বাহাত্তরে বেড়িয়ে পড়লাম,প্রেমে
শ্যামল সোম
অকপটে স্বীকার করতে
এতটুকু লজ্জিত
নই আমি বাহাত্তরের বুড়ো,
বৃদ্ধ,স্থবির, নটবর, তবু এই
সেদিন তোকে দেখে মুগ্ধ হয়ে
তোর দিকে অপলক চোখে
চেয়ে আছি, এই তো আমাদেরই,
চির পরিচিত" নাটোরের
বনলতা সেন,
পাখীর নীচের মতো চোখ তুলে
বলে "এতদিন কোথায় ছিলেন?"
"মৃদু হেসে, হাতে, রক্ত গোলাপের
গুচ্ছ তোর হাতে তুলে দিলাম।
পেরিয়ে এসেছি শীতার্ত রাত,
ঝরা বরফ, পাতাবিহীন গাছ,
নিঃসঙ্গ ভয়াবহ
নির্জনতা, অবসাদ।
ফাল্গুন ঋতু আবার ফিরে এলো,
ফিরে এসেছে বসন্ত, কৃষ্ণচূড়ার
ডাল লালে লাল, বাতাসে ভাসে
সেই ভালোবাসার ঘ্রাণ।
বাহাত্তরে পৌঁছে আশ্চর্য !
আবার নতুন করে তোর
প্রেমে পড়ে, ভালোবাসার
আনন্দ স্রোতে ভাসছি আমি।
অনেকে গাল দিচ্ছে,
আঘাত করছে,
ভয় দেখাচ্ছে কেউ
কেউআমি নির্বিকার,
জানি যদি এ ভালোবাসার
অপরাধে মৃত্যু দন্ড হয়,
সেই দিন মাথা পেতে দেবো
বিনা বাধায় অনায়াসে।
যদি কোন দিন সেই মেয়ে
এসে বলে আমার শীর্ণ হাতধরে
-না করে ভালোবাসার ছল,
এত বছরের সাজানো সংসার,
লোক নিন্দা, সমাজের
ভ্ররুকুটি এ তুচ্ছ হল-
-ঝড় উঠল, পাগলী তুই যখন
এসে ডাকলি, আমি বয়স,বর্ণ,
জাত, ধর্ম, শাস্তি ভুলে, এই
অসময়ে তোর হাত
ধরে বৃষ্টির মধ্যেই চলেছি,
অনন্তযাত্রায়, --
বল -এ কি ভালোবাসা নয় ?
তুই বল?
বিশ্বাস করো,
আমার ভালোবাসায়
নেই কোন প্রত্যাশা,
আমি শুধুই ভালোবেসে
তোর ভালোবাসার সাগরে
সদা আনন্দ এ ভাসছি আমি।
No comments:
Post a Comment