ফিরে দেখা ইতিহাস
শ্যামল সোম
আজ বিজয় উৎসবের আনন্দে
মাতোয়ারা স্ফূর্তির ফোয়ারা উল্লাস
রঙিন ফানুস উড়ছে রাতের আকাশে
লেখা মা আমার বাংলাদেশ-
শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ, শতসহস্র পরবাসী।
প্রবাসী প্রিয়জনের আগমনের সংবাদ নেই,
এঁনাদের পূর্ব পুরুষদের মুক্তি যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন
কালের অতলে তলিয়ে যাওয়ার ইতিহাসে শেষ।
সকল দেশের সেরা-
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে -- দ্বিজেন্দ্র লাল রায়
ভারতবর্ষের অখন্ড ভৌগোলিক অবস্থানের
উপর নির্ভর করেই লেখা সমগ্র অবিভক্ত সেই
বাংলা উপরে লেখা জানাই নেই --ধর্মের নামে
মুসলমানদের উপরে গোঁড়া হিন্দুদের অত্যাচার
অসহ্য জাতপাতের অভিশাপে অভিশপ্ত জীবন।
" সাঁরে জাঁহাসে আচ্ছা হিন্দুস্থান আমারা "
মহান কবি ইকবাল প্রাণের ভয়ে কি চলে গেলেন কেন?
সীমান্তের গান্ধী শ্রদ্ধা ভাজন আবদুল গোফুর খান
সন্মান কতোটুকু পেয়েছিলেন?
ক' জন মনে রেখেছেন ভাষা সৈনিক মাতিন সাহেবকে?
কলঙ্কিত ইতিহাসের বাস্তবায়ন দলিল আজও এ বৃদ্ধের মন
ভারাকান্ত উনিশো পঞ্চাশ সাল মাতৃভূমি থেকে প্রাণের ভয়ে
পলায়ণ নির্লজ্জের মতন ভীষন কষ্ট পাই আমার কীর্তন খোলা
নদী আমার বুড়ি গঙ্গা আড়িয়াল খাঁ রাঙামাটি ও ময়মনসিংহ
সবই এখন স্মৃতি জড়িত আবেগ, তাচ্ছিল্য করে হেসে ওঠে।
নাই নাই নাই নাই নাই শুধুই হাহুতাশ আর গোপনে অশ্রু বিসর্জন।
মাফ করবেন আপনাদের আজ আনন্দের দিনে আমার দুখের
ঝাঁপি খুলে বলে ব্যঙ্গ করে প্রাণ খুলে হাসুন, বিদ্রুপ করুন!
কিন্তু এই শরণার্থী পলাতক বৃদ্ধের একান্ত প্রার্থনা দেশকে
আন্তরিক ভাবে আত্মনিবেদন করে ভালোবাসুন আগামী
প্রজন্মের জন্য এক শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ গড়ে তুলুন।
পুনশ্চ- :
আমি ধন্য হলাম সোনার বাংলাদেশের এক সোনার মানুষের লেখা
পড়ে মুগ্ধ হলাম অভিনন্দন জানাই।
আমার প্রিয়তম ভাইজান এই বাংলাদেশের এক জনপ্রিয়তার শীর্ষে
কবি Mohammedmusa Babul
উনি এই বৃদ্ধের প্রতি কৃপা করে লিখলেন- ---:
আমি কৃতজ্ঞ গুরু
তোমার ভালোবাসায়,
কেউ মাতৃভূমি কে প্রণাম
হৃদয় গহিন নেশায়।
তোমরাই ঐ শ্রেষ্ঠ সন্তান
দেশ মাতৃকার পাশে,
তোমার বুকের ব্যথা আমায়
কষ্ট দেয় সকল আশে।
এপার ওপার দুইপ্রান্তই
বাংলার অমৃত বন্ধনে বাধি,
একে অন্যের সুখেদুঃখে
ভালোবাসায় কাদি।
বিজয়োৎসব শুভকামনায়,
বঙ্গ বাঙালি এবং আপনার দীঘয়ূ
কামনা করি।।
No comments:
Post a Comment