !
রাতে ঐ কুপীর আগুনটা
একবার কাছে পাই।
এখনও তুই মনের
ভেতর খুঁজিস কাকে ?
নাই ! নাই !
কেও কোথাও নাই।
নয়ন মেলে দেখ,
কালো এক যমের মতো
ঝুলছে ঐ লম্বা
ঘরের কড়িকাঠ--
আঁধার রাতে
শেয়ালের ডাক শোনা যায়--
বাড়ে বুকের কাঁপন-
দুরে শ্মশাণ ঘাট।
পরনের রঙিন
শাড়ী হাতে নিয়ে,
আনমনে সই এখনও
তুই স্বপ্ন দেখিস বসে ?
সাজানো পালকির
সাথে তোর দোসর
আবার বুঝি
দাঁড়িয়েছে দুয়ারে এসে ?
রাত পোহালো
এলো দিনের আলো-
এখন ফজরের
ঐ আযান ভেসে আসে।

No comments:

Post a Comment