হারিয়ে যাওয়া ডাক
শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা
আজ জরাজীর্ণ এক জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ
অতর্কিতে হ্যাকারদের ভয়ে ভয়ে
ব্লক হওয়ার ভয়ে সন্ত্রস্থ ফোঁসফোঁস
বিষধর সাপ আশপাশে, লক লক
জিব এক ছেবলের স্পর্শে নীলক্ন্ঠ।
বহু প্রিয়জন হারিয়ে গেছে কুয়াশায়
পরিবেশ দূষণের গাঢ় বিষাক্ত বাতাসে।
মুহ্যমান শোকাচ্ছন্ন শিশুদের লাশ পোঁতা
রয়েছে এই ধরিত্রী বুকে,শূণ্য জননীর বুক।
আজ এ পৃথিবীর গভীরতর বিষম অসুখ
একা একাই গ্রামের বাড়িতে গাছেদের
সাথে নিরালা পুকুর পারে ডাহুক পাখির
ডাকে কাছে সুখ দুখের কথোপকথন।
স্মৃতি তাড়িত বিষন্ন মন উচাটন আজ
মনে পড়ে যায় এক অসহায়ার অসহায়ত্ব
শঙ্কিত, সংকুচিত এক নারীর ডাকে শুনি
" ভাইজান" শব্দের তরঙ্গে ট্রেনের জানলা
ফিরিয়ে চোখেচোখ পড়তেই ভূমিকম্প
স্পন্দন আলোড়িত দুজনার মন, সম্ভ্রান্ত
পরিবারের সন্মানিতা আমার প্রিয় কবি।
পরিচিত কবির কাব্য চর্চা কবির সতন্ত্র
লিখন শৈলীর উপরে আমার পরিবেদন
লেখা জনযুদ্ধ কাগজে প্রশংসিত লেখার
জন্যই চিনতে পেরেই ঐ ডাক " ভাইজান"।
বহু বছর পর দেখা সুখ দুখের আলাপনে,
বোরখার আড়ালে ভেসে আসে অতীতের
গর্ভ থেকে গভীর দীর্ঘশ্বাস চোখ ভরা জলে
বোরখা বা ঘোমটা মুসলিম বা হিন্দু খৃস্টান
পৃথিবীর ধরিত্রী মাতা যাঁরা জননীদের কেন
মাঝ পথে ভেঙে সাজানো সংসার ছারখার
করে পলায়ণ নির্লজ্জের মতন গোপনে বিবাহ
পণের জন্য নিত্য নতুন খুন না আত্মহনন?
কবি শোনান বহু যুগ আগে ট্রেনের কামরা
সদ্য বিবাহিতাকে (তাঁকে )একা ফেলে রেখে
নিঃশব্দে চলে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী ঘৃণ্য
অপরাধের শাস্তি হয় নাকো পুরুষ শাসিত এ
সমাজে সেই প্রস্তরযুগের বর্বরচিত আবহমান
বহমান নদীর ভাঙনের শব্দে শুনি " ভাইজান আছেন ক্যামন "
No comments:
Post a Comment