Sunday, 4 December 2016

কুরুক্ষেত্র

কুরুক্ষেত্র
                  
( এ লেখা পড়ে বিরক্ত  বা বিরূপ হলেন ক্ষমা করবেন)

শ্যামল সোম

মহা যুদ্ধ
শেষে
বিজয়
এসেছে।
কৌরব
যাদব
পান্ডব
নির্বংশ
আজ।
একটি
নাতি
বিদ্যমান
কার
বংশে
কে দেবে
বাতি।
ঘণ
আঁধারে
ঢেকেছে
স্বদেশ।
নবযৌবন
উল্লসিত
প্রাণ
উৎফুল্ল
বিজয়
এসেছে।
মহানন্দে
উৎসবে
আলোর
রোশনাই।
আজও
বহু বছর
পরে কেন
অভুক্ত
হতাশায়
শোকাচ্ছন্ন
জননী
কেন
নীরবে
কাঁদে।
সহস্র
সন্তান
বিদেশে
নিদারুণ
পরিশ্রম
পরজীবী
শ্রমিক
পরিশ্রান্ত
শরীরে
বিপন্ন
কখন
বিষন্ন
দুঃখে
স্বদেশে
হতে
এত দূরে
নির্বাসিত।
বিজয়
উৎসবে
আমোদে
আহ্লাদে
কে বা
ভাবে?
কে বা শোনে
কার সে বার্তা
একই বৃন্ত
দুটি
কুসুম
হিন্দু
মুসলমান
লিখেছিলেন
কাজী
নজরুল
ইসলাম,
কত জনে
মনে
আছে
সেই নাম।
হায়
হত
ভাগ্য
ভারত  ও
বাংলাদেশ
জননী
মা বলে
ডাকার
তোমার
তো
ছিল
অধিকার।
1945 সালে
আমি ও
ছিলেম
সন্তান।
ধর্মে
নামে
ভাগ
হয়ে
ছিল
দেশ।
দেশ
ভাগের
অভিশাপ
আজও
ধর্ষিতা
জননী
এ দেশে
সে দেশে
পবিত্র
দেশে।
দেশান্তরে
নির্যাতিতা
লাঞ্ছিতা
কখন
শোনা না?
এতটাই
তীব্র
বধির
নিষ্ঠুর
নির্লিপ্ত
উদাসীন?
কাব্য
রসে
মাদকা
আসক্ত
মনের
অঙ্গনে
ছলাৎ
ছলাৎ
ভয়,
শঙ্কা
সন্ত্রস্থ
নারী।
পয়লা
বৈশাখে
নববর্ষে
পুনরাবৃত্তি
অঘটন
না ঘটে?
পদ্মা
নদীর
বহমান
স্রোতে
আবার
কি
ভাসবে
লাশ
দাফন
করার
মোমিন
মানুষের
কাঁধে
জানাজা
চোড়ে
কবরস্থানে
যাওয়া
কি যাবেনা?
কে জানে?
তবে কেন
মাঝে
মাঝে
নিহত
লাশ
ধর্ষিতার
দেহ
এখানে
ওখানে
থাকে
পড়ে?
এপারে
ওপারে?
অতর্কিতে
হানা দেয়
ঈশান
কোনে
কালো
মেঘ
সে কি
অশনি
সংকেত?
নহিলে
কি করে
ভোলে
নাম
বন্ধুর?
বিজয়ের
শপথবাক্য
কে
করাবেন
পাঠ ?
তিনি যে
আজ
স্বর্গগত
হিংস্র
শ্বাপদ
ওৎ পেতে
আছে
দখলের
তরে
ইতস্তত
কেন
করে
সত্য
প্রকাশে ?
সীতা
নাম
উল্লেখ্য
উষ্মা
প্রকাশ
করবেন
উপমা
চিত্রকল্প
রাবণের
কাছে
বন্দিনী
আর কত
বার এ
অগ্নি
পরীক্ষা,
স্বর্নাভ
নয়
দেহ
কালো
আলো
হয়ে
আছে
পাঞ্চালী।
শয্যা
সঙ্গিনী
দ্রোপতি
পঞ্চ
স্বামী
সহগামী।
উঠেনি কো
প্রতিবাদ
রাজসভায়।
অমানবিক
আচরণের
প্রতিবাদ
প্রতিরোধ
গড়ে
তুলতে,
মাতৃ
জননীর
অপমানে,
আজ
কলমই
হোক
হে কবি
আপনার
হাতিয়ার।

No comments:

Post a Comment