বিভাগ কাব্য
তাং: 27--12--2016
আজ আমার মায়ের সাথে আড়ি
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা
রথের মেলায় মা দিয়েছেন কিনে
সে বাঁশিতে বাজচ্ছিলাম সারাদিনে
সকাল সাঁঝে দিন দুপুরে নিশীথে।
মাঝে মাঝে সকল কাজের ফাঁকে
গেয়ে উঠতেন মা, " কোথাও আমার
হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা (মনে মনে,)
আমার বাঁশি সুরে সুর মিলিয়ে," আমার
সাঁঝ বেলাতে সুরে সুরে সুর মেলাতে "
আমার বাঁশির সুরের ধারা পড়ে যেথায়
সেই সে অচীন পুরে, নেই কো মন লেখা
পড়ায়
মন চায় সুরের নেশায় বাজাই বাঁশি পাড়ায়
পাড়ায়।
হঠাৎই সেদিন বৃষ্টির জলে ভিজে বাঁশি বাজিয়ে
যেই ফিরেছি ঘরে, ক্ষেপে মা আমাকে দেখে ভয়ার্ত
শিউরে উঠলেন, হেঁচকা কাছে টেনে জড়িয়ে ধরেই
কেঁদে ফেললেন, " ওরে আমার ছোট্ট খোকা কেন
বন বাঁধারে নদীর ঘাটে জঙ্গলে ঝড় জলে শ্রাবণের
ধারায় এই বাঁশি বাজিয়ে এখন তোর যে খোকা জ্বর
পুড়ে যাচ্ছে গা, কি হবে ?
সারা রাতদিন মা আমাকে সুস্থ করার জন্য অক্লান্ত
পরিশ্রম সেবা শুশ্রূষা করছেন, কপালে জলের পটি,
কখন গরম দুধ ঔষধ ডাক্তার ডাকা চিকিৎসা করে
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন, কত যত্ন করে।
আমি ভালো হয়েই সমূর্তি ধারণ করে স্কুল পালানো
বাউলের দলে ভিড়ে গিয়েছিলাম কিছুদিন পর বাড়ি
ফেরার পর থেকেই দেখছি মা কথা বলছেন না কেন
নির্বিকার নিশ্চুপ নিরুত্তর অচেনা ভান এড়িয়ে যান
পা ধরে কত কাঁদলাম কিন্তু আমার ভীষণ কঠিন কঠোর।
তাই একদিন ভোর রাতে ঝুলি আর বাঁশি বাজাতে বাজাতে
গান গাইতে গাইতে আজও পথে পথেই ঘুরছি এই গান গেয়ে,
" কেন চেয়ে আছো গো মা মুখ পানে, ওরা জানে না জানে না যে।"
No comments:
Post a Comment