আমাকে মাফ করবেন কবি মুগ্ধ ও
আপনার কাব্যের অনুপ্রেরণায় অনুরোরণ এ লেখা।
আড়াল থেকে ভালোবাসি
বাঁশিওয়ালা শ্যামল সোম
যদি কখনও গাছের আড়াল থেকে দেখে
ঝলসে যায় চোখ, চোখ বুজে থাকি আমি।
হঠাৎই যদি ঝাঁপিয়ে আসে বৃষ্টি, বৃষ্টিস্নাত
সিক্ত মনে ভেজা দেহে শীতার্ত রাতে একটু
উষ্ণদেহ সান্নিধ্য লাভের জন্য উন্মুক্ত করেছি।
আকাশে বিদূৎপর্ণা অট্টহাস্য,প্রচন্ড শব্দে জ্বলে
উঠল বাজ এ গাছে আমিও গাছে সাথে জ্বলছি ।
আচমকাই আগুন দেখে তাকালে আমার দিকে
জ্বলন্ত শরীরে ধুকপুক করছে মুমূর্ষু প্রাণ, এই
প্রাণিত প্রাণের শেষ মূহুর্তে চোখে রেখে চোখ
অপলক দৃষ্টির ভাষায় সলজ্জ চোখে চোখে প্রেম
শঙ্কিত ব্যথিত তোমার দু চোখে জল এই প্রথম জলে
ভরা চোখে আবার চোখ পড়তেই ভূমিকম্প স্পন্দনে
আলোড়িত দুজনার মন , কেউ কাউকে চিনি না তবুও
উষ্ণ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ভয় নেই তোমার
এ মৃত্যুর শয্যায় মিলন বাসরের সময় নাই আমার ।
জীবনের শেষ যাত্রায় , তাই চির কালই ঐ তোমার
আড়ালে থেকে আমি বৌদ্ধ শ্রমণ শিল্পীরা অজন্তা,
ইলোরার বা খাজুরাহ বিমূর্ত প্রেমের প্রতীক শিল্পের
অন্যন্য নিদর্শন অসাধ্য আমি স্থপতি নই, ভাস্কর্য
শিল্পে ও অধিকারি নই।
শব্দের অলংকরণে চিত্রকল্পে অঙ্কিত চিত্র তোমার
লিখন শৈলী শৈল্পিক নান্দনিক কাব্যিক অপূর্ব বিন্যাসে
ছন্দে ছন্দে ধ্বনিত গুঞ্জন এই আমার কাব্য গ্রন্থে
সে গ্রন্থের নাম উল্লেখ নাই বা করে গেলাম বেলা শেষে।
ধরা পড়ে যাই যদি প্রেমের অপরাধে মৃত অভিযুক্ত
এক প্রেমিক দূর দেশী সেই রাখাল ছেলে এই বাঁশিওয়ালা
এই আমার চুয়াত্তর বছরের সদ্য মৃত যুবকের কী সত্যিই
মৃতের ফাঁসি হবে, না কোতল জবাই হতে হবে মৃত্যুর প্রেমিকের ?
No comments:
Post a Comment